বিবাহ ও তালাক তথ্য

পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩ । বিবাহ বিচ্ছেদ, দেনমোহর, ভরণপোষণ ও সন্তানের অভিভাবকত্বের জন্য কোথায় মামলা করতে হয়?

পারিবারিক দন্দ্ব বা সমস্যা সমাধানে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে হয়- এক্ষেত্রে কোর্টে যেতে হয় না– পুলিশ এসব সমস্যা সমাধানের এখতিয়ার রাখে না তাই ডিসি অফিসে গিয়ে আর্জি দায়ের করুন – পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩

পারিবারিক আদালতের কাজ বা এখতিয়ার কি? মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, পারিবারিক আদালতে নিম্নরূপ সকল বা যেকোনো বিষয় সম্পর্কিত বা উহা হইতে উদ্ভূত যেকোনো মোকদ্দমা গ্রহণ, বিচার এবং নিষ্পত্তির এখতিয়ার থাকিবে, যথা:- বিবাহ বিচ্ছেদ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, (গ) দেনমোহর, (ঘ) ভরণপোষণ; এবং ঙ) শিশু সন্তানদের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান  সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়।

পারিবারিক ঝামেলা মেটাতে কোথায় মোকদ্দমা করতে হয়? কোনো মোকদ্দমা সেই পারিবারিক আদালতে আরজি দাখিলের মাধ্যমে দায়ের করিতে হইবে যাহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমানার মধ্যে মোকদ্দমার কারণ সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে উদ্ভূত হইয়াছে অথবা পক্ষগণ একত্রে বসবাস করেন বা সর্বশেষ বসবাস করিয়াছিলেন। তবে শর্ত থাকে যে, বিবাহ বিচ্ছেদ, দেনমোহর বা ভরণপোষণের মোকদ্দমায় সেই আদালতেরও এখতিয়ার থাকিবে, যাহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমানার মধ্যে স্ত্রী সাধারণত বসবাস করেন।

বিস্তারিত বিবরণ লিখে আবেদন করতে হবে? হ্যাঁ। যে-ক্ষেত্রে কোনো এখতিয়ারবিহীন আদালতে কোনো আরজি দাখিল করা হয় সেইক্ষেত্রে আরজিটি যে আদালতে দাখিল করা সমীচীন ছিল সেই আদালতে দাখিলের জন্য ফেরত দেওয়া হইবে এবং  আরজি ফেরত প্রদানকারী আদালত ইহার নিকট আরজি দাখিলের ও ফেরত প্রদানের তারিখ, দাখিলকারীর নাম ও ফেরত প্রদানের কারণসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ আরজির উপর লিপিবদ্ধ করিবেন। আরজিতে বিরোধ সম্পর্কিত সকল অত্যাবশ্যকীয় তথ্যাদির উল্লেখ থাকিবে এবং উহার একটি তপশিল থাকিবে, যাহাতে আরজির সমর্থনে উপস্থিত করিতে ইচ্ছুক সাক্ষীগণের নাম ও ঠিকানার উল্লেখ থাকিবে।

পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩ / পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ে করতে কত টাকা লাগে?

পারিবারিক আদালতে এই আইনের অধীন কোনো মোকদ্দমার আরজি দাখিল করিতে প্রদেয় কোর্ট ফি হইবে ২০০ (দুইশত) টাকা।

Caption: Download Full Act PDF 2023

আরজিতে যে বিষয় উল্লেখ থাকিবে । ন্যায় বিচারের স্বার্থে, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে, বাদী পরবর্তী যেকোনো সময়, যেকোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির করিতে পারিবেন।

  1. যে আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করা হইবে উহার নাম;
  2. বাদীর নাম, বর্ণনা ও বাসস্থান;
  3. বিবাদীর নাম, বর্ণনা ও বাসস্থান;
  4. বাদী বা বিবাদী নাবালক বা অপ্রকৃতিস্থ হইলে তৎসংশ্লিষ্ট একটি বিবরণী;
  5. মোকদ্দমার কারণ সংক্রান্ত তথ্যাবলি এবং তাহা যেস্থানে ও তারিখে উদ্ভূত হইয়াছে;
  6. আদালতের এখতিয়ার সম্পর্কিত তথ্যাবলি; এবং
  7. বাদীর প্রার্থীত প্রতিকার ।

বিবাদী কি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে উপস্থিতি দেখাতে পারবে?

হ্যাঁ। যদি কোনো ব্যক্তির এই আইনের অধীন পারিবারিক আদালত বা পারিবারিক আপিল আদালতের সম্মুখে সাক্ষী ব্যতীত অন্য কোনো কারণে উপস্থিত হইবার প্রয়োজন হয় এবং উক্ত ব্যক্তি যদি পর্দানশিন মহিলা হন বা শারীরিকভাবে অক্ষম হন, তাহা হইলে পারিবারিক আদালত বা পারিবারিক আপিল আদালত তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিনিধিকে তাহার পক্ষে আদালতের সম্মুখে উপস্থিত হইবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।

পারিবারিক আদালতে মামলা করার নিয়ম ২০২৩। স্বামী স্ত্রীর সমস্যা সমাধানের জন্য কোথায় যাবেন? আয়কর রিটার্ন বিধিমালা ২০২৩ । ব্যক্তি আয়কর ফরম পূরণের নিয়ম কি? বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম । জমি দখলে কিন্তু দাগ নম্বর ভুল হলে কি দলিল টিকবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *