বাংলাদেশে প্রতি ৫ বছর অন্তর জাতীয় ভোটাধিকারের সুযোগ আসে। মেম্বার বা চেয়ার‌ম্যানের ভোট আপনি চাইলে দেখে নিতে পারেন কিভাবে দিতে হয়। ভোট দেওয়া একটি সহজ ব্যাপার তারপরও আপনি ভোট দেওয়া দেখে নিতে পারেন যাতে করে ভোগ মিস না হয়। আপনার মূল্যবান ভোট যাতে নষ্ট হয়ে না যায়।

ক্যাপশন: বিভিন্ন মার্ক সন্নিবেশিত ব্যালট পেপার।

সিল দেওয়ার পদ্ধতি

প্রথমেই আপনার কাঙ্খিল মার্কায় আপনি ভোট দিবেন অর্থাৎ সিল মারবেন। সিল মারার সময় বা দেওয়ার সময় যেন মার্কা’টির ঠিক মাঝামাঝি দিবেন। যাতে কোন ভাবেই সিল দুটি মার্কার মাঝখানে না পড়ে। তাহলে কিন্তু ভোট নষ্ট হয়ে যাবে। তাই যে মার্কায় ভোট দিবেন তার ঠিক মাঝ বরাবর সিল দিতে হবে। সিলে পর্যাপ্ত কালি লাগিয়ে নিতে হবে।

ব্যালট পেপার ভাজ করবেন কিভাবে?

ব্যালট পেপার ভাজ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে। সিলের কালি যাতে কোনভাবেই অন্য মার্কায় না পড়ে বা লেগে না যায়। একজন্য আপনি মার্কা বরাবর ব্যালট পেপার ভাজ করবেন। যদি আপনি বল বরাবর ভোট দেন তাহলে আপনি উপরে নিচে বরাবর ভাজ করবেন। মনে রাখবেন উপর নিচে পুরো পেপার ভাজ করা যাবে না। খেয়াল রাখবেন আপনার সিল যাতে কোন ভাবে অন্য মার্কার সাথে ছাপ না লাগে। অন্য মার্কায় সিল কালি লাগলে ভোট বাতিল হয়।

উপরে নিচে ভাজ করবেন। এমণভাবে ভাজ করতে হবে যেন মার্কার মাঝ বরাবর ভাজ হয়। মোট তিনটি ভাজ দিতে হবে। প্রথমে উপর নিচে পেপারের অর্ধেক ভাজ করবেন এবং অপর অংশ ভাজ করা অংশের উপরে রাখবেন। চাইলে নিচের ভিডিও লিংক থেকে ভিডিও দেখে নিতে পারেন।

উপরের চিত্রে দেখুন ব্যালেটের অর্ধেক অংশে উপরে নিচে ভাজ করা হয়েছে। মানে রাখবেন, লম্বালম্বি ভাজ করতে হবে। কিভাবে ভোট দিবেন না ব্যালট পেপার ভাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার।

প্রথমে যে পাশে মার্কায় ভোট দিবেন সেই অংশ ভাজ করতে হবে এবং পরবর্তীতে অবশিষ্টাংশ ভাজ করতে হবে।

লম্বালম্বি ভাজ করার পর মাঝখাতে ভেঙ্গে ভাজ করে বক্সে ব্যালট পেপার ঢুকাতে হবে। আপনি যদি চিত্র দেখে বুঝতে না পারেন তবে আপনি এ সংকান্ত ভিডিও দেখে নিতে পারেন। ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

শুধুমাত্র ভালভাবে ব্যালট পেপার ভাজ করতে না পারার কারণে অর্থাৎ সঠিক পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার ভাজ করতে না পারার কারণে অসংখ্যা ভোট বাতিল হয়। আপনার মূল্যবান ভোট যাতে বাতিল না হয় তাই ভোট দেয়ার পদ্ধতিটি দেখে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *