জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি হস্তান্তরের দলিল ও রেজিষ্ট্রেশনের নিয়ম ২০২৩ । হেবা বা দান কে কাকে করতে পারে

ভূমি ও অন্যান্য সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য দলিলের ছক বা ফরমেট ভূমি হস্তান্তরের দলিল স্ট্যাম্পের উপর সরকার কর্তৃক প্রকাশিত নির্দিষ্ট ফরমেট বা ছক অনুযায়ী তৈরী করতে হবে । এই ছকে ক্রেতা-বিক্রেতার ছবি সংযােজনের নতুন বিধান রাখা হয়েছে।

তামাদি হওয়ার সময় সীমা

আদি হওয়ার সময় সীমা তিন বছর থেকে এক বছর করা হয়েছে। লল তৈরী হওয়ার তিন মাসের মধ্যে তা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। 

দলিল রেজিস্ট্রেশনের সময় 

দলিল তৈরী হওয়ার তিন মাসের মধ্যে তা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। 

মৌখিক দান বা হেবা দলিল রেজিস্ট্রেশন 

মুসলিম পারিবারিক ধর্মীয় আইন অনুযায়ী স্থাবর সম্পত্তি মৌখিক দান বা হেবা দলিলও। এখন থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই দলিল হবে ঘােষণামূলক । এর জন্য ফি : হবে মাত্র ১০০/= (একশত) টাকা। 

হেবা বা দান কে কাকে করতে পারে

হেবার ক্ষেত্রে শুধু রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয় তথা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে, পিতা-মাতা ও সন্তানের মধ্যে, ভাই-ভাই, বােন-বােন অথবা ভাই- বােন, দাদা-দাদী, নানা-নানী, থেকে নাতি-নাতনী ও নাতি- নাতনী থেকে নানা-নানী সম্পর্কের মধ্য হেবা দলিলে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এই নাম মাত্র ১০০ (একশত) টাকা ফি’তে রেজিস্ট্রেশনের সুযােগ পাওয়া যাবে। 

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। তবে এক্ষেত্রে ওয়ারিশগণের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টন না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়ােজন নেই। 

সম্পত্তি বন্ধকের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন

সম্পত্তি বন্ধকের ক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফি হবে ২০০/- (দুইশত) টাকা থেকে ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা ।  আগে যা ছিল ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা থেকে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা। এর ফলে বন্ধকি সম্পত্তি কেহ অন্যত্র বিক্রয় করে প্রতারণা বা জালিয়াতির আর কোন সুযােগ পাবে না।

আদালতের মাধ্যমে প্রাপ্ত অগ্রক্রয় সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন

আদালতের মাধ্যমে প্রাপ্ত অগ্র ক্রয় দলিলও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

বায়না চুক্তির রেজিস্ট্রেশন ও ফি

এখন থেকে বায়না চুক্তি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য বায়নার ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা এবং ৫ লক্ষ টাকার অধিক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা। ৫০ লক্ষ ঢাকার অধিক মূল্য সম্পত্তির জন্য ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে বে। বায়না নামা রেজিস্ট্রেশন করা ছাড়া চুক্তি বলবৎ করতে আইনগত কোন সুবিধা ওয়া যাবে না। আবার বায়নার অবশিষ্ট টাকা জমা করা হলে কোন মামলা করা যাবে না। সম্পত্তি বিক্রয়ের বায়নানামা চুক্তির ৩০ দিনের মধ্যে সম্প্রশন করতে হবে। ১লা জুলাই ২০০৫ থেকে এ আইন কার্যকর হওয়ার আগে যেসব বায়না হয়েছে কিন্তু এখনও রেজিস্ট্রেশন হয় নাই সেগুলাে ১ জানুয়ারি ২০০৬ ‘ রােজস্ট্রেশন করতে হবে। আবার বায়নানামা রেজিস্ট্রেশন না করা এসব চুক্তি কার্যকর বা বাতিল করতে হলে রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ৬ মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। সম্পত্তি হস্তান্তরের দলিল ৩ মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *