সূচীপত্র
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের কোন অক্ষর যেমন-মিয়া, বেগম, মোহাম্মদ ইত্যাদি ছোট খাট ভুল ঘরে বসেই নির্বাচন কমিশনের না গিয়েই আপনি পরিবর্তন বা সংশোধন করতে পারেন – জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ২০২৪
নতুন ভোটার হয়েছেন পরিচয়পত্র পাননি? – আপনারা যারা ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর পাননি তারা রেজিস্টার মেন্যুতে (Claim Account) গিয়ে আপনার কাছে রক্ষিত ফর্ম নম্বর এবং আপনার জন্ম তারিখ, ক্যাপচা ও প্রয়োজনী তথ্য দিয়ে অনলাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। পরবর্তীতে লগইন মেন্যুতে গিয়ে আপনার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ডাউনলোড মেন্যুতে গিয়ে আপনার পরিচয়পত্র কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
সব সংশোধনী কি স্থানীয় উপজেলা হতে করা যায়? না। অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে। আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে। নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।
ছবি পরিবর্তন করা যায় কি? এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে। বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না। এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়। এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।
এনআইডি ছাড়া যার কোন ডকুমেন্টই নাই? সে জমির দলিল বা গ্রহণযোগ্য কোন ডকুমেন্ট অর্থাৎ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটও দিতে পারবেন। পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে। শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফর্মে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।
অনলাইনে ভোটার আইডি সংশোধন আবেদন করে মাত্র ০৩ দিনে কারও সাহায্য ছাড়াই জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন অনুমোদন হয়েছে / NID Service এ ২৩০ টাকা বিকাশ পেমেন্ট করতে হবে
প্রথমে আপনি এনআইডি’র বিপরীতে ২৩০ টাকা বিকাশ পেমেন্ট করুন। অনলাইনে services.nidw.gov.bd/nid-pub/citizen-home এই লিংকে গিয়ে NID Wallet এর মাধ্যমে ফেস ভেরিফিকেশন করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন করুন। ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড সেট করুন। লগিন করে প্রোফাইলে গিয়ে এডিট বাটনে ক্লিক করে সংশোধন দাখিল করুন। প্রমানক হিসেবে যে কোন একটি প্রমানক দিন। কোন প্রমানক না থাকলে নিজ বা নাগরিকের এনআইডি আপলোড করুন। কারণ Begum এর স্থলে Gegum হয়েছে এই সংশোধনীর ক্ষেত্রে তেমন কোন প্রমানক লাগে না।
Caption: services.nidw.gov.bd
জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম । নতুন নিবন্ধন প্রক্রিয়ার নির্দেশনাবলী । আপনি ভোটার হয়ে থাকলে রেজিস্ট্রেশন করে এই ওয়েবসাইটের সুবিধা নিতে পারেন। রেজিস্ট্রেশন করতে নিন্মের ধাপসমূহ অনুসরণ করতে হবে
- প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী পূরণ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন
- আপনার কার্ডের তথ্য ও মোবাইলে প্রাপ্ত এক্টিভেশন কোড প্রদান করুন
- আপনার মোবাইলে এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং মুখমণ্ডল যাচাই (Face Verification) করে আপনার প্রোফাইলে লগইন করুন
- ব্যাস রেজিস্ট্রেশন শেষ।
নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র চাইলে করণীয় কি?
জাতীয় পরিচয়পত্র হালনাগাদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। যিনি বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু এখনও নিবন্ধিত হননি,আপনার বয়স যদি ১০ বছর বা বেশি হয়ে থাকে কিন্তু এখনও ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হননি তাহলে অনলাইন এ ফর্ম পূরণ করে আপনার সিডিউল মোতাবেক সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে বায়োমেট্রিক প্রদান করুন। বায়োমেট্রিক প্রদানের সময় আপনার কিছু সংযুক্ত কাগজ পত্র প্রয়োজন হবে, যা নিন্মরুপ-
- অনলাইনে পূরণকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি
- এস.এস.সি সনদ -(বয়স প্রমাণের সনদ)
- জন্ম নিবন্ধন -(বয়স প্রমাণের সনদ)
- পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স / টি.আই.এন -(বয়স প্রমাণের সনদ)
- ইউটিলিটি বিলের কপি/বাড়ী ভাড়ার রশিদ/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ – (ঐ এলাকায় সচরাচর বসবাস করেন এরুপ কোন প্রমাণ)
- নাগরিকত্বের সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- বাবা, মা, স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের কপি(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
আপনার বয়স যদি চলতি বছরের ১ জানুয়ারী বা তার পূর্বে ১৮ বছর হয়ে থাকে তাহলে আপনি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন
জন্ম তারিখ বা বয়স পরিবর্তন করা যায় কি? আইডি কার্ড এ প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে। আপনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে। ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে।
বয়স/ জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কি?
এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। নতুন স্বাক্ষর এর নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে। এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোন সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।
ভোটার আইডি কার্ডের ছবি তোলার নিয়ম ২০২৩ । নতুন ছবি তোলা বা পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি