সূচীপত্র
একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য যারা উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি সহায়তার জন্য আবেদন করেছিলেন ইতোমধ্যে তাদের একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে – প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ২০২৪
সবাই কি ভর্তি সহায়তা পায়? না। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিকে ১১শ শ্রেণিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হয়।
একাদশে কত টাকা ভর্তি সহায়তা পাওয়া যায়? প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫,০০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮,০০০ টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০,০০০ টাকা হারে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হয়।
আবেদনের নিয়ম কি? সর্বপ্রথমে প্রতিষ্ঠানপ্রধান কর্তৃক সুপারিশ গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ফর্ম ডাউনলোড করুন। তারপর প্রিন্ট করে পূরণ করুন ও আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট থেকে সুপারিশ গ্রহণ করুন। অতঃপর ছবি, স্বাক্ষর, জন্মসনদ, অভিভাবকের এনআইডি, ও সুপারিশের কপি স্পষ্ট করে ছবি তুলুন। প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন (যদি একাউন্ট না থাকে)। মোবাইল ভেরিফিকেশন করুন। লগইন করুন। আবেদন করুন এবং ড্যাশবোর্ড থেকে আবেদন অবস্থা জানুন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি ২০২৪ / ভর্তি সহায়তা আবেদন ফরম এখন অনলাইন ভিত্তিক
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট- ছবি, স্বাক্ষর, জন্ম নিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানপ্রধানের সুপারিশ (নির্ধারিত ফর্মে), পিতা মাতা/অভিভাবকের কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র/সুপারিশ (৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর সন্তানগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)। প্রত্যয়ন/সুপারিশ ফরম ডাউনলোড করুনCaption: info source
একাদশ (১১) শ্রেণীতে ভর্তির আর্থিক সাহায্য আবেদন ২০২৪। ভর্তি সহায়তার জন্য আবেদন করবেন যেভাবে
- ধাপ ০১: আবেদন করার জন্য www.eservice.pmeat.gov.bd/admission লিংকে গিয়ে প্রথমে “রেজিষ্ট্রেশন” বাটনে ক্লিক করুন এবং তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর পূর্ণ নাম, অভিভাবকের পূর্ণ নাম, শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর (১৭ ডিজিডের জন্ম সনদ নম্বর), জন্ম তারিখ দিন এবং জেন্ডার সিলেক্ট করতে হবে। এবার স্থায়ী ঠিকানা বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/উপজেলা (যে কোন একটি বাছাই করুন যারা পৌরসভা/উপজেলা সিলেক্ট করবেন তাদের সিটি কর্পোরেশন বাটনের প্রয়োজন নেই), পৌরসভা/উপজেলা, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড পুরণ করতে হবে। তারপর যোগাযোগের তথ্য (মোবাইল নম্বর সবসময় সচল রাখতে হবে) ই-মেইল অ্যাড্রেস (যদি থাকে), মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, পাসওয়ার্ড নিশ্চিতকরুণ। উক্ত ফরমের সকল তথ্য সঠিকভাবে করতে থাকলে “I’m not a robot” বাটনে ক্লিক করে “নিবন্ধন করুন” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- ধাপ ০২: আবেদনের দ্বিতীয় ধাপে শিক্ষার্থীকর্তৃক প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে একটি “OTP” কোড (কোডটি পেতে ২-৩ মিনিট সময় লাগতে পারে) যাবে৷ OTP কোডটি নির্ধারিত ঘরে প্রদান করে “আমি রোবট নই” বাটনে ক্লিক করে “জমা দিন” বাটনে ক্লিক হবে।
- ধাপ ০৩: আবেদনের তৃতীয় ধাপে “লগইন” বাটনে নিবন্ধন ফরমে ব্যবহারকৃত ই-মেইল অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে আপনার প্রদানকৃত পাসওয়ার্ডটি ব্যবহার করে প্রবেশ করতে হবে।
