হঠাৎ করে জ্বালানি তেলে মূল্য বৃদ্ধিতে পরিবহন মালিক সমিটি ধর্মঘট ডেকেছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর যৌক্তিকহারে বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার বিআররিটিএ চেয়ারম্যানের কাছে পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়। এরপর এই সিদ্ধান্ত নেয় বিআরটিএ।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, রোববার বেলা ১১টায় বিআরটিএ কার্যালয়ে ভাড়া নির্ধারণ সমন্বয় কমিটির বৈঠক হবে। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ডিজেলের দাম বাড়ায় গাড়ি চালিয়ে মালিকদের কোনো লাভ হবে না। তেলের দাম ওঠাতেই হিমশিম খেতে হবে। সারাদেশের বাস মালিকরা মনে করে, অবিলম্বে বাস ভাড়া না বাড়ানো হলে গাড়ি চালানো কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
জনাব Zahid Hasan বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ফেসবুক পেইজে ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে তার ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন যে, জাতি হিসেবে আমরা দুর্ভাগা? নাকি আমরা বিবেকহীন ভুল মানুষদের দ্বারা শাসিত হচ্ছি?
গতকালও ১৮/১৯ কিঃমিঃ রাস্তায় যে ভাড়া ছিলো সাধারন গাড়িতে ৩৬/- এবং বিআরটিসির ৩০/-
আজ ৪/১১/২০২১ তারিখ তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে তা বেড়ে দাড়িয়েছে সাধারণ গাড়িতে ৫০/- মানে জনপ্রতি ১৪/- বারতি এবং বিআরটিসির ভাড়া এখন অব্দি অপরিবর্তিত ৩০/- সত্যিই অদ্ভুত। এ যেনো দেখার কেউ নেই। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যদিও প্রতিটা গাড়ি চলছে গ্যাসের মাধ্যমে। তাহলে প্রশ্ন কেন এই বৈষম্য?
বর্তমান পরিবহণ ধর্মঘট চললেও গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি সাথে সাথে জনসাধারণও যাত্রী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে সাধারণ ঘর্মঘট ডাকবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
জ্বালানি তেল ও পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, ‘নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে এই তেলের দাম বৃদ্ধিতে। করোনার পর মানুষ যখন ঘুরে দাঁড়াবে, তখনই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। যার ফলে সবকিছুতে মূল্য বৃদ্ধি হবে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। সরকারের উচিত খুব দ্রুত এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা।’
তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ গাড়িতে ৫০/- মানে জনপ্রতি ১৪/- বাড়তি গুনতে হচ্ছে: ডাউনলোড