সূচীপত্র
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থাপন, অনুমোদন ও পাঠাদান সম্পর্কে আজ বিস্তারিত অবহিত করা হবে – শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পাঠদান নীতিমালা ২০২৩
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ন্যূনতম ১৫০ শিক্ষার্থী থাকতে হবে? হ্যাঁ। – শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) স্থাপন, পাঠদান ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক করার লক্ষ্যে “বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) স্থাপন, পাঠদান ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান নীতিমালা-২০২৩” প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমোদন কিভাবে নিবেন? অনুচ্ছেদ ৯-এ উল্লেখিত মঞ্জুরি কমিটির সভা ন্যূনতম ০৩ (তিন) মাস অন্তর অনুষ্ঠিত হবে। আবেদন এবং পরিদর্শন প্রতিবেদনের আলোকে মঞ্জুরি কমিটি আওতাধীন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি প্রদানের সুপারিশ প্রদান/প্রত্যাখ্যান করবে। বোর্ডের সভায়, প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমোদন অথবা নামঞ্জুর হবে অথবা কোনো পর্যবেক্ষণ থাকলে আবেদনকারী/ প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জানাতে হবে।
বিদ্যালয় স্থানান্তর কিভাবে করে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যাবে না। তবে নদী ভাঙন বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে সরকারের পূর্বানুমতিক্রমে নিকটবর্তী স্থানে স্থানান্তর করা
যাবে।
অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদন গ্রহণ করা হয় কি? / নতুন নীতিমালায় অনলাইনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থাপনের অনুমতি নেয়া যায়।
এ নীতিমালার অধীনে আবেদনসমূহ পর্যায়ক্রমে অনলাইন পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হবে। অনলাইনে আবেদন গ্রহণের জন্য বোর্ড প্রয়োজনীয় অনলাইন ফরম চালু করবে। অনলাইন ফরমসমূহ সকল বোর্ডের ক্ষেত্রে এক ধরনের করতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমোদন প্রক্রিয়া ২০২৩ । যেভাবে কাগজপত্র ও আবেদন তৈরি করবেন
- আবেদন গ্রহণ: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য আবেদনকারীকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত আবেদন ফরম-‘ক’(১)/ (২) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে-
- আবেদনকারী একক ব্যক্তি হলে তাঁর/একাধিক ব্যক্তি হলে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে;
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রস্তাবিত স্থানের মৌজা, খতিয়ান/পর্চা, দাগ এবং জমির পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে এবং প্রস্তাবিত স্থানের খতিয়ানের কপি সংযুক্ত করতে হবে;
- জমি হস্তান্তর/দান: দানমূলে প্রাপ্ত জমির উপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দান/হস্তান্তর নিঃশর্ত ও রেজিস্ট্রিকৃত হতে হবে। জমির অখণ্ডতা, পরিমাণ ও মালিকানা সম্পর্কে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর প্রত্যয়ন সংযুক্ত করতে হবে;
- পরিশিষ্ট- ‘১’ হতে ‘৩’ এ বর্ণিত ন্যূনতম চাহিদা ও শর্ত পূরণ করার অঙ্গীকারনামা ফরম: ‘ক’ (৩) দাখিল করতে হবে। এ অঙ্গীকারনামা ৩০০ (তিনশত) টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ও নোটারি পাবলিকের সম্মুখে সম্পাদন করতে হবে;
- প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানের চতুর্দিকে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানসমূহের দূরত্বের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রদত্ত দূরত্বের সনদ সংযুক্ত করতে হবে;
- প্রতিষ্ঠানের স্তর অর্থাৎ নিম্ন মাধ্যমিক/মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়/উচ্চ মাধ্যমিক মহাবিদ্যালয় এবং
- প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের মাধ্যম বাংলা/ইংরেজি ভার্সন সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে;
- প্রতিষ্ঠান স্থাপন সংক্রান্ত আবেদনের সঙ্গে উপজেলা/থানা পরিসংখ্যান কর্মকর্তার নিকট থেকে প্রতিষ্ঠান এলাকার ন্যূনতম জনসংখ্যা সনদ দাখিল করতে হবে;
- ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হলে আবেদনের সময় ব্যক্তির বিস্তারিত পরিচিতি উল্লেখপূর্বক একটি সংক্ষিপ্তসার সংযুক্ত করতে হবে;
- প্রতিষ্ঠান স্থাপনের যৌক্তিকতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাখিল করতে হবে।
পাঠদানের অনুমোদনের ক্ষেত্রে শর্ত কি কি?
পরিশিষ্ট-‘২’-এ উল্লেখিত শর্ত পূরণ হলে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়/মাধ্যমিক বিদ্যালয়/উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় (৬ষ্ঠ-১২শ শ্রেণি) এবং উচ্চমাধ্যমিক মহাবিদ্যালয়ের পাঠদানের অনুমতি প্রদান করা যাবে। নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাধ্যমিক স্তরের পাঠদানের অনুমতি প্রদান করতে হলে নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের পাঠদানের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় শর্তপূরণসহ প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে একবার জেএসসি/অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে হবে; এবং পরিশিষ্ট ‘৩’ এ উল্লিখিত নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীর শর্ত, জেএসসি/অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা সংক্রান্ত শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী ও পাশের হার বিবেচনা করতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাঠদানের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী স্তর সংশ্লিষ্ট পাবলিক পরীক্ষায় (জেএসসি/অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা ও এসএসসি) কমপক্ষে একবার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে পরিশিষ্ট- ‘৩’ এ উল্লিখিত পূর্ববর্তী স্তরসমূহের শিক্ষার্থীর শর্ত, পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী ও পাশের হার ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে।