সূচীপত্র
ঘরে বসে বিকাশে বাইকের ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করতে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টালে (bsp.brta.gov.bd) লগ ইন করে যানবাহনের তথ্য যোগ করুন এবং ট্যাক্স টোকেন নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ফি বিকাশ করুন। পেমেন্ট সম্পন্ন হলে আপনার দেওয়া ঠিকানায় ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ট্যাক্স টোকেন পৌঁছে যাবে।–মোটরসাইকেল ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি ২০২৫
বাইকের ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি ২০২৫ – ১০০ সিসি’র উপরের বাইকের জন্য ২ বছরের জন্য ২৩০০ টাকা ট্যাক্স টোকেন ফি হিসেবে প্রদান করতে হয় – সাধারণত ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই আমাদের ট্যাক্স টোকেনের অর্থ বা ফি পরিশোধ করতে হয়। ব্যাংকে দৌড়াদৌড়ি না করে আপনি মাত্র ৫ মিনিটে ঘরে বসে অনলাইনে ট্যাক্স টোকেন পরিশোধ এবং ট্যাক্স টোকেন কাগজ কুরিয়ারে পাওয়া যাবে। কেউ ১০ বছরের জন্য করেন আবার কেউ ২ বছরের জন্য করেন তবে ট্যাক্স টোকেন বিকাশে পরিশোধ করলে কুরিয়ার ফি নিয়ে বিকাশ এটি আপনার বাসার এড্রেসে ট্যাক্স টোকেন পৌছে দিবে।
বাংলাদেশে অনলাইনে বাইকের ট্যাক্স টোকেন নবায়নের পুরো প্রক্রিয়াটি এখন বেশ সহজ। চলুন, ধাপে ধাপে জেনে নিই কীভাবে কাজটি সম্পন্ন করবেন:
ধাপ ১: বিআরটিএ পোর্টালে লগইন: প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর অফিসিয়াল পোর্টালে যেতে হবে। সেখানে আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন এবং লগইন করুন। যদি আপনার আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে শুধু লগইন করলেই হবে।
ধাপ ২: প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান: লগইন করার পর, আপনার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং চেসিস নম্বর দিয়ে নিবন্ধন যাচাই করতে হবে। এরপর, আপনার গাড়ির বর্তমান ট্যাক্স টোকেন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত করুন। এখানে আপনি নবায়নের মেয়াদও বেছে নিতে পারবেন (যেমন: ১ বছর বা ২ বছর)।
ধাপ ৩: ফি পেমেন্ট: সব তথ্য সঠিক থাকলে আপনি পেমেন্ট করার অপশন পাবেন। এই পেমেন্ট আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে করতে পারবেন, যেমন: মোবাইল ব্যাংকিং: বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে সহজেই পেমেন্ট করা যায়। অনলাইন ব্যাংকিং: আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সরাসরি পেমেন্ট করতে পারবেন। ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড: ভিসা, মাস্টারকার্ড বা অন্যান্য কার্ড ব্যবহার করেও পেমেন্টের সুযোগ রয়েছে। পেমেন্ট সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইলে একটি নিশ্চিতকরণ বার্তা আসবে।
ধাপ ৪: কুরিয়ারে ট্যাক্স টোকেন গ্রহণ: পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর বিআরটিএ থেকে আপনার ট্যাক্স টোকেনটি প্রিন্ট করা হবে এবং আপনার অ্যাকাউন্টে দেওয়া ঠিকানায় কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আপনাকে নতুন ট্যাক্স টোকেনটি হাতে পেতে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় আপনাকে একবারও বিআরটিএ অফিসে যেতে হবে না। আপনি ঘরে বসেই আপনার বাইকের ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করতে পারবেন, যা সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচিয়ে দেবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) তাদের সেবাকে আরও সহজ ও আধুনিক করতে একটি নতুন ডিজিটাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখন থেকে নাগরিকরা বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল (bsp.brta.gov.bd)-এর মাধ্যমে ঘরে বসেই বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই নতুন ব্যবস্থা আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার পাশাপাশি মানুষের মূল্যবান সময় ও অর্থ বাঁচাবে বলে আশা করা যায়। যেসব সেবা অনলাইনে পাওয়া যাবে:- শিক্ষানবিশ লাইসেন্স: শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন এবং লাইসেন্স প্রিন্ট করার সুবিধা।
- পরীক্ষার ফলাফল: ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে।
- পরীক্ষার তারিখ: ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ডের পুনর্বার পরীক্ষার তারিখ জানার সুবিধা।
- মোটরযান রেজিস্ট্রেশন: মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন।
- ফিটনেস ও ট্যাক্স টোকেন: ফিটনেস সনদ এবং ট্যাক্স টোকেন নবায়নের জন্য অনলাইনে আবেদন ও ফি জমা দেওয়া যাবে।
- রাইড শেয়ারিং: রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও রাইড শেয়ারিং মোটরযানের এম্প্যানেলমেন্ট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন ও ফি জমা।
- অন্যান্য ফি জমা: মোটরযানের অগ্রিম আয়কর, ফিটনেস নবায়ন ফি, ট্যাক্স-টোকেন ফি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিসহ অন্যান্য ফি মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড, নেক্সাস কার্ড, অ্যামেক্স কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে জমা দেওয়ার সুবিধা।
ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ডিআরসি) ও ফিটনেস সার্টিফিকেট: মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ডিআরসি) এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট গ্রহণ ও সংরক্ষণের সুবিধা।
এই উদ্যোগের ফলে বিআরটিএ-এর সেবায় স্বচ্ছতা এবং গতিশীলতা বাড়বে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা গ্রহণ করার এই সুবিধা নাগরিকদের জন্য একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। এর মাধ্যমে সেবা নিতে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করার ভোগান্তি কমবে। বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল: bsp.brta.gov.bd এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল, অথবা কল সেন্টার নম্বর ১৬১০০-এ যোগাযোগ করা যেতে পারে।
Caption: Source of Details
মোটরসাইকেল ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি ২০২৫ । ডাকযোগে ট্যাক্স টোকেন পাওয়ার ধাপসমূহ কি কি?
- বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টালে প্রবেশ করুন: আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে bsp.brta.gov.bd ওয়েবসাইটে যান।
- লগ ইন করুন: বিআরটিএ সাইটে-এ লগ ইন করার জন্য আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করুন।
- যানবাহনের তথ্য যোগ করুন: আপনার বাইক বা যানবাহনের তথ্য पोर्टल-এ যোগ করুন।
- ট্যাক্স টোকেন নবায়নের জন্য আবেদন: হোম অপশন থেকে আপনার যানবাহনের তথ্য নির্বাচন করে ট্যাক্স টোকেন নবায়নের জন্য আবেদন করুন।
- বিকাশ পেমেন্ট: প্রয়োজনীয় ফি-এর জন্য বিকাশ ব্যবহার করে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
- ট্যাক্স টোকেন গ্রহণ: পেমেন্ট কনফার্ম করার পর, আপনার দেওয়া ঠিকানায় ই-Courier সার্ভিসের মাধ্যমে ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ট্যাক্স টোকেন পৌঁছে যাবে।
১০ বছরের ট্যাক্স টোকেন ফি একই সাথে দেওয়া যায় কি?
মোটরসাইকেলের ট্যাক্স টোকেন নবায়নের জন্য নির্দিষ্ট ফি নির্ভর করে সিসি’র উপর, তবে ২০২৫ সালের জন্য নির্দিষ্ট ফি’র তথ্য এই মুহূর্তে পাওয়া যাচ্ছে না; তবে ১০০ সিসির নিচে বা তার চেয়ে বেশি সিসি’র জন্য আলাদা ফি আছে, যা ৫ কিস্তিতে বা ২ বছর পর পর দেওয়া যায়। ট্যাক্স টোকেন নবায়ন না করা হলে জরিমানার পরিমাণ সিসি’র উপর নির্ভর করে। মোটরসাইকেলের সিসি’র ওপর নির্ভর করে ট্যাক্স টোকেন নবায়নের ফি নির্ধারিত হয়। ১০০ সিসির কম মোটরসাইকেলের জন্য ১০ বছরের ট্যাক্স টোকেন ফি ছিল ৫,৭৫০ টাকা। ১০০ সিসি’র মোটরসাইকেলের জন্য ১০ বছরের ট্যাক্স টোকেন ফি ছিল ১১,৫০০ টাকা। এর চেয়ে বেশি সিসি’র মোটরসাইকেলের জন্য ট্যাক্স ফি ভিন্ন হতে পারে। ট্যাক্স টোকেন মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যত বেশি দেরি হবে, জরিমানা তত বেশি হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে নবায়ন না করলে প্রতি বছরের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জরিমানা যোগ হয়, তবে এটি নির্দিষ্ট সময়ের পর থেকে প্রযোজ্য হয়।সর্বশেষ ফি জানতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বা এর সার্ভিস পোর্টাল (BRTA Service Portal) দেখুন। আপনার মোটরসাইকেলের সিসি’র ওপর ভিত্তি করে ফি এবং জরিমানা জানতে বিআরটিএ ওয়েবসাইটে অথবা তাদের সার্ভিস পোর্টালে যেতে পারেন।
বিকাশে পেমেন্টের জন্য ৩৫ টাকা অতিরিক্ত ডেলিভারি চার্জ প্রযোজ্য। | ট্যাক্স টোকেন নবায়নের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন – ফিটনেস সার্টিফিকেটের মূল কপি এবং হালনাগাদ ট্যাক্স টোকেন সাথে রাখতে হবে। | আপনার বাইকের রেজিস্ট্রেশন বা ফিটনেস নবায়নের জন্য সর্বশেষ সার্কেল অফিস থেকে সেবা গ্রহণ করতে হবে। |
ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করা না থাকলে কত টাকা জরিমানা দিতে হবে?
ট্যাক্স টোকেন নবায়ন না করলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তবে জরিমানার পরিমাণ গাড়ির ইঞ্জিন ক্ষমতা, করের বকেয়া সময়কাল এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (BRTA)-এর নির্দিষ্ট নীতিমালার ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী, ট্যাক্স টোকেন মেয়াদোত্তীর্ণ হলে অনধিক ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। যদি কর ছয় মাস বা তার বেশি সময় ধরে বকেয়া থাকে, তাহলে ব্র্যাক (BRTA) ক্রমবর্ধমান বিলম্ব ফি আরোপ করতে পারে, যা জরিমানার চেয়েও বেশি হতে পারে। অন্যদিকে, কোনো জরিমানার পরিবর্তে শুধু মূল কর এবং ফি জমা দিয়ে কাগজপত্র হালনাগাদ করার সুযোগও থাকতে পারে, যেমনটি আগে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে।