জমি ক্রয়ের বায়না করার পূর্বে ও পরে ক্রেতার কিছু করনীয় রয়েছে। জমি কেনার প্রথম ধাপেই আসে বায়না করার বিষয় টি। জমি কেনা বা বেচার বিষয়ে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে আলোচনা করার পর প্রাথমিক যে চুক্তি হয়ে থাকে তাই বায়না চুক্তি। বায়না দলিল করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। একটি আধুনিক দলিলের নমুনা ২০২৪ । দলিলে যে বিষয়গুলো উল্লেখ থাকতে হবে
সেগুলো হলো:
- বায়না দলিলে জমির তফসিল অর্থাৎ মৌজা, খতিয়ান, দাগ নম্বর এবং জমির চৌহদ্দি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হয়। বায়না দলিল জমির চূড়ান্ত দলিলের মত সমান গুরুত্বপূর্ণ না হলেও উপরোক্ত বিষয় গুলো সঠিক ভাবে উল্লেখ করুন। কারন এতে বায়না পরবর্তী কিছু জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
- যথা সম্ভব কম টাকায় বা সর্বনিম্ন টাকায় বায়না চুক্তি করুন।
- জমির সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ পর জমির বিক্রেতা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে ব্যর্থ হন, তবে ক্রেতা হিসেবে আপনি কী কী প্রতিকার পাবেন দলিলে তার উল্লেখ করুন।
- বায়না দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রি করে নিবেন। কারণ রেজিষ্ট্রেশনকৃত বায়না দলিল ছাড়া চুক্তি প্রবল/ ভঙ্গের মামলা আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করা যায় না। বায়না দলিল রেজিস্ট্রি খরচ খুবই কম এবং তা খুব সহজেই করা যায়।
- বায়না চুক্তি সম্পাদনের তারিখ হতে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে চুক্তিপত্রটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য দাখিল করতে হয়।
এবার আসুন জানি, বায়না দলিল পরবর্তী ক্রেতার করনীয়।
- জমির বায়না দলিল রেজিষ্ট্রেশন করার পর প্রথম কাজ হলো জমি মেপে দখল সীমানা দেয়া।
- বায়নাকৃত জমির সীমানায় একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাইনবোর্ডে উল্লেখ করুন যে জমির পরিমান….. এবং বায়না সূত্রে জমির মালিক আপনি।
- উক্ত জমি কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বন্ধক দেয়া কিনা তাও জেনে নিন। সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রার অফিস থেকে NEC উত্তোলন করুন। সাধারণত NEC তে আবেদনের ১২ বছর পূর্ব পর্যন্ত তথ্য প্রদান করা হয়।
- উক্ত জমি নিয়ে কোন ধাপে কোন সমস্যার মুখোমুখি হলে সরাসরি জমির মালিকের সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন এবং তথ্য যাচাই করুন।
- চূড়ান্ত রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য খুব বেশি তাড়াহুড়ো করবেন না।
Dolil Form 2023 । দলিল লেখার নমুনা দেখে নিন
বাবার কেনা জমি ,এসে খতিয়ান বাবার নামে। বাবারা চারভাই, দাদার জমির সংগে,এই জমিটি সহ সাদা বন্ঠক হয় ।আমার বাবা বুঝতে পারে কেনা জমিটি বন্ঠকে বুকে গেছে। এই বন্ঠক দিয়ে আমার বাবার ভায়েরা । অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে , এখন জমি অন্যর দখলে এবং বাংলাদেশ জরিপ তাদে নামে । আইন কি বলে । দয়া করে উওর দিবেন
আইন বলে আপনি বা আপনার বাবা জমিটি দাবী করে এভাবে বর্ণনা দিয়ে ভূমি মামলা চালু করতে পারে। নিষ্পত্তি শেষে জমি আপনাদের।
পিতা মৃত। ওয়ারিশ সুত্রে তিন কাঠা জমিসহ চারতলা সম্পত্তির মালিক তিন পুত্র এবং দুই কন্যা। নামজারি হয়েছে সবার সম্মিলিত নামে। পৃথকভাবে কারো নামে নামজারি বা বন্টন হয় নাই।জানা গেছে এই সম্পত্তির একতলা, দোতলা এবং তিনতলা বিক্রির জন্য বায়না হইয়াছে।এক বোন/অংশীদার বিদেশে থাকে।তার মৌখিক সন্মতি আছে বায়না এবং বিক্রিতে। চারতলা এবং তিনতলা এক ভাইয়ের দখলে আছে এবং সে সেখানে বসবাস করছে।এই অবস্থায় বাসায় অবস্থানকারী অংশীদারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বায়না এবং বিক্রি আইনগত ভাবে বৈধ কিনা। সম্পত্তিটি এখনো রেজিস্টার্ড বন্টন হয় নাই।
বিক্রি বৈধ হবে কিন্তু দখল বৈধ হবে না। তিনি তার অংশ বিক্রি করতে পারবেন কিন্তু ক্রেতা তা কোন নির্দিষ্ট স্থান থেকে বুঝে নিবে সেটিই প্রশ্ন। বন্টন নামা হওয়া জরুরি।
স্যার
বায়না দলিল রেজিঃ অফিসে করা কি বাধ্যতামূলক না কি ?
সরাসরি রেজিঃ করলে হবে কি না?
বায়না দলিল stamp করলে হবে কি না ?
সরাসরি দলিল রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে। বায়না দলিল রেজিস্ট্রেশন ছাড়া আপনি কিন্তু বিপদে পড়লে মামলা করতে পারবেন না। যদিও বায়না দলিলের মেয়াদ মাত্র ৬ মাস।
আমি আমাদের ওয়ারিশদের কাছ থেকে ২.৫০ শতাংশ জমি রেজিঃ বায়না করি। বায়নার মেয়াদ ৬ মাস। কিন্তু বায়নার মেয়াদ তারিখ ১ মাস ওভার হয়ে গেছে। কিন্তু আমি জমির মোট মূল্যের ৭৫% টাকা দিয়ে বায়না করি। কিন্তু আমার সমস্যার কারনে এখন সময়মতো নিতে পারতেছি না। তারা ও আমাকে বাকি টাকা পরিশোধ করার জন্য উকিল নোটিশ করেছে এখন আমার করনীয় কি? সমাধান দিলে উপকার হতো। ধন্যবাদ
বায়নাপত্রে উল্লেখিত শর্ত পালন করতে হবে। বায়না দলিল মেয়াদ না যাওয়া পর্যন্ত তারা অন্য কোথাও বায়না করতে পারবে না।
বায়নার মেয়াদ ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে । মানে মেয়াদ শেষ।
তারা ও আমাকে বাকি টাকা পরিশোধ করার জন্য উকিল নোটিশ করেছে এখন আমার করনীয় কি? সমাধান দিলে উপকার হতো। ধন্যবাদ
বায়নার মেয়াদ ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে । মানে মেয়াদ শেষ।
তারা ও আমাকে বাকি টাকা পরিশোধ করার জন্য উকিল নোটিশ করেছে এখন আমার করনীয় কি? সমাধান দিলে উপকার হতো। ধন্যবাদ