ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বিভিন্ন বাণিজ্য ও ব্যবসায়ের মোকাবিলায় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের একটি শাখা। র্তমানে টিসিবির চেয়ারম্যান হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান, পিএসসি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের খাদ্য ও সংস্থার ঘাটতি মেটাতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের ট্রেডিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৬ সালে ট্রেডিং কর্পোরেশনের কাঠামোর সংস্কার করে এবং এর কর্মীদের সংখ্যা হ্রাস করে। এটি বাংলাদেশে জরুরি অবস্থার সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করে এবং কিছু আইটেম রফতানিও করে।

টিসিবি পণ্যের মূল্য তালিকা ২০২৪ – মোটা চাল ৫৫-৫৮ টাকা। ফাইন রাইস ৬৩ থেকে ৮০ টাকা। আটা ৪০-৬৫ টাকা, রিফাইন সয়াবিন তেল ১৬৭-১৭০ টাকা, পাম অয়ের ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, চিনি-১২৫-১৩০ টাকা, আলু ৭০-৭৫ টাকা, পেয়াজ ৬০-৮০ টাকা, রসুন ২৩০-২৮০ টাকা, হলুদ ৩২০ -৪০০ টাকা, শুকনা মরিচ ২৫০-৩৫০ টাকা, আদা ৪৫০-৫০০ টাকা এবং লবঙ্গ ১৩০০-১৬০০ টাকা কেজি।

টিসিবি’র পন্য মূল কেমন হয়? চলুন উদাহরণ হিসেবে ০৭নং লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের  টিসিবি পন্য বিক্রির তারিখ ও দর দেখা যাক। টিসিবির সকল কার্ডধারী আগ্রহী লক্ষীপুর ইউনিয়নসহ আমাদের ০৯ ওয়ার্ডের সকল সদস্যদের বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সর্বমোট টাকা= ৪১০/- (তৈল =২লিটার, মুসর ডাল =২ কেজি, চিনি =১কেজি)।

বিগত ৩০ দিনের খুচরা বাজার দর থেকে আজকের বাজার দর নিচের তালিকায় সর্বশেষ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজকের টিসিবি বাজার দর ২০২৫

 

Caption: Todays Market Price bd pdf

আজকের বাজার দর ২০২৫ । নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কেজি প্রতি মূল্য তালিকা ২০২৫

  • চাল সরু (নাজির/মিনিকেট) প্রতি কেজি ৭০
  • চাল (মাঝারী)পাইজাম/আটাশ প্রতি কেজি ৫৮
  • সয়াবিন তেল (লুজ) প্রতি লিটার ১৬৩
  • সয়াবিন তেল (বোতল) 2 লিটার ৩৪০
  • সয়াবিন তেল (বোতল) ১ লিটার ১৭৩
  • মশুর ডাল (ছোট দানা) প্রতি কেজি ১৩০
  • ছোলা (মানভেদে) প্রতি কেজি ১২০
  • আলু (মানভেদে) প্রতি কেজি ৪৫
  • পিঁয়াজ (দেশী) প্রতি কেজি ৫০
  • রসুন (দেশী) প্রতি কেজি ২৪০
  • রসুন (আমদানি) প্রতি কেজি ২১৫
  • আদা (আমদানি) প্রতি কেজি ১০০
  • এলাচ(ছোট) প্রতি কেজি ৩,৪০০
  • মুরগী(ব্রয়লার) প্রতি কেজি ২০০
  • চিনি প্রতি কেজি ১২০

অনলাইনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বিক্রয় কেন্দ্র?

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বাংলাদেশী অনলাইন মুদি এবং খাদ্য পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। ব্যবহারকারীগণ প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ফল এবং সবজি, মাংস এবং দুগ্ধ, মুদিপণ্য, এবং ব্যক্তিগত যত্ন ও গৃহস্থালি সামগ্রী ক্রয় করতে পারেন। বর্তমানে এটি পুরান ঢাকা এর কিছু অংশ ব্যতীত ঢাকা শহরের সকল এলাকায় সেবা প্রদান করছে। বিপণন ব্যবস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সকল পর্যায়ে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। বিপণন বিবেচনা শুরু হয় উৎপাদন সিদ্ধান্ত এবং উৎপাদন প্রযুক্তি নির্ধারণের আগেই। সুতরাং, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং বর্ধিত উৎপাদন বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিপণনের ভুমিকা অনস্বীকার্য। ১৯৩৪ সালে কৃষি বিপণন উপদেষ্টা বিপণন বিভাগ তৈরি করার জন্য তৎকালীন সরকারের কাছে একটি পরিকল্পনা জমা দেন। সরকার প্রকল্পটি গ্রহণ করে এবং ১৯৩৫ সালে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক বিপণন কর্মী নিয়োগ করে। বিপণনের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা বুঝতে পেরে অবিভক্ত বাংলার সরকার ১৯৪৩ সালে স্থায়ী ভিত্তিতে কৃষি ও শিল্প অধিদপ্তরের অধীনে কৃষি বিপণন বিভাগ গঠন করে। স্বাধীনতার পর ১৯৫৪ সালে, পূর্ব পাকিস্তান সরকার কৃষি, সমবায় এবং ত্রাণ অধিদপ্তরের অধীনে কৃষি বিপণন পরিদপ্তরের অনুমোদন দেয়। ১৯৬০ সালে, প্রাদেশিক পুর্ণগঠন কমিটি কৃষি বিপণন পরিদপ্তরের বিভাগ, জেলা এবং মহুকমা পর্যায়ে লোকবল নিয়োগের অনুমোদন দেয়। ১৯৮২ সালে, বাংলাদেশ সরকার ব্রিগেডিয়ার এনামুল হক খানের নেতৃত্বে গঠিত সাংগঠনিক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে/বিভাগ পুনর্গঠন করে। তখন, কৃষি বিপণন পরিদপ্তরের গুরুত্ব, অবস্থা, এবং কর্মপরিধি বিবেচনা করে এর নাম মর্যাদা উন্নত করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর করা হয়।