ভূমি আইন ২০২৪

নকশা ও রেকর্ড সংশোধন ২০২৪ । ভূমি জরিপে নকশা ও রেকর্ডে ভুল সংক্রান্ত ২০টি প্রশ্নের উত্তর জানুন

আমার মত আপনিও যদি ভূমি সম্পর্কে স্বল্প ধারনা রাখেন তবে নিচের ২০টি প্রশ্নোত্তর আপনার জন্য। জমি নিয়ে জানার আগ্রাহ খুব বেশি থাকলেও জমির মারপ্যাচ ও টার্ম জটিলতা থাকায় আমরা কিছুদূর গিয়ে জানার আগ্রাহ হারিয়ে ফেলি।

তাই অগত্যা আমাদের স্বল্প জানা লোকগুলো ভেন্ডার এবং ল’ইয়ার এর নিকট নির্ভর করে থাকি। ভুল থাকলেও তা আমরা নিজেরা বুঝতে পারি না। অন্ধের মত তাদের উপর আর বিশ্বাস না রাখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন, জমি সংক্রান্ত তথ্যগুলো একটু একটু করে আমরা শিখে নিব।

১। প্রশ্নঃ আমার/আমাদের এলাকায়/মৌজায় ভূমি জরিপ শুরু হলে আমার তা কিভাবে জানতে পারবো?

উত্তরঃ- ভূমি জরিপ শুরু হলে মৌজায়/এলাকায় পর্যায়ক্রমে ক ও খ ইস্তেহার জারী করা হয়। প্রচুর গণসংযোগ করা হয়। এমনকি মাইকিং করে সম্মানিত ভূমি মালিকগণকে অবহিত করা হয়।

২। প্রশ্নঃ- মৌজায় মাঠ কর্মচারী আসলে আমরা কি করবো?

উত্তরঃ যখন মাঠ কর্মচারীগণ মৌজার নকশা তৈরী শুরু করবে তখন প্রত্যেক ভূমি মালিকের উচিত তাঁর নিজ নিজ জমির আইল সীমানা, বাড়ীর সীমানা সঠিক ভাবে দেখিয়ে দেওয়া যাতে নির্ভুল নকশা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়।

৩। প্রশ্নঃ- নকশা তৈরীর পর আমাদের করণীয় কি?

উত্তরঃ- নকশা তৈরীর পর মাঠ কর্মচারীগণ নকশার প্রতিটি দাগে যাবেন এবং দাগের সঠিক দখল দারের নাম লিখবেন। তখন সঠিক দখলদারে নাম লিখিয়ে দিতে হবে। পরে দখলদারের নামে দখল ভিত্তিক সঠিক বা বৈধ কাগজপত্র যেমন পূর্ববর্তী জরিপের কাগজ বা রেকর্ড বা দলিল বা অন্যান্য কাগজপত্রাদি দেখিয়ে যার যার জমি তার তার নামে রেকর্ড করিয়ে নিতে হবে। এই রেকর্ডের নাম খতিয়ান। প্রতিটি খতিয়ানে সঠিক ভুমি মালিকের নাম থাকবে।

৪। প্রশ্নঃ- খতিয়ান প্রস্তুতের পর আমাদের করণীয় কি?

উত্তরঃ- ডিজিটাল জরিপের ক্ষেত্রে খতিয়ান/পর্চা হল্কা অফিসার/উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক সকল বৈধ কাগজপত্রাদি দেখিয়ে খতিয়ান তসদিক করিয়ে নিতে হবে।

০৫। প্রশ্নঃ মাঠ ও তসদিক খতিয়ানে ভুল থাকলে আমাদের করণীয় কি?

