সূচীপত্র
মোটর সাইকেল ক্রয় এবং বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিক্রয় চুক্তি সম্পাদিত হতে পারে অন্যথায় গাড়ি দিয়ে কোন প্রকার বেআইনি কাজ হলে গাড়ির মালিক দায়ী থাকবে – Motorbike Sales Deed
কেন মালিকানা পরিবর্তন করে নিবেন? – চুক্তিনামা বা দলিল হলো আপনি গাড়ি কিনেছেন বা এখন থেকে আপনি সেই গাড়ির মালিক, পরবর্তীতে আপনাকে মালিকানা পরিবর্তন করতে হবে,।প্রাথমিক অবস্থায় না ধরলে ও সময় বেশি হয়ে গেলে ধরবে এবং মামলা দিবে। কাজেই নাম পরিবর্তন করাই ভালো। ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে অন্যথায় গাড়ি থানায় নিলে মুল মালিক-কে হাজির হতে হবে।
বড় ভাইয়ের গাড়ি কি চালানো যাবে? প্রথমত গাড়ি চালনার লাইসেন্স নিজের নামে থাকতে হবে। ছোট ভাই বড়ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত বাইকটি চালালে মালিকানাজনিত কারণে পুলিশ মামলা দিবে না। আপনার সাথে প্রমানক রাখতে হবে যে, আপনি গাড়ির মালিকের ছোট ভাই অর্থাৎ ছোট ভাইয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্সে বাবার নাম, আর বড় ভাই এর রেজিস্ট্রেসন পেপারে বাবার নাম এক হলে আর কোন অসুবিধা নাই।
লাইসেন্স বিহীন গাড়ি চালানোর জরিমানা কত টাকা? ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরযান বা গণপরিবহন চালানোর দায়ে ছয় মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হয়েছে। নিবন্ধন ছাড়া মোটরযান চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।
নিবন্ধন করে গাড়ি চালনা করুন / গাড়ি বিক্রয়ের এফিডেভিট করার নিয়ম কি?
প্রথমেই চুক্তিপত্রটির উপরের “গাড়ী বিক্রয়ের চুক্তিপত্র” কথাটি লিখতে হবে। তারপর প্রথম পক্ষঃ লিখতে হবে বা না লিখলেও হয়, প্রথম পক্ষ এর লাইন থেকে গাড়ীটি যে বিক্রি করবে তার “নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, পেশা, ভোটার আইডি নাম্বার ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে”। এরপর নিচের লাইনে “প্রথম পক্ষ/গাড়ীর মালিক বা বিক্রেতা” কথাটি লিখতে হবে। এসব তথ্য লিখে একটি চুক্তিনামা করতে হবে।
Motorbike Sales Deed PDF / Motorbike Sales Deed Word File
মোটরযান রেজিস্ট্রেশন । আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী কোন কর্মকর্তা বা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট (টিআই) কোনো মোটরযান আটক করিতে পারিবেন এবং এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে
- সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮ -১১৫। (১) এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী কোন কর্মকর্তা বা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট (টিআই) কোনো মোটরযান আটক করিতে পারিবেন এবং এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
- (২) এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশের ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট (টিআই) পদমর্যাদার কোনো অফিসার মোটরযান ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরণ করিতে পারিবেন।
- (৩) এই আইনের অধীন কোন মোটরযান ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরণ করা হইলে উহা অবমুক্তির জন্য মোটরযান মালিক, মোবাইল কোর্টের ক্ষেত্রে, ২ (দুই) মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে এবং, অন্যান্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার বা উপ-পুলিশ কমিশনার বা সমমর্যাদার অফিসারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন; এবং আদালত বা সংশ্লিষ্ট কর্মচরী দলিল-দস্তাবেজ পর্যালোচনা ও শুনানি গ্রহণ করিয়া নিষ্পত্তিমূলক আদেশ প্রদান করিবেন।
- (৪) ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরিত মোটরযানের মালিক ডাম্পিং ইয়ার্ড হইতে মোটরযান অবমুক্তির জন্য উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে আবেদন না করিলে, ডাম্পিং ইয়ার্ডের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা কর্তৃক, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি গ্রহণ করিয়া মোটরযানটি কোনো সরকারি সংস্থা বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা যাইবে বা নিলামে বিক্রয় করা যাইবে।
গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ম কি?
গাড়ি কেনার ৩০ দিনের মধ্যে ক্রেতা যে এলাকায় থাকে সে এলাকার নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি রিপোর্ট ফি সহ জমা দিবে। এবং বিক্রেতার কাছ থেকে যে সে একটি রিপোর্টের কপি পায় তাও সে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিবে তাহলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ মালিকানা পরিবর্তনের বিষয়টি লিপিবদ্ধ করতে পারবেন।
গাড়ি বিক্রয়ের চুক্তিপত্র । ক্রয় বিক্রয় চুক্তিনামা নমুনা সংগ্রহ করুন
মোটরসাইকেল কোট এফিডেভিট পিডিএফ
ফুল ফিল