বিআরটিএ তথ্য

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৪ । অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে?

ড্রাইভিং লাইসেন্স এখন একই দিনে পরীক্ষা ও ফিঙ্গার নেওয়া হয় তাই দ্বিতীয়বার বিআরটিএ যেতে হয় না – মাত্র ৬০ টাকা অতিরিক্ত জমা দিয়ে ডাকের মাধ্যমে লাইসেন্স বাসায় গ্রহণ করা যায় – ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৪

দালাল ছাড়া কি লাইসেন্স করা যায় না? – যায়। যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য ইনবক্সে প্রশ্ন করতেছেন লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে তাদের উদ্দেশ্যে বলতেছি। ভাই নিজে নিজেই এখন লাইসেন্স করতে পারবেন। একবার মাত্র কষ্ট করতে হবে, পরীক্ষা, প্র্যাকটিক্যাল এবং ফিঙ্গার, ছবি তুলতে বিআরটিএ যেতেই হবে।

লাইসেন্স করার প্রথম শর্ত হল আপনাকে আগে অনলাইনে লারনার করতে হবে লার্নারের সরকারি ফ্রি জমা দিতে হবে ৭৪৮ টাকা। তারপর আপনি যদি পেশাদার লাইসেন্স করেন তাহলে ড্রপ টেস্ট/মাদক টেস্ট করতে হয় সেখানে সরকারি ফ্রি দিতে হবে ৯১০ টাকা। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ডের সরকারি ফ্রি এখন জমা দিতে হবে ২৭৭২টাকা। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিজে নিজে করলে সরকারি ফ্রি ৪৪৯৭ টাকা লাগবে ।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স -এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগে?  নির্ধারিত ফরমে আবেদন। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট। ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি। নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ২,৭৭২/-টাকা ও অপেশাদার- ৪,৪৯৭/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

লাইসেন্স পেতে যোগ্যতা কি লাগে? ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনকারীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ। অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে। মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া কি? গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd)-এর মধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইন সিস্টেম থেকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হবে এবং গ্রাহক সাথে সাথেই সিস্টেম থেকেই তার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। এরপর ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় প্রমাণক, তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে নিজে নিজেই লাইসেন্স করার চেষ্টা করুন / বর্তমানে দালাল ছাড়াই লাইসেন্স করা যায়

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে পেতে হয়? গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd)-এর মধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইন সিস্টেম থেকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হবে এবং গ্রাহক সাথে সাথেই সিস্টেম থেকেই তার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করেই আবেদন করতে হবে।

Caption: source of information

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাথমিক ফি ২০২৪ । লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  1. নির্ধারিত ফরমে আবেদন অনলাইনে আবেদন।
  2. আবেদনকারীর ছবি [ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল)]
  3. রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)। মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের ফর্মের জন্য এখানে ক্লিক করুন ]
  4. জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
  5. ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি), [ আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তবে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে ]
  6. বিদ্যমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি [ ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন/শ্রেণী পরিবর্তন/শ্রেণী সংযোজন/ লাইসেন্সের ধরণ পরিবর্তণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ] (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
  7. অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য প্রদান করা হলে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  8. নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৭৪৮/-টাকা অনলাইনে পরিশোধ।

কখন লাইসেন্স হাতে পাওয়া যায়?

লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশিস্নষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতি কেমন? পেশাদার হালকা (মোটরযানের ওজন ২৫০০কেজি-এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে। পেশাদার মধ্যম (মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে। পেশাদার ভারী (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে। পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এর ন্যূনতম তিন বছর পর তিনি পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মিডিয়ম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে ০৩ (তিন) বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া কি? (ক) অপেশাদারঃ গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২,৪২৭/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ৫১৮/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।

(খ) পেশাদারঃ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় উত্ত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ৪,১৫২/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ৫১৮/- টাকা জরিমানাসহ ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য গ্রাহককে নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং-এর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।

ডুপ্লিকেট লাইসেন্স কিভাবে পাওয়া যায়? নির্ধারিত ফরমে আবেদন। জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স। নির্ধারিত ফী (হাই সিকিউরিউটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে ৯৩২/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

10 thoughts on “ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৪ । অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে?

  • আসসালামু আলাইকুম স্যার… স্যার ২০২৩ সালের জুন মাসের ৩ তারিখে আমার সার্টিফিকেট অনুযায়ী ১৮ বছর পূর্ণ হবে… স্যার আমি লাইসেন্স বের করতে চায়.. আমি গাড়ি চালাতে পারি . আমার ১৮ বছর হলে আমি কীভাবে লাইসেন্স বের করবো আর কার সাথে যোগাযোগ করবো।. আমি লাইসেন্স নিয়ে সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করবো.. এর জন্য কোন লাইসেন্স টা নিতে হবে. প্লিজ একটু বলবেন স্যার…

    Reply
    • প্রথমে অনলাইনে আবেদন করুন এবং ফি পরিশোধ করুন। বিআরটিএ অফিসে পরীক্ষা দিয়ে লাইসেন্স নিবেন। কারও সাথে যোগাযোগ করতে হবে না।

      Reply
      • অনলাইনে আবেদন করার পর কি প্রশিক্ষণ করানো হবে?

        Reply
        • কোন প্রশিক্ষণ করানো হবে না। আপনি নিজে নিজেই বা কোন ভাড়া প্রতিষ্ঠান হতে শিখবেন এবং পরীক্ষা দেবেন।

          Reply
  • আমি গত ৬/১৯/২০২২ সালে বরিশাল বি আর টি এ ফিংগার দেই এখন পর্যন্ত কার্ড ডেলিভারির কোন এস এম এস আসে নাই। এখন আমার করনীয় কি?

    Reply
    • অ্যাপ দিয়ে স্ট্যাটাস চেক করুন।

      Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *