আজকের খবর ২০২৫

সিমেন্টের দাম কত ২০২৫ । বাংলাদেশে ১ কেজি সিমেন্টের দাম কত টাকা?

সিমেন্ট হল একটি সূক্ষ্ম গুঁড়ো পদার্থ যা সাধারণত নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি বালি, মাটি এবং চুনাপাথরের মতো বিভিন্ন উপাদান থেকে তৈরি করা হয় এবং পানি বা অন্যান্য তরলের সাথে মেশালে কাদার মতো নরম পদার্থে পরিণত হয়, যা পরে শক্ত হয়ে যায়।– সিমেন্টের দাম কত ২০২৫

সিমেন্ট দিয়ে কি করা হয়? সিমেন্ট মূলত নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কংক্রিট, মর্টার এবং স্টুকো তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বাড়ি, রাস্তা, সেতু, ইত্যাদি নির্মাণে সিমেন্ট অপরিহার্য। এটি বালি, পাথর এবং পানির সাথে মিশিয়ে কংক্রিট তৈরি করা হয়, যা বিভিন্ন ধরনের কাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। সিমেন্ট বালি, পাথর এবং পানির সাথে মিশে কংক্রিট তৈরি করে, যা ভবন, রাস্তা, সেতু, বাঁধ, ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাঠামো তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সিমেন্ট বালি এবং পানির সাথে মিশে মর্টার তৈরি করে, যা ইট বা পাথরের গাঁথুনিতে ব্যবহৃত হয়। সিমেন্ট, বালি এবং পানির মিশ্রণ ব্যবহার করে স্টুকো তৈরি করা হয়, যা দেয়াল এবং সিলিংয়ের ফিনিশিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। সিমেন্ট ব্যবহার করে ফুটপাতের ফাটল ভরাট করা যায়। সিমেন্ট ছাদের আলকাতরা এবং অ্যাসফল্টের মতো আঠালো উপাদানের একটি মূল উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

সিমেন্ট তৈরির উপাদান কি আমদানি করতে হয়? হ্যাঁ, সিমেন্ট তৈরির জন্য কিছু উপাদান বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। প্রধানত ক্লিংকার, ফ্লাই অ্যাশ, জিপসাম এবং কিছু ক্ষেত্রে লাইমস্টোন আমদানি করা হয়। স্থানীয়ভাবে সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য এই উপাদানগুলো অপরিহার্য। সিমেন্ট তৈরির মূল উপাদান এটি, যা চুনাপাথর, শেল এবং অন্যান্য উপাদান উচ্চ তাপে পোড়ানোর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এটি একটি উপজাত যা কয়লা পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন হয় এবং সিমেন্টের শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়। সিমেন্টের সেটিং টাইম (জমাট বাঁধার সময়) নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। যদিও কিছু দেশে লাইমস্টোন স্থানীয়ভাবে পাওয়া যায়, কিছু ক্ষেত্রে উন্নত মানের লাইমস্টোন আমদানির প্রয়োজন হতে পারে। এই উপাদানগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়, যেমন – চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারত থেকে ক্লিংকার আমদানি করা হয়।

ডলারের দাম বৃদ্ধির সাথে সিমেন্ট এর দাম বৃদ্ধির সম্পর্ক কি? ডলারের দাম বাড়লে সিমেন্টের দাম বাড়ে, কারণ সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল এবং সরঞ্জামাদি সাধারণত আমদানি করা হয়, যা ডলারের মাধ্যমে কেনা হয়। ডলারের দাম বাড়লে আমদানি খরচ বাড়ে, ফলে সিমেন্ট উৎপাদনের খরচও বাড়ে। এই বাড়তি খরচ সমন্বয় করতে সিমেন্ট কোম্পানিগুলো সিমেন্টের দাম বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া, ডলারের দাম বাড়লে নির্মাণ সামগ্রীর দামও বাড়ে, যা সিমেন্টের চাহিদা ও দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। সিমেন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, যেমন ক্লিংকার, জিপসাম, এবং অন্যান্য উপাদান সাধারণত বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। ডলারের দাম বাড়লে এই আমদানি খরচ বেড়ে যায়। সিমেন্ট কারখানা স্থাপনে এবং উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদির দামও ডলারের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। ডলারের দাম বাড়লে এই খরচও বাড়ে। সিমেন্ট উৎপাদনে জ্বালানি তেলের প্রয়োজন হয়, যার দামও ডলারের সাথে সম্পর্কিত। ডলারের দাম বাড়লে জ্বালানি তেলের দামও বাড়ে, যা সিমেন্ট উৎপাদনে খরচ বাড়ায়।

শাহ সিমেন্ট স্পেশাল দাম 2025 । ক্রাউন সিমেন্ট দাম ২০২৫ । ফ্রেশ সিমেন্ট এর দাম ২০২৫

সিমেন্ট শুধু একটি উপাদান, যা নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হয়। ডলারের দাম বাড়লে রড, পাথর, বালি ইত্যাদি নির্মাণ সামগ্রীর দামও বাড়ে। এই সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধি সিমেন্টের চাহিদাকেও প্রভাবিত করে, যা দাম বাড়াতে সাহায্য করে। সিমেন্ট পরিবহনেও খরচ বাড়ে, কারণ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ে এবং অন্যান্য পরিবহন খরচও ডলারের সাথে সম্পর্কিত। সুতরাং, ডলারের দাম বাড়লে সিমেন্ট উৎপাদনের খরচ বেড়ে যায়, যা সিমেন্ট কোম্পানিগুলোকে সিমেন্টের দাম বাড়াতে বাধ্য করে।

Caption:   Cement Price check bd

সিমেন্ট দাম ২০২৫ । বিভিন্ন প্রকার সিমেন্টের দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে

  1. ফ্রেশ সিমেন্ট = ৪৯০ টাকা
  2. আনোয়ার সিমেন্ট = ৫১০ টাকা
  3. ক্রাউন সিমেন্ট = ৫১৫ টাকা
  4. প্রিমিয়ার সিমেন্ট = ৪৯৫ টাকা
  5. শাহ স্পেশাল সিমেন্ট = ৫০৫ টাকা
  6. স্কেন সিমেন্ট = ৫২০ টাকা
  7. ইঞ্চি সিমেন্ট = ৫১৫টাকা
  8. আমান সিমেন্ট = ৪৭০ টাকা
  9. হোলসিম সিমেন্ট = ৫২০ টাকা
  10. মীর সিমেন্ট = ৪৯০ টাকা
  11. বসুন্ধরা সিমেন্ট = ৪৯০ টাকা
  12. বেঙ্গল সিমেন্ট = ৪৮৫ টাকা
  13. আকিজ সিমেন্ট = ৫০৫ টাকা

বাংলাদেশে ১ কেজি সিমেন্টের দাম কত টাকা?

বাংলাদেশে ১ কেজি সিমেন্টের দাম সাধারণত ৯ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে থাকে, তবে এটি সিমেন্টের ব্র্যান্ড, গুণমান এবং স্থানভেদে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। সাধারণভাবে, ৫০ কেজি সিমেন্টের একটি ব্যাগ কিনতে ৪৭০ থেকে ৫২০ টাকা খরচ হতে পারে, যা থেকে ১ কেজির দাম হিসাব করা যেতে পারে। বিভিন্ন সিমেন্ট কোম্পানির পণ্যের দাম ভিন্ন হতে পারে, যেমন বসুন্ধরা, আকিজ, শাহ সিমেন্ট ইত্যাদি। সিমেন্টের গুণমান এবং প্রকারভেদে দামের পার্থক্য দেখা যায়, যেমন OPC (Ordinary Portland Cement) এবং PCC (Portland Pozzolana Cement)। নির্মাণ স্থানের উপর নির্ভর করে পরিবহন খরচ যোগ হওয়ায় সিমেন্টের দাম পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণভাবে, সাদা সিমেন্টের দাম সাধারণ সিমেন্টের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে, যা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

ফ্রেশ সিমেন্ট = ৪৯০ টাকা/৪০ = ১২.২৫ টাকা/কেজিআনোয়ার সিমেন্ট = ৫১০ টাকা/৪০ = ১২.৭৫ টাকা/কেজি ক্রাউন সিমেন্ট = ৫১৫ টাকা/৪০ = ১২.৮৭ টাকা/কেজি 
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *