সূচীপত্র
মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো সীম ক্রয়ে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন অফারে সিম বিক্রি করে থাকে। ফলে হর হামেশাই দেখায় একজন অপারেটর বা মোবাইলের জন্য একাধিক সিম ক্রয় করা হয়।
ফলে একটি পরিবারে ৫-৭ জন সদস্য হলে সবাই কিন্তু সিম ক্রয় করে না। আবার একটি মোবাইলে একাধিক সিম ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে বিধায়, প্রতি পরিবারের প্রায় ১০-২০টি সিম ক্রয় করে ব্যবহার করছে। তাছাড়া ৫টি মোবাইল অপারেটেরের একটি করে সিম থাকলেও একজনেরই প্রায় ৫টি সিম থাকে।
সিমের মালিকানা কি?
যে ব্যক্তি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিজের ফিংগার এবং এনআইডি দিয়ে সিম ক্রয় করে থাকে তিনিই সিমের মালিক। তাই আপনি যতগুলো সিম ক্রয় করেছেন তার হিসাব আপনাকেই রাখতে হবে। কোন সিম দিয়ে যদি ক্রাইম সংঘঠিত হয় তবে তার জন্য সিমের মালিককেই দায়ী করা হবে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কোন সিম বিক্রেতার নিকট গেলে বা সংশ্লিষ্ট কাষ্টমার কেয়ারের নিকট গিয়ে খুব সহজেই আপনার এনআইডি নম্বর এবং নাম বের করে আপনাকে খুজে পেতে পারে। তাই সিম হারিয়ে গেলে অপ্রত্যাশিত বিপদ হতে রক্ষা পেতে থানায় জিডি রাখুন।
এত সিম আমরা কেন কিনি?
লোভনীয় মোবাইল কোম্পানীর অফার এবং ফি ডাটা ও টকটাইম পেতে আমরা এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে সিম ক্রয় করে থাকি। মাত্র ৯৯ টাকা দিয়ে সিম কিনলে ২০০ টাকার ডাটা এবং টকটাইম দিচ্ছে। তাই কেউ কেউ রিচার্জ না করে সিম কিনে ব্যবহার করছে। একটি প্রাইমারী সিম থাকলে ৫টি সেকেন্ডারী সিম থাকছে তার কাছে। হরহামেশা সিম কিনে ব্যবহার করে সিম হারিয়ে পড়তে পারেন বিপদে তাই সিমের মালিকানা চিহ্নিত রাখুন এবং সিম স্বযত্নে রাখুন।
সিমের মালিকানা কিভাবে জানবো?
যদি আপনার কাছে একটি সীম থাকে এবং সেটি যদি রাস্তার পেয়ে থাকেন অথবা আপনার বাড়িতে পেয়ে থাকেন। কে কিনেছে বা আপনার পরিবারের কার নামে তা যদি মনে না থাকে বা আপনি নম্বর দেখেও শনাক্ত করতে না পারেন। তবে আপনি কাষ্টমার কেয়ারে চলে যান। সংশ্লিষ্ট মোবাইল কোম্পানি সিম নম্বর দিয়েই মালিকানা তথ্য দিতে পারেন।
নিজে নিজে মালিকানা জানার কি উপায় আছে?
আছে। তবে আপনাকে প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে যে, সিমটি আপনার পরিবারের কারও হতে পারে। যদি তাই মনে হয় যে সিমটি আপনার পরিবারের কারও হবে বা আপনারও হতে পারে। আপনি অনেক সিম কিনেছেন তার নম্বরও হয়তো আপনার মনে নেই। যদি তাই হয়, তবে প্রথমে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর হাতে নিন এবং একটি মোবাইলে সিমটি একটিভ করুন। মেয়াদ না থাকলে *২# ডায়াল করে মোবাইল নম্বরটি দেখে নিন এবং চাইলে রিচার্জ করে একটিভ করে নিন। মালিকানা জানতে মোবাইল নম্বরও জেনে নিতে হবে।
প্রথমে *16001# ডায়াল করুন এবং পরবর্তী ধাপে গিয়ে আপনার নিজের এনআইডি নম্বরের শেষ ৪ ডিজিট ইনপুট দিন Send চাপুন। ফিরতি ম্যাসেজে নিচের চিত্রের মতো এনআইডি’র বিপরীতে সীম নম্বর দেখাবে। সেখানে চেক করুন এই সিমের নম্বরের শেষ ২ ডিজিট মিলছে কিনা। যদি মিলে থাকে তবে মালিক আপনি নিজে।
মালিকানা জানার স্টেপ গুলো ধাপে ধাপে জেনে নিই
মোবাইল প্যাডে কোড টাইপ ধাপ-১
আপনার ১৭ ডিজিট জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ১০ ডিজিট এনআইডি নম্বরের শেষ ৪ সংখ্যা লিখুন এবং Send বাটন চাপুন।
যদি গ্রামীনফোন সিম হতে ম্যাসেজ পাঠিয়ে থাকেন তবে নিচের চিত্রের মত একটি নোটিফিকেশ দেখাবে এবং আপনি একটি ম্যাসেজের জন্য অপেক্ষা করুন।
যদি নিচের চিত্রের মতো ফিরতি ম্যাসেজ পান এবং ম্যাসেজের মোবাইল নম্বরগুলোর সাথে আপনার মোবাইলে ইনসার্ট করা সিমের নম্বরের শেষ ২ টি ডিজিট মিলে যায় এবং আপনি বুঝতে পারেন সিস্টে সিমের নম্বর আছে তাহলে এই সিমটির মালিক আপনি নিজে।
যদি উপরের চিত্রের মতো ম্যাসেজ না আসে বা লিস্টে দেওয়া নম্বরের সাথে প্রাপ্ত সিমটির নম্বর মিলছে না তবে সিমটির মালিক অন্য কেউ। আপনি আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এনআইডি দিয়ে একইভাবে নিশ্চিত হতে পারেন পরিবারের মূলত কে এই সিমের মালিক। আর যদি নিচের সিমের মত ম্যাসেজ আসে তাহলে বুঝবেন সিমের মালিক আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ নয়। যদি সিমের মালিক আপনি বা আপনার পরিবার না হয়ে থাকেন তবে সিমটি ব্যবহার হতে বিরত থাকে।
খুজে পাওয়া বা পড়ে থাকা সিমটি দিয়ে যদি কোন ক্রইম করা হয়। তবে আপনি বিপদে পড়ে যেতে পারেন। তাই কুড়িয়ে পাওয়া বা মালিক বিহীন সিম ব্যবহার করা হতে বিরত থাকেন।
গ্রামীনফোন ইউজার হলে মাই জিপি অ্যাপ ব্যবহার করেও মালিকা জেনে নিতে পারেন।
ধন্যবাদ
ভিডিও আসছে…………………….
Pingback: How to cancel SIM Registration bd । সিম বন্ধ করার নিয়ম - Reportbd