সূচীপত্র
পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে গত ২২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়-সেন্টমার্টিনে অবস্থান নিয়ে নতুন নির্দেশনা ২০২৪
নৌ-চলাচলের অনুমতি নিতে হবে মন্ত্রণালয় হতে? হ্যাঁ। – উক্ত সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ (প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক) মহোদয় উপস্থিত ছিলেন। সভায় পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে নতুন কিছু সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি গ্রহণপূর্বক সেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলের অনুমতি প্রদান করবে|
আগামী নভেম্বর মাসে দ্বীপে রাত থাকা যাবে না? না। নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক দিনের বেলায় যাবে এবং দিনেই ফিরে আসবে, রাত্রিযাপন করতে পারবে না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিন দ্বীপে রাত্রিযাপন করতে পারবে। পর্যটকের সংখ্যা গড়ে প্রতিদিন ২০০০ (দুই হাজার) এর অধিক হবে না এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষাকল্পে সমুদ্র সৈকতে রাতে আলো জ্বালানো যাবেনা, শব্দ সৃষ্টি করা যাবে না এবং বার-বি কিউ পার্টি করা যবে না।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত একটি ছোট্ট প্রবাল দ্বীপ। এর স্বচ্ছ পানি, সুন্দর বালুকাময় সৈকত, নারিকেল গাছের বাগান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মন কাড়ে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবস্থান নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি / বার-বি কিউ পার্টি করা যাবে না দ্বীপে
কিভাবে যাবেন? ঢাকা থেকে কক্সবাজার, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ, এবং টেকনাফ থেকে নৌকায় করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য শীতকালই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এই সময় আবহাওয়া অনেকটা সুন্দর থাকে এবং সমুদ্র শান্ত থাকে।Caption: New Order for Stay in Saintmartin
সেন্টমার্টিন দ্বীপে যা নিয়ে যাবেন ২০২৪ । সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য শীতকালই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
- সানস্ক্রিন
- স্ন্যাক্স এবং পানি
- সাঁতারের পোশাক
- ক্যামেরা
- টর্চ
- মশারি
- সেন্টমার্টিন একটি ছোট দ্বীপ। এখানে বড় বড় হোটেল বা রিসোর্ট নেই। তাই আগে থেকে বুকিং করে যাওয়া ভালো।
কি আছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে?
দ্বীপের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সৈকতগুলো সফরকারীদের জন্য স্বর্গ। সূর্যাস্নান, সাঁতার, এবং সমুদ্রের ঢেউয়ে খেলা – সবই এখানে সম্ভব। সেন্টমার্টিনের আরেকটি বড় আকর্ষণ হলো এর প্রবাল প্রাচীর। স্কুবা ডাইভিং এবং স্নোরকেলিংয়ের জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা। দ্বীপটি নারিকেল গাছের জন্য বিখ্যাত। নারিকেলের স্বাদ গ্রহণ এবং তার ছায়ায় বিশ্রাম নেওয়া এক অনন্য অভিজ্ঞতা। দ্বীপটিতে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক জীবের বাস। ডলফিন, কচ্ছপ, এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এখানে দেখা যায়। দ্বীপের স্থানীয়রা খুবই আতিথেয়। তাদের সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানা এক অন্যরকম আনন্দ।