উত্তরঃ- মাঠ ও তসদিককৃত খতিয়ানে ভুল পরিলক্ষিত হলে তসদিককৃত খতিয়ান তসদিকোত্তর যাঁচের পরে ৩০ কর্মদিবস ডিপি বা খসড়া প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস বা নির্ধারিত অফিসে দেয়া হবে। সেখানে গিয়ে নকশা ও রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখতে হবে নিজের হাতের তসদিককৃত খতিয়ান মূল রেকর্ড বই ও নকশার সাথে মিল আছে কিনা; তা সুন্দর ভাবে বুঝে নিতে হবে। খতিয়ানে মাঠ পর্যায়ের নম্বর পরিবর্তন করে একটি ডিপি নম্বর বসিয়ে নিতে হবে। যাদি কোন ভুল পরিলক্ষিত হয় তবে ডিপি চলাকালীন প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি দিয়ে (ডিপি চলাকালীন) ৩০ বিধি আপত্তি দায়ের করতে হবে।

০৬। প্রশ্নঃ- আপত্তি শুনানীকালে আমাদের/ভূমি মালিকগণের করণীয় কি?

উত্তরঃ- সংশ্লিষ্ট আপত্তি অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত নোটিশ জারীকারকের মাধ্যমে ভূমি মালিকগণ পেলে নির্দিষ্ট তারিখে বাদী বিবাদী উভয় পক্ষ তাদের কাগজপত্র আপত্তি অফিসারকে দেখাতে হবে। যদি নকশা সংক্রান্ত ভুল থাকে তবে প্রয়োজনীয় ফ্রি দিয়ে বিধি মোতাবেক বদর আবেদন করতে পারবেন। বদর দাখিল হলে সংশ্লিষ্ট সার্ভেয়ার বদর তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করার পর পরবর্তী তারিখে আপত্তি অফিসার রায়ের মাধ্যমে সমাধান দিবেন। যদি বদর প্রয়োজন না হয় তবে আপত্তি অফিসার বাদী/বিবাদীর বক্তব্য ও নকশা পর্চা ও আন্যান্য আনুষঙ্গিক কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রায়ের মাধ্যমে আপত্তি নিস্পত্তি করবেন।

৭। প্রশ্নঃ- কেহ যদি মনে করেন ৩০ বিধি আপত্তি স্তরে তিনি ন্যায় বিচার পাননি । তখন তার করণীয় কি?

উত্তরঃ- কেহ যদি ৩০ বিধি আপত্তি স্তরে আপত্তির রায়ের উপর সংক্ষুব্ধ বা খুশি না হন। তখন তিনি ৩০ বিধির আপত্তির নকল তুলে বিধি মোতাবেক ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অফিসে ৩১ বিধি আপিল দায়ের করতে পারবেন।

৮। প্রশ্নঃ আপিল করণীয় কি?

উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট আপিল অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত নোটিশ পাওয়ার পর বাদী/প্রতিবাদী পক্ষ ৩১ বিধি আপিল অফিসারকে যার যার কাগজপত্র প্রদর্শন করবেন। যদি নকশা সংশোধনের বিষয় হয় তবে আপত্তির মতো প্রয়োজনীয় ফ্রি দিয়ে বিধি মোতাবেক বদর দাখিল করিবেন। বদর তদন্ত সমপনান্তে প্রতিবেদন দাখিলের পর শুনানীর মাধ্যমে আপিল নিস্পত্তি করা হবে। যদি বদর প্রয়োজন না হয় তবে বাদী/প্রতিবাদীর বক্তব্য ও আনুষঙ্গিক পর্যালোচনা করে আপিল অফিসার আপিল নিস্পত্তি করতে পারবেন বা করবেন।

০৯। প্রশ্নঃ- কেহ যদি ৩০ বিধি আপত্তি দাখিল না করেন তবে কি ৩১ বিধির আপিল দাখিল করতে পারবেন?

উত্তরঃ- না। ৩১ বিধির আপিল হচ্ছে ৩০ বিধির আপত্তির রায়ের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আপিল মামলা। সুতরাং ৩০ বিধি আপত্তি দাখিল না করা হলে ৩১ বিধির আপিল দাখিল করার সুযোগ নেই।

১০। প্রশ্নঃ- কেহ যদি মনে করেন আপিলেও তিনি সঠিক প্রতিকার পাননি সেক্ষেত্রে তার করণীয় কি?

উত্তরঃ- মৌজার খতিয়ান গেজেট হওয়ার পর যদি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের শর্তে পরে তবে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করতে পারবেন। মামলায় প্রতিকার যোগ্য হলে প্রতিকার পাবেন।

১১। প্রশ্নঃ- আমি জমি খরিদ করেছি, দখল করিতেছি, নামজারী করেছি আমার জমি আমার নামে রেকর্ড হলো না কেন?

উত্তরঃ- কোন ভূমি মালিক মাঠ জরিপ হতে ৩০ বিধি আপত্তি স্তর তথা ৩১ বিধি আপিল স্তর পর্যন্ত কোন স্তরেই উপস্থিত না হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এ ধরণের ভুল রেকর্ড পূর্ববর্তী রেকর্ড মোতাবেক হতে পারে।

১২। প্রশ্নঃ- বিশেষ করে মহিলা ভূমি মালিকগণ বলেন আমি আমার বাবার সন্তান হয়েও জমি রেকর্ড পেলাম না কেন?

উত্তরঃ- আপনার ভাই/ভাইয়েরা যদি তথ্য গোপন করে রেকর্ড করিয়ে থাকেন বা তারা যদি আপনাকে বাদ দিয়ে অন্যের কাজে বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দিয়ে থাকেন খরিদ্দার/খরিদ্দারগণ দখল ভিত্তিক দলিল পত্র দেখিয়ে রেকর্ড করিয়ে নিয়ে থাকেন তবে এ সবভুল হতে পারে।

১৩। প্রশ্নঃ- কোন কোন ক্ষেত্রে ভাই প্রবাসী বা কোন কারণে না জানার কারণেও প্রশ্ন করেন আমি একই বাবার সন্তান আমার জমি আমার নামে রেকর্ড হলো না কেন?

উত্তরঃ- অন্য ভাই বা বোন যদি তথ্য গোপন করে নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে থাকেন বা বিক্রির কারণে খরিদ্দার/খরিদ্দারগণের নামে দখল ও দলিল মোতাবেক হয়ে থাকে তবে এ ধরণের ভুল হতে পারে।

১৪। প্রশ্ন- আমার প্রয়োজনীয় থাকার পরও আমার জমি আমার নামে কেন রেকর্ড হলো না?

উত্তরঃ- জরিপের সর্বস্তরে নিজে বা কোন প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকার জন্য ।

১৫। প্রশ্নঃ- আমার খতিয়ানের ৯ নং কলামে অন্যের নাম লেখা দেখা যাচ্ছে কেন?

উত্তরঃ- আপানার দখল না থাকার জন্য যার দখল আছে তার নবামে জরিপ বিধি মোতাবেক দখল রেকর্ড দেয়া হয়েছে।

১৬। প্রশ্নঃ- আমার খতিয়ান/পর্চা ও নকশার দাগ মিলছে না কেন বা দাগ ভুল কেন?

উত্তরঃ- মাঠ কর্মচারীকে হয়তো সঠিক ভাবে দাগ দেখাতে পারে নি। এমনকি জরিপের পরবর্তী স্তর গুলোতেও দাগ ভুল সংশোধনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি তা হতে পারে।

১৭। প্রশ্নঃ- আমার জরিপ পরিমাণ/এরিয়া কম কেন?

উত্তরঃ- আপনার হয়তো দখলে কম জমি আছে। তাই নকশায় কম অংকিত হয়েছে এবং রেকর্ডেও কম হয়েছে।

১৮। প্রশ্নঃ- আমি যদি না জানার কারণে জরিপের সকল স্তরে অনুপস্থিত থাকি তাহলে আমার জমি কার নামে রেকর্ড হবে?

উত্তরঃ- সাধারণত পূর্ববর্তী রেকর্ড মোতাবেক রেকর্ড হবে।

১৯। প্রুশ্নঃ- আমি কিভাবে পর্যায়ক্রমে জানতে পারলে আমার জমির রেকর্ড পেতে পারি?

উত্তরঃ- আপনি যদি মাঠ পর্যায়ে অনুপস্থিত থাকেন তবে তসদিক স্তরে পেতে পারেন। তসদিক স্তরে অনুপস্থিত থাকলে ৩০ বিধ অপত্তি স্তরে পেতে পারেন। যদি ৩০ বিধি আপত্তি দায়ের করেও না পান তবে বিধি মোতাবেক ৩১ বিধি মোতাবেক আপিলে প্রতিকার পেতে পারেন।

২০। প্রশ্নঃ- চূড়ান্ত প্রকাশিত বা ছাপানো খতিয়ানে/পর্চায় ভুল থাকলে কি করতে হবে?

