আজকের খবর ২০২৫

Legal Aid Office Case 2025 । নারী নির্যাতনসহ কি কি মামলা এখন আদালতে করা যাবে না?

২০২৫ সালের আইনি সহায়তা সংক্রান্ত নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কিছু নির্দিষ্ট মামলা আছে যা আদালতে সরাসরি দায়ের করার আগে লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করতে হবে। এর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ১১(গ) তে বর্ণিত যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত– Legal Aid Office Case 2025

আদালতে মামলা কমাতেই কি মধ্যস্থতাকারী আনা হলো? হ্যাঁ। কিছু নির্দিষ্ট মামলা, যেমন- তালাক, ভরণপোষণ, চেক ডিজঅনার, যৌতুক, এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ১১(গ) তে বর্ণিত যৌতুকের জন্য নির্যাতন সম্পর্কিত অভিযোগ, আদালতে দায়ের করার আগে লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারায় যৌতুকের কারণে নির্যাতনের অভিযোগ, যা আগে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সরাসরি দায়ের করা যেতো, এখন তা লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতার জন্য পাঠাতে হবে। যদি মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি না হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করতে পারবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ কমানো এবং মামলার জট কমাতে সহায়তা করবে বলে আশা করছে সরকার।

বাধ্যতামূলক মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা চালু হচ্ছে? হ্যাঁ। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা বিষয়ে এই আইনের বিধানাবলি কার্যকর হইবে। এই আইনের তফসিলে বর্ণিত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, সংক্ষুব্ধ পক্ষকে আবশ্যিকভাবে উক্ত বিরোধ প্রথমে লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে আবেদন করিতে হইবে, এবং মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হইলে বিরোধের কোন পক্ষ প্রয়োজনে উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবে। মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মামলা দায়েরকারীকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট আদালতে বাধ্যতামূলকভাবে দাখিল করিতে হইবে। মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ায় ব্যয়িত সময় তামাদির মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে বাদ যাইবে। এই আইনের অধীন মধ্যস্থতা কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার বা ক্ষেত্রমত, স্পেশাল মেডিয়েটর এর অধিক্ষেত্র সমগ্র জেলা ব্যাপী নির্ধারিত হহবে।

মধ্যস্থতা-চুক্তির কার্যকারিতা কিভাবে হবে? পক্ষগণের সহি/স্বাক্ষর ও মধ্যস্থতাকারীর স্বাক্ষরক্রমে সম্পাদিত এবং চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার কর্তৃক প্রত্যায়িত প্রতিটি মধ্যস্থতা চুক্তি চূড়ান্ত, বলবৎযোগ্য এবং পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে। উপ-ধারা (১) এর অধীন চুক্তি আদালতের ডিক্রি অথবা ক্ষেত্রমত, চূড়ান্ত আদেশ হিসাবে গণ্য হইবে এবং এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের মাধ্যমে উক্ত ডিক্রি বা আদেশ জারি করা যাইবে।

আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ / এই প্রক্রিয়া আদালতের মামলা সংখ্যা কমাবে এবং জটিল মামলা নয় এমন মামলার ক্ষেত্রে সহজ সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

লিগ্যাল এইড (Legal Aid) হলো আর্থিকভাবে অসচ্ছল বা দুর্বল ব্যক্তিদের আইনি সহায়তা প্রদান করা, যাতে তারা বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে আইনি পরামর্শ, আইনি পরিষেবা এবং ন্যায়বিচার পেতে পারে। এটি সাধারণত সরকার বা বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হয়।

Caption: Details Act Download Link

Legal Aid 2025 । এখন থেকে যে সকল মামলা সরাসরি আদালতে করা যাবে না।

  1. পারিবারিক আদালত আইন, ২০২৩ এর ধারা ৫-তে উল্লিখিত বিষয়;
  2. বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯১-তে উল্লিখিত বিরোধ;
  3. সহকারী জজ আদালতের এখতিয়ারভুক্ত বন্টন সম্পর্কিত বিরোধ;
  4. State Acquisition & Tenancy Act, 1950 এর section 96 এ উল্লিখিত অগ্রক্রয় সম্পর্কিত বিরোধ;
  5. Non-Agricultural Tenancy Act, 1949 এর section 24 এ উল্লিখিত অগ্রক্রয় সম্পর্কিত বিরোধ;
  6. পিতামাতার ভরণপোষণ আইন, ২০১৩ এর ধারা ৮ অনুসারে পিতা-মাতার ভরণপোষণ সম্পর্কিত বিরোধ
  7. Negotiable Instruments Act, 1881 এর section 138 এ বর্ণিত চেক ডিসঅনার সম্পর্কিত অভিযোগ (অনধিক পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যমান চেকের ক্ষেত্রে);
  8. যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৩ ও ৪ এ বর্ণিত যৌতুক সম্পর্কিত অভিযোগ;
  9. নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা ১১(গ)তে বর্ণিত যৌতুকের জন্য নির্যাতন সম্পর্কিত অভিযোগ।

এতে কি মামলার জট করে যাবে?

এখন থেকে যে সকল মামলা সরাসরি আদালতে করা যাবে না। এতে মামলার জট অনেকটা কমে যাবে। ১)পারিবারিক আদালতের মোকদ্দমা। ২)চেক এর মামলা (৫ লক্ষ টাকার কম)। ৩)যৌতুকের (৩ ও ৪ ধারা)। ৪)নারী নির্যাতন মামলা (১১গ)। ৫)বন্টন সম্পর্কিত বিরোধ। ৬)অগ্রক্রয় মামলা। এখন থেকে সরাসরি আদালতে দায়ের করা যাবে না। আগে Legal Aid যেতে হবে(দরখাস্ত করতে হবে)। মধ্যস্থতা না হলে তারপর আদালতে মামলা করতে হবে। প্রথমত সহজ ও দ্রুত সময়ে সমাধান করা সম্ভব হবে।

সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে যারা আর্থিকভাবে দুর্বল বা সমাজের সুবিধাবঞ্চিত।আইনি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র এবং অভাবী মানুষের আইনি অধিকার রক্ষা করা।আইনি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে মামলা-মোকদ্দমায় তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
লিগ্যাল এইড এর মাধ্যমে নিম্নলিখিত পরিষেবাগুলি প্রদান করা যেতে পারে: আইনি পরামর্শ ও সহায়তা, মামলা-মোকদ্দমায় আইনি প্রতিনিধি নিয়োগ, আইনি কাগজপত্র প্রস্তুতকরণ ও দাখিল করা, আপোস-মীমাংসার জন্য সহায়তা, অন্যান্য আইনি পরিষেবা.যদি কেউ আইনি সহায়তা পেতে আগ্রহী হন, তাহলে তাকে তার এলাকার লিগ্যাল এইড অফিসে যোগাযোগ করতে হবে অথবা সরকারের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। 
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *