ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় গোটা বিশ্ব যেখানে টালমাটাল অবস্থায়, সেখানে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স এ উর্ধ্বগতিতে রয়েছে, দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, মানুষ কোথাও না খেয়ে থাকেনি, দেশের পদ্মাসেতু বাস্তবায়নসহ সকল মেগা প্রজেক্টের কাজ পুরোদমে চলছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের হার বাংলাদেশে বেশি, একারনে বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে বেশি কাজের সুযোগ পাচ্ছে।
আজ দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাজধানীর চারটি হাসপাতালে নতুন করে ১২৬টি ডায়ালাইসিস বেড উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বেড বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এই হাসপাতালে আগে বেড ছিল ৮’শ টি। আমরা এটিকে উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণ করার মাধ্যমে এখন সাড়ে ১৩শ বেড করেছি। নতুন আরো ২৪০ বেড বৃদ্ধির কাজ চলমান রয়েছে। আজকেই দেশের কুর্মিটোলা, মুগদা, মিটফোর্ড হাসপাতালের সাথে একযোগে আরো ১২৬ টি নতুন ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করা হলো। এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উন্নতমানের নতুন ২০ টি বেড স্থাপন করা হলো। একই সাথে, ঢাকার পাশাপাশি ৮ বিভাগে ৮ টি ১৫ তলাবিশিষ্ট সমন্বিত ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। আমরা চাচ্ছি ঢাকার মানের সেবা ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে দিতে। এজন্য জেলা হাসপাতালে দ্বিগুণ বেড বৃদ্ধিসহ মফস্বল এলাকায় চিকিৎসা সেবা পৌছে দিতে ১৪ হাজার ১৫৬ টি কমিউনিটি সেন্টার করা হয়েছে। এগুলো থেকে দিনে ৯ লাখেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন যা চিকিৎসা সেবায় বর্তমান সরকারের ডিসেন্ট্রালাইজেশন চিন্তার ফসল।
ভ্যাকসিন প্রদান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে এখন ১০ কোটির মতো ভ্যাকসিন আছে। এখনো অনেকেই ভ্যাকসিন নেননি বা নিতে চাচ্ছেন না। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে বর্তমানে কোভিডে মৃত্যুর ৮৫ ভাগ মানুষই নন ভ্যাকসিনেটেড। আক্রান্তেও নন ভ্যাকসিনেটেড মানুষ শীর্ষে। এজন্য ভ্যাকসিন নিতে দেশের অবশিষ্ট মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলমসহ মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।