উত্তরঃ- নিজের নিকট গচ্ছিত তসদিককৃত বা যে কোন স্তরের বৈধ খতিয়ান প্রাপ্ত মুদ্রিত খতিয়ানের সাথে গড়মিল হলে সংশ্লিষ্ট চূড়ান্ত প্রকাশনা অফিসারের নিকট বিধি মোতাবেক আবেদন করতে হবে। যদি করণিক ভুল হয় মূল বই ঠিক থাকে তবে মূল বই অনুসারে ৫৩৩/৫৩৪ বিধি মোতাবেক সংশোধন হবে। মূল বইতে যা আছে নিজের পর্চায় বা খতিয়ানের বা আবেদনের চাহিদা মোতাবেক না হলে সংশোধন যোগ্যনয়। নকশায় কোন করণিক ভুল অর্থ্যাৎ নম্বর ভুল থাকলে তা ৫৩৭ বিধি মোতাবেক সংশোধন যোগ্য। আবেদনে অবশ্যই বিধি মোতাবেক ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বা চূড়ান্ত প্রকাশনা চলাকালীন করতে হবে।

ভূমি নিয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে তা কমেন্ট করুন। আমি উত্তর খুজে দিতে চেষ্টা করবে। ধন্যবাদ

36 thoughts on “নকশা ও রেকর্ড সংশোধন ২০২৪ । ভূমি জরিপে নকশা ও রেকর্ডে ভুল সংক্রান্ত ২০টি প্রশ্নের উত্তর জানুন

  • RS নকশাতে নতুন দাগ তৈরি হয়েছে যেগুলো SA নকশাতে ছিল না এটা কিভাবে ঠিক করতে হবে? দলিলের দাগ নম্বর SA নকশাতে এবং মাঠ জরিপে ছিল কিন্তু SA সূচিতে পাওয়া যাচ্ছে না। এই জমি কিভাবে মালিকানা ধিন ব্যক্তির নামে রেকর্ড করা যাবে দখলকৃত সীমানা অনুসারে?

    Reply
    • যাবে। ভূমির পরিমাণ অনুসারে রেকর্ড তৈরি হবে। সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে যোগাযোগ করুন।

      Reply
      • জমির হিস্যা মালিকানা অংশে ভুল কি করব

        Reply
        • ওয়ারিশান বা দলিল নিয়ে ভূমি অফিসে রেকর্ড সংশোধনীর আবেদন করুন।

          Reply
    • আমার ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত জমির দখল 6 শতাংশ ঠিক আছে কিন্তু খতিয়ানে 4 শতাংশ, মৌজা ম্যাপ যাচাই করে দেখলাম আমার দাগে 4 শতাংশ ঠিক আছে এবং আমার দাগের পাশে 2 শতাংশ যেখানে কোন দাগ পড়েনি কিন্তু বাউন্ডারি সীমানা খালি দেখাচ্ছে তবে 6 শতাংশ পুরো জায়গা আমার দখলে এবং তাতে বিল্ডিংও নির্মাণ করা হয়েছে।এখন আমি ম্যাপ ও খতিয়ান কিভাবে শুদ্ধ করতে পারি। জানালে অনেক উপকৃত হবো।

      Reply
      • ম্যাপ ও দাগের বাহিরের জমি সরকারি খতিয়ানে চলে যায়। আপনার দাগে জমি যা আছে তাই প্রাপ্য আপনি। অতিরিক্ত ২ শতাংশ যদি কারও নামে থাকে তবেই তা ক্রয় করতে পারবেন। যদি খাস হিসেবে সরকারি খতিয়ানে চলে যায় তবে তা আপনি ক্রয়ও করতে পারবেন না। যদিও সরকার তাৎক্ষনিক উচ্ছেদ করবে না আপনাকে। আপনি খাস বা সরকারি জমি ১০০ বছরের জন্যও লিজ নিতে পারবেন।

        Reply
      • আমি জমি কিনেছি,,রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলে হচ্ছে না,,জমি টা কবর এর নামে রেকর্ড আছে,আমি আগে জানতাম না,এখন এটা কি রেকর্ড সংশোধন করা যাবে,করলেও কিভাবে করবো

        Reply
        • পূর্বের ভূমি মালিকের রেকর্ড সংশোধনী মামলা বা মিসকেস করতে হবে।

          Reply
  • সালাম নিবেন। এস এ রেকর্ড আমার দাদার নামে। ১৯৮৩ সালে তিনি তার তিন ছেলেকে যথাক্রমে ৫.৫ /২.৭৫/২.৭৫ মোট ১১ শতক জমি দলিল করে দেন। কিন্তু আর এস খতিয়ানে রেকর্ড দেখাচ্ছে ২.৫/৫.০/৩.৫(এস এ মুলে)। এটা কি করে সম্ভব। জানালে উপকৃত হব।

    Reply
    • হার্ড কপি রেকর্ড দেখিয়ে সংশোধন করে নিন।

      Reply
      • আমার পর্চা বা খতিয়ানে জমি ১৫ শতক আছে কিন্তুু নকশায় ১৩.৫ শতক আছে এখন আমি কিব১৩.৫ শতক পাবো নাকি ১৫ শতক পাবো।

        Reply
        • প্রকৃত জমি কত টুকু আছে? যদি প্রকৃত জমি ১৫ থাকে ১৫ পাবেন।

          Reply
    • আসসালামু আলাইকুম , আমার দাদার ক্রয়কৃত জমি তিনি আর এস রেকর্ড এর আগে মারা যান।মৃত্যু কালে তার এক ছেলে ও এক স্ত্রী রেখে যান।আর এস খতিয়ানে ছেলের নাম স্ত্রীর নাম নেই।খতিয়ানে আছে বিবি সালেমা খাতুন পিং আবু বাক্কার। আবু বাক্কার আমার দাদার নাম কিন্তু সালেমা নামে কেউ নেই।এখন আমাদের করনিয় কি দয়া করে জানাবেন।

      Reply
      • দখল দেখিয়ে অন্যান্য তথ্য ও রেকর্ড দেখিয়ে আরএস রেকর্ড সংশোধন করতে হবে। এজন্য মামলা রুজু করতে হবে। দ্রুত ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে মামলা চালু করেন।

        Reply
        • সিএস রেকর্ড আমার দাদার নামে, কিন্তু বিএস রেকর্ডে অন্য ব্যাক্তির নামে তারা এখন সে জমি নিজেদের বলে দাবী করছে সে ক্ষেত্রে আমাদের কি করণীয়?

          Reply
          • রেকর্ড সংশোধনী মামলা করে দেন। প্রথমে জেলা ভূমি অফিসে রেকর্ড সংশোধনী আবেদন করুন।

  • আপনার ব্লগ টি পড়ে অনেক তথ্য পেলাম।

    Reply
    • আমার পিতা ২০১৭ সনে তার পৈত্রিক ভিটা আমার নামে রেস্ট্রি করে দেন এবং আমি নামজারী করে এখন অবধি দাখিলা প্রদান করছি কিন্তু বি এস রেকর্ড হয় ২০০৯ সালে আর গেজেট প্রকাস হয় ২০১৯ সালে বাবা মারা যায় ১৮ সালে পরে আমার বোনেরা ও তার জামাই মিলে বি এস খতিয়ানে আমার পিতার নাম কেটে তাদের নাম ভরেন এবং তাদের নামে খতিয়ান আসে এখন আমি কি ভাবে বি এস খতিয়ানে মালিক হবো বা বি এস খতিয়ানে নাম না থাকলে ও নামজারী বা প্রস্তাবিত খতিয়ান দিয়ে কি জমির দাখিলা দিতে পারবো।

      Reply
      • প্রথমত ভূমি অফিসে আপনার রেজিস্ট্রি দলিল দিয়ে অভিযোগ দাখিল করবেন। অভিযোগ নিষ্পত্তি না হলে খতিয়ান সংশোধন মামলা করবেন। ব্যাস ভয়ের কিছুই নাই। খতিয়ান আপনার নামে সংশোধন হয়ে যাবে।

        Reply
        • একই দাগের একই জমি একই পরিমানের জমি রেকর্ড এক জনের নামে আর দখল অন্য জনের নামে।যার নামে রেকর্ড করা সে মামলা করার পর,যে দখলে আছে সে ই মামলায় জয় লাভ করেন এবং নামজারি করে নেন
          এখন বরতমানে দখদারি জমি টি ভোগ করছেন।
          এটা কিভাবে হলো????

          Reply
          • এটি বিভিন্ন দলিল ও বক্তব্য অনুসরণ করে কোর্ট সিদ্ধান্ত নেয়। হ্যা রেকর্ড বুল করে একজনের নামে হতেই পারে সেটি কার্যকর হবে এমন নয়।

        • একই জমি এক জনের নামে রেকর্ড করা অপর আরেক জনের নামে নামজারি করা ও দখল করা।
          কে সঠিক????

          Reply
          • এটি মামলা বলে দিবে। রেকর্ড পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে রেকর্ড বাতিল করতে হবে। আর যদি রেকর্ড সঠিক থাকে তবে নামজারি বাতিল করে দখল গ্রহণ করতে হবে। এটি কোর্ট ঠিক করবে। দুটোরই ভেল্যু আছে।

  • আমার দাদার জমি তার নামে বিএস রেকর্ড হয়েছে তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় ১৯৯৩ সালে। তিনি ২০১৩ সালে মারা গেছেন।তারবি এস খতিয়ানে এস এ খতিয়ান অনযায়ী ৫ টি দাগে যতটুকু জমি রেকর্ড হওয়ার কথা তার চেয়ে কম রেকর্ড হয়েছে্ কারন ৫টি দাগের মধ্যে ১ টি দাগের হিস্যা অনুযায়ী যতটুকু জমি অত্র খতিয়ানের অংশের কলামে হওয়ার কথা ভুলবশত তার চেয়ে অনেক কম লেখা হয়েছে।যেমনঃ ৫৯ শতাংশ x০.২০০ হিস্যা = ১২ শতাংশ হওয়ার কথা কিন্তু হয়েছে ০২ শতাংশ। এখন এটা সংশোধনের কোন পদ্ধতি আছে কি?

    Reply
    • উত্তরাধিকারী হিসেবে রেকর্ড সংশোধনের আবেদন করতে হবে।

      Reply
  • সর্বশেষ সেটেলমেন্ট জরিপে ভুল করে আমার এস এ রেকর্ডীয় জমি নয়নজলি করে গেছে। এল এ শাখা সূত্রে জানতে পেরেছি সে জমি সরকার অধিগ্রহণ করেননি। বর্তমানে জমির মালিক পানি উন্নয়ন বোর্ড। আরোর সূচি বইতে আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তির হাল দাগ মিসিং। আমি এখন কি করতে পারি??

    Reply
    • জরিপ রেকর্ড সংশোধনের আবেদন করুন। এ রকম ভুল অহরহ হচ্ছে।

      Reply
  • আমাদের জমি ৪ শতক বাবার নামে আছে খতিয়ানে।এবং পুরাতন নকশাতে ৪ শতক আছে। কিন্তু নতুন নকশা তে ১ শতক আমাদের আর বাকি ৩ শতক সরকারি হাটল দেখাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত সরকারি হাটল ঐ ৪ শতক জমির পরে থেকে শুরু। এক্ষেত্রে কিভাবে নকশা সংশোধন করতে পারব?
    ধন্যবাদ

