আধুনিক দলিল লেখার কৌশল দলিল হচ্ছে জমি জমার প্রাণ। তাই যিনি জমি কিনছেন দলিলটি তার নিকট বােধগম্য হতে হবে। দলিলে কোন ভুল থেকে গেলে তার দায় বহন করতে হয় জমি ক্রেতাকে। তাই যার হাতের লেখা সুন্দর তাকে দিয়ে বা কম্পিউটারে টাইপ করে দলিল লেখা উচিত। 

জমির ক্রেতা ও নবীন দলিল লেখকদের দলিল লেখার সুবিধার্থে নিয়ে একটি আধুনিক দলিলের মডেল তুলে ধরা হলাে। মডেল দলিলে দলিলের কোন অংশ যাতে বাদ না পড়ে সেজন্য দলিলকে ৯টি অংশে ভাগ করে ৯টি শিরােনাম দিয়ে লেখা হয়েছে। বাস্তবে দলিল লেখার সময় এ শিরােনামগুলাে ব্যবহার করা যেতেও পারে, ব্যবহার না করলেও চলবে। তবে ৯টি অংশের কোনটিও যাতে বাদ না পড়ে সােদকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ।

সেগুলো হলো:

  • বায়না দলিলে জমির তফসিল অর্থাৎ মৌজা, খতিয়ান, দাগ নম্বর এবং জমির চৌহদ্দি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হয়। বায়না দলিল জমির চূড়ান্ত দলিলের মত সমান গুরুত্বপূর্ণ না হলেও উপরোক্ত বিষয় গুলো সঠিক ভাবে উল্লেখ করুন। কারন এতে বায়না পরবর্তী কিছু জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
  • যথা সম্ভব কম টাকায় বা সর্বনিম্ন টাকায় বায়না চুক্তি করুন।
  • জমির সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ পর জমির বিক্রেতা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে ব্যর্থ হন, তবে ক্রেতা হিসেবে আপনি কী কী প্রতিকার পাবেন দলিলে তার উল্লেখ করুন।
  • বায়না দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রি করে নিবেন। কারণ রেজিষ্ট্রেশনকৃত বায়না দলিল ছাড়া চুক্তি প্রবল/ ভঙ্গের মামলা আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করা যায় না। বায়না দলিল রেজিস্ট্রি খরচ খুবই কম এবং তা খুব সহজেই করা যায়।
  • বায়না চুক্তি সম্পাদনের তারিখ হতে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে চুক্তিপত্রটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য দাখিল করতে হয়।

একটি আধুনিক দলিলের নমুনা ২০২৩ । দলিলে যে বিষয়গুলো উল্লেখ থাকতে হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *