আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে – ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ থাকলেও ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনয়ন চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করেছে – আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকা ২০২৩

নির্বাচন কবে হবে? দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচনের জন্য ১২তম সাধারণ নির্বাচন, যা ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি দল ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে যদি কোন অঘটন না ঘরে তবে নির্ধারিত তারিখেই সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।

নির্বাচন মনোনয়ন বলতে কি বুঝায়? মনোনয়ন হল একটি রাজনৈতিক দলের দ্বারা নির্বাচনের অথবা সম্মান বা পুরস্কার প্রদানের জন্য প্রার্থী বাছাই করার প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এই ব্যক্তিকে “মনোনীত” বলা হয়, যদিও মনোনীত ব্যক্তিকে প্রায়ই “প্রার্থী” এর সাথে বিনিময়যোগ্যভাবে ব্যবহার করা হয়।

নির্বাচনে বিরোধী দল থাকা কতটা জরুরি? ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ী হওয়াটা বাংলাদেশের সংবিধান এবং বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় অবৈধ না হলেও এটিকে অগণতান্ত্রিক বলে মনে করা হয়। কেননা এখানে নাগরিকের মতামতের কোনো প্রতিফলন নেই। একাধিক ব্যক্তির মধ্য থেকে তার পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী না থাকলে না ভোট দেয়ার সুযোগ পূর্বে থাকলেও তা এখন বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ৩০০ আসনে মনোনয়ন / ২৬/১১/২০২৩ তারিখে মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে

মাগুরা -১ আসনে সাকিব আল হাসানকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকা ২০২৩ পিডিএফ ডাউনলোড

জাতীয় নির্বাচন আসন ২০২৩ । বাংলাদেশের নির্বাচনী আসন কয়টি?

এমপি এবং মন্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য কি?

সংসদ সদস্য আর মন্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য অনেকটা ক্ষারক এবং ক্ষারের পার্থক্যের মতো, অর্থাৎ সকল মন্ত্রীই সংসদ সদস্য কিন্তু সকল সংসদ সদস্যই মন্ত্রী নন। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমগ্র দেশকে নির্দিষ্টসংখ্যক নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করা হয়, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ৩০০। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে জনগণের সর্বাধিকসংখ্যক ভোটের ভিত্তিতে যেকোনো একজন সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে একজন সংসদ সদস্য নিজ নির্বাচনী এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করেন। এছাড়াও তিনি সংসদে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বনপূর্বক বিল উত্থাপন করতে পারেন এবং তিনি অন্য কোন সংসদ সদস্য কর্তৃক উত্থাপিত বিলের ওপর ভোট দিতে পারেন।

জাতীয় নির্বাচনে সামগ্রিকভাবে যে রাজনৈতিক দল/জোটের সর্বাধিক সংখ্যক প্রার্থী সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন সে দল/জোট সরকার গঠনের অধিকার লাভ করে। সরকার দলের নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক সংসদ সদস্যদের নিয়ে মন্ত্রীপরিষদ গঠন করা হয়, এবং প্রত্যেক মন্ত্রী দেশের শাসন বিভাগের এক বা একাধিক মন্ত্রণালয়ের (স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, অর্থ, শিক্ষা ইত্যাদি) প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রীদের নিজ নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য হিসাবে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি দেশের কোনো একটি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করতে হয়। সহজ ভাবে বলা যায়, একজন সাংসদ দেশের আইন বিভাগের সদস্য, কিন্তু একজন মন্ত্রী একই সাথে আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের সদস্য।