- ধাপ ০৪: আবেদনের চতুর্থ ধাপে শিক্ষার্থীর একাউন্টে লগইন করে “আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- ধাপ ০৫: “আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করার পর শিক্ষার্থী ছবি, স্বাক্ষর, জন্ম নিবন্ধন এবং অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ছবি/স্ক্যান কপি) নির্ধারিত স্থানে আপলোড করে “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- ধাপ ০৬: আবেদনের পঞ্চম ধাপে সকল তথ্য সঠিক ভাবে পুরন করুন। সাধারণ তথ্য : বিজ্ঞপ্তির নম্বর, শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং শিক্ষার্থীর নাম সয়ংক্রিয়ভাবে দেয়া থাকবে। এবার শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে), শিক্ষার্থীর পিতার নাম, পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মাতার নাম, মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, শিক্ষার্থীর জন্ম তারিখ, জেন্ডার, বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/উপজেলা (যে কোন একটি বাছাই করুন যারা পৌরসভা/উপজেলা সিলেক্ট করবেন তাদের সিটি কর্পোরেশন বাটনের প্রয়োজন নেই), পৌরসভা/উপজেলা, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড এবং গ্রাম নাম লিখতে হবে। অভিভাবকের তথ্য : কোটা (প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম শিক্ষার্থী, নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য যে কোন একটি সিলেক্ট করতে হবে), অভিভাবকের পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জমির পরিমাণ, বার্ষিক আয় এবং পরিবারের সদস্য সংখ্যা দিতে করতে হবে। ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানের তথ্য : ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানের বিভাগ, জেলা, উপজেলা, শিক্ষা স্তর, ভর্তিকৃত শ্রেণি, ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানের নাম, ইআইআইএন নম্বর, সর্বশেষ পঠিত শ্রেণি (ভর্তিকৃত শ্রেণির পূর্বের শ্রেণি), জিপিএ স্কেল এবং সর্বশেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ প্রদান করতে হবে। ব্যাংক/মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের তথ্য: ব্যাংকিং এর ধরণ (মোবাইল ব্যাংকিং/ সাধারণ ব্যাংকিং যে কোনো একটি) সিলেক্ট করতে হবে। যদি সাধারণ ব্যাংকিং হয় সে ক্ষেত্রে ব্যাংক হিসাবের ধরণ (চলতি, সঞ্চয়ী, অন্যান্য যে কোনো একটি), একাউন্ট কার (যার একান্ট নম্বর ব্যবহার করছেন যেমন নিজ/পিতা/মাতা/ভাই/বোন), ব্যাংকের নাম (বিকাশ, রকেট, নগট, উপায়), ব্যাংকের শাখা, একাউন্টের নাম (ব্যাংক একাউন্টটি যার নামে খোলা হয়েছে তার ইংরেজীতে লিখতে হবে), একাউন্টের নম্বর এবং হিসাবধারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রদান করতে হবে। আর যদি মোবাইল ব্যাংকিং হয় সেক্ষেত্রে একাউন্ট কার (যার একান্ট নম্বর ব্যবহার করছেন যেমন, নিজ/পিতা/মাতা/ভাই/বোন), ব্যাংকের নাম, জেলা, ব্যাংকের শাখা, একাউন্টের নাম (ব্যাংক একাউন্টটি যার নামে খোলা হয়েছে তার ইংরেজীতে লিখতে হবে)।
- ধাপ ০৭: শিক্ষার্থীরা তাদের সরবরাহকৃত তথ্যাদি দেখতে পাবে। “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করলে আপনার পুরণকৃত ফরমটি সম্পুন্ন একসাথে দেখতে পারবে এবং প্রদর্শিত তথ্যসমূহে কোন ত্রুটি থাকলে “পরিবর্তন” বাটনে ক্লিক করে তথ্য পরিবর্তন করতে পারবে। আর যদি সকল তথ্য সঠিকভাবে পুরণ করা হয়ে থাকে তবে “প্রথম ধাপের চূড়ান্ত দাখিল” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- ধাপ ০৮: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকর্তৃক প্রদানকৃত প্রত্যায়ন অথবা সুপারিশের কপি আপলোড করে “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করুন। “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করার পর “পিডিএফ ডাউনলোড করুন” বাটনে কিক্ল করতে হবে। উক্ত পিডিএফ ফাইলটি শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হলে ট্রাস্ট বরাবর যোগাযোগ করতে হবে। সম্পূর্ণ নির্দেশিকা PDF Download করুন।
অনলাইনে আবেদন করতে কি কোন ফি লাগবে?
না। কোন ফি লাগবে না। আপনার যদি একটি মোবাইল থাকে আপনি মোবাইল হতেও একাদশ শ্রেণীরতে ভর্তি সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করে নিতে হবে। অন্যান্য কাগজপত্রাদি সহ আপনি কোন কম্পিউটারের দোকান হতেও এ আবেদন করতে পারেন।
xi class admission Help from PMEAT । একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি সহায়তার আবেদন করার নিয়ম