    Reply
    • অবশ্যই। দ্রুত ভূমি অফিসে নকশা এবং রেকর্ড সংশোধনীর আবেদন করুন।

      Reply
      • হিন্দু উত্তরাধিকার দায়ভাগ আইন অনুযায়ী
        পিতা মারা যাওয়ার পর তারই ০৪ (চার) ছেলের নামে (পিতার আগে তার ২য় ছেলে মৃত্যুবরণ করায় এবং তার কোন ছেলে না থাকায় হিন্দু উত্তরাধিকার দায়ভাগ আইন অনুযায়ী মৃত ছেলের বিধবা স্ত্রী’র নামেসহ) রেকর্ড হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু BS দিয়ারার খতিয়ানে প্রতারণামূলকভাবে প্রকৃত ওয়ারিশ (পূর্বে মৃত ছেলের বিধবা স্ত্রী)-কে বাদ দিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে ৩ (তিন) জন ওয়ারিশের নামে খতিয়ান খোলা হয়েছে। যাহা হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী বিধি বহির্ভূত। ১৯৩৭ সালের (১৮নং আইন) সম্পত্তিতে হিন্দু মহিলার অধিকার আইন প্রবর্তিত হবার পর আইনের ৩ ধারা অনুসারে মৃতের মৃত্যুর পূর্বে মৃত পুত্রের বিধবা স্ত্রী [যিনি সম্পত্তি রেখে মারা গেছেন তার আগে মৃত তার পুত্রের বিধবা স্ত্রী] উত্তরাধিকারী হবে। যাহা সম্প্রতিও সিভিল রিভিশন নং-২৪৭৭/২০০৪ এর প্রেক্ষিতে স্বামীর সম্পত্তিতে হিন্দু বিধবার অংশ প্রাপ্তিতে উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট ডিভিশন)-এর রায় দ্বারা স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২০ বছর যাবৎ জমিটি ঐ তিন সন্তান দখলে রেখেছে।

        প্রশ্ন: এমতাবস্থায়, পিতার আগে তার ২য় ছেলে মৃত্যুবরণ করায় এবং মৃত ২য় ছেলের কোন ছেলে না থাকায় তবে ২টি কন্যা সন্তান থাকায় হিন্দু উত্তরাধিকার দায়ভাগ আইন অনুযায়ী মৃত ছেলের বিধবা স্ত্রী’র করণীয় কি? জানালে উপকৃত হবো।

        Reply
        • এখানে স্ত্রী সম্পত্তি পাবে। স্ত্রী বেচে থাকাকালীন কন্যাগণ প্রাপ্য নয়। স্ত্রী সম্পত্তি পাওয়া জন্য ভূমি অফিস বরাবর আবেদন করুন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দাখিল করুন। প্রয়োজনে ভূমি মামলা চলবে। এই ক্ষেত্রে যদি উক্ত স্ত্রীর সন্তান থেকে থাকে, তাহলে স্বামী ১/৪ (চার ভাগের এক ভাগ) অংশ পাবে কিন্তু স্ত্রীলোকটির যদি কোনো সন্তান না থেকে থাকে সেই ক্ষেত্রে স্বামী তার স্ত্রী রেখে যাওয়া সম্পত্তির ১/২ (অর্ধেক) অংশ পাবে।

          Reply
      • এক ব্যক্তি ১৯৭২ সালে তার ৩ পুত্র কে ৩ খন্ড হেবা দলিল মুলে বিভিন্ন জমি হেবা করেন। তার মধ্যে ৭টি দাগ এক খতিয়ানে ৩ পুত্রের নামে আর এস রেকর্ড হয় রেকর্ডে অংশ বা হিস্যা দেওয়া আছে।কিন্তু দেখা যায় আর এস রেকর্ড দলিল অনুযায়ী হয়নি অংশ বা হিস্যা কম বেশি হয়েছে কিভাবে দলিল অনুযায়ী রেকর্ড করা যাবে। দলিল গুলোর অন্যান্য দাগ সঠিক রেকর্ড হয়েছে। ধন্যবাদ

        Reply
        • দলিল কে রেফারেন্স দিয়ে রেকর্ড সংশোধনের আবেদন করুন এসিল্যান্ড বরাবর।

          Reply
  • খতিয়ানের ৯ এর কলামে যার নাম আছে তা কিভাবে উচ্ছেদ করবো । উভয়ের সম্মতিতে । আর উভয়ের সম্মতি ব্যতীত জোর দখলকৃত নাম কিভাবে উচ্ছেদ হবে ?? দয়া করে জানাবেন।

    Reply
    • ভূমি অফিসে মামলা করতে হবে।

      Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *