সূচীপত্র
প্রাইমারী ও হাইস্কুলের ক্ষেত্রে একই তাপমাত্র নয়, শিশুর বয়স অনুসারে তাপমাত্র সহ্য ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে– শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ২০২৪
প্রাইমারী স্কুলের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কত ডিগ্রি? – প্রাইমারী স্কুলের ক্ষেত্রে ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে এবং হাই স্কুলের ক্ষেত্রেও ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে স্কুল বন্ধ থাকবে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর বেশি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সারা দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে কত তারিখ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ? দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ চলমান আছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বিধায় যে সকল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, সে সকল জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপপরিচালকগণ সংশ্লিষ্ট জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের একাডেমিক কার্যক্রম শীতের তীব্রতা ও স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করতে পারবেন (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তদুর্দ্ধ না হওয়া পর্যন্ত) । জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো যার কার্যকারিতা ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড কত? ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দেশের শীতলতম স্থান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই এতোদিন ছিল দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। আর ঢাকায় ১৯৫৩ সালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে । সর্বনিম্ন কত ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে স্কুল বন্ধ থাকবে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছেন
তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গাবাসী। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে যান চলাচলে ধীরগতি দেখা যায়। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটেখাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে। ভোর থেকেই এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্নআয়ের মানুষদের।
চলমান শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা সংক্রান্ত
শরীরে খুব বেশি শীত লাগার কারণ ২০২৪ । যে সব কারণে শীত শীত লাগে?
- অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা থাকলে বেশি শীত লাগে।
- হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলে বেশি শীত লাগে।
- পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ থাকলে বেশি শীত লাগে।
- রেনোড’স রোগ থাকলে বেশি শীত লাগে।
- কম ওজন থাকলে বেশি শীত লাগে।
- ওষুধ সেবন অবস্থায় থাকলে বেশি শীত লাগে।
- পানির স্বল্পতা থাকলে বেশি শীত লাগে।
- ঘুমের অভাব থাকলে বেশি শীত লাগে।
- উদ্বেগ বেশি থাকলে বেশি শীত লাগে।
মানুষের শরীরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত?
মানুষের দেহের সাধারণত তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট, অর্থাত্ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই জ্বর বলা হয়। সাধারণত মানব শরীর ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। এর বেশি তাপমাত্রা হয়ে গেলে শরীরে প্রোটিনের ভারসাম্যতা নষ্ট হতে পারে, মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। খুব গরম আবহাওয়ায় বাইরে সময় কাটানো একজন ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে , যেমনটি দীর্ঘ সময়ের জন্য গরম অন্দর পরিবেশে থাকতে পারে। উভয় পরিস্থিতিতে খুব বেশি স্তর পরা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।