সূচীপত্র
সমান বা সমান নয় বা বড় অথবা সমান বা ছোট অথবা সমান এসব শব্দ খুব বেশি পরিচিত না হলেও এগুলো গণিতের টার্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়– গণিতের প্রতিক চিহ্ন
প্রক্রিয়া প্রতীক কয়টি ও কী কী? প্রক্রিয়া প্রতীক ৪টি, যথা : + (যোগ), – (বিয়োগ), ´ (গুণ), গু (ভাগ)। সম্পর্ক প্রতীক ৬টি, যথা : = (সমান), > (বড়), < (ছোট), ¹ (সমান নয় > (বড় নয়), < (ছোট নয়)। সমার্থক প্রতীক হল £ (ছোট অথবা সমান)। বন্ধনী প্রতীকগুলো হল- ( ) (প্রথম বন্ধনী), {} (দ্বিতীয় বন্ধনী), [ ] (তৃতীয় বন্ধনী)।
প্রথম শ্রেণীর গণিত কেমন হয়? হ্যাঁ। প্রথম শ্রেণীর গণিত! প্রথম শ্রেণীর গণিত মৌলিক সংখ্যা ধারণা, যোগ, বিয়োগ, এবং আকারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। প্রধান বিষয়গুলো: সংখ্যা: ০ থেকে ২০ পর্যন্ত সংখ্যা চেনা ও লেখা, সংখ্যার ক্রম, ছোটো-বড়ো তুলনা, যোগ: দুটি সংখ্যা যোগ করার ধারণা, ছোটো যোগফল (১০ এর মধ্যে)। বিয়োগ: বিয়োগের ধারণা, ছোটো বিয়োগফল (১০ থেকে)। আকার: বিভিন্ন আকার চেনা (বর্গক্ষেত্র, ত্রিভুজ, বৃত্ত ইত্যাদি), আকারের তুলনা শিখতে হয়।
গণিত শেখার সহজ উপায় কি? গণিত শেখা অনেকের কাছেই কঠিন মনে হতে পারে। তবে কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করলে গণিত শেখা অনেক সহজ হতে পারে। গণিতের যেকোনো ধারণা শেখা শুরু করার আগে মৌলিক ধারণাগুলো স্পষ্ট করে নিন। গণিত শেখাার জন্য নিয়মিত অনুশীলন অপরিহার্য। প্রতিদিন অল্প সময় হলেও অনুশীলন করার চেষ্টা করুন। বাজারে বিভিন্ন ধরণের গণিতের বই, ভিডিও, এবং অনলাইন রিসোর্স পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করে গণিত শেখা অনেক সহজ হতে পারে। গণিতের প্রতি আগ্রহ থাকলে শেখা অনেক সহজ হবে। গণিতের বিভিন্ন মজার খেলা খেলে এবং দৈনন্দিন জীবনে গণিতের ব্যবহার দেখিয়ে গণিতের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে পারেন। যদি কোনো ধারণা না বুঝতে পারেন তাহলে নির্দ্বিধায় শিক্ষকের সাহায্য নিন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ গানিতিক চিহ্ন জেনে নিন/ equal not equal greater than or less than sign
Mathematically, a result of True equals 1 and False equals 0. Note You can also use <> for Not Equal To (≠), >= for Greater Than or Equal To (≥), and <= for Less Than or Equal To (≤).
Caption: important Symbol for Maths
গাণিতিক প্রতীক ও বাক্য । চলুন ছোট খাট কিছু অংশ এবং চিহ্ন সম্পর্কে ধারণা নেই
- গণিতে কত প্রকারের প্রতীক ব্যবহার করা হয়? পাঁচ প্রকারের প্রতীক।
- সংখ্যা প্রতীক বা অঙ্ক কয়টি ও কী কী? সংখ্যা প্রতীক বা অঙ্ক ১০টি । যথাঃ ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ০।
- প্রক্রিয়া প্রতীক কয়টি ও কী কী? প্রক্রিয়া প্রতীক চারটি। যথাঃ +, -, ×, ÷ (যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ)।
- সম্পর্ক প্রতীক কয়টি ও কী কী? সম্পর্ক প্রতীক ৬টি। যথাঃ >, =, <, ≠ ,≤, ≥ (বড়, সমান, ছোট, সমান নয়, ছোট অথবা সমান, বড় অথবা সমান)।
- বন্ধনী প্রতীক কয়টি ও কী কী? বন্ধনী প্রতীক ৩টি। যথাঃ ( ), { }, [ ] (প্রথম বন্ধনী, দ্বিতীয় বন্ধনী, তৃতীয় বন্ধনী)
- কখন বিশেষ প্রতীক বা অক্ষর প্রতীক ব্যবহার করা হয়? অজানা সংখ্যা নির্দেশ করতে বিশেষ প্রতীক বা অক্ষর প্রতীক ব্যবহার করা হয়।
- গাণিতিক বাক্য কাকে বলে? গাণিতিক বাক্য হলো সংখ্যা, প্রতীক, রাশি বা গাণিতিক ধারণা সংবলিত এমন একটি উক্তি, যা সত্য না মিথ্যা নিঃসন্দেহে বলা যায়। যেমনঃ ১৭ একটি মৌলিক সংখ্যা। (এটি একটি সত্য উক্তি) ।
- খোলা বাক্য কাকে বলে? বিশেষ প্ৰতীক বা অক্ষর প্রতীক সংবলিত গাণিতিক বাক্যকে খোলা বাক্য বলে। যেমনঃ ক × ২ + ৬ = ৩০।
- সংখ্যারাশি কাকে বলে? কতিপয় সংখ্যাকে প্রক্রিয়া চিহ্ন এবং প্রয়োজনে বন্ধনী দ্বারা যুক্ত করলে একটি সংখ্যারাশি তৈরি হয়। যেমনঃ (৩৬ ÷ ৪) × ৫
- গাণিতিক উক্তি কাকে বলে? গণিত বিষয়ক এমন কোনো উক্তি যা সুনির্দিষ্ট করে সত্য না মিথ্যা বলা যায়, তাই গাণিতিক উক্তি। যেমনঃ ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি দুই সমকোণ।
- প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশ করঃ তিন লক্ষ ত্রিশ। ৩, ০০, ০৩০।
- ক ÷ ৭=১৫ হলে, ক=কত? ১০৫ ।
- (ক×৩)+৫=২০, উক্তিটি কথায় লেখ। কোনো সংখ্যাকে তিন দ্বারা গুণ করে পাঁচ যোগ করলে যোগফল ২০ হবে ।
- > (বড় নয়) এর সমার্থক প্রতীক লেখ। ≤ (ছোট অথবা সমান)।
- (ক+৬)÷৩=১২; এ খোলা বাক্যটিতে ‘ক’ এর মান কত? ৩০।
কঠিন গণিত কিভাবে আয়ত্ত করবেন?
কঠিন গণিতের সমস্যা সমাধান করার আগে মৌলিক ধারণাগুলো স্পষ্ট করে নিন। যদি কোন ধারণা না বোঝেন, শিক্ষকের সাহায্য নিন, বইয়ের ব্যাখ্যা পড়ুন অথবা অনলাইনে অনুসন্ধান করুন। কঠিন গণিত আয়ত্ত করার জন্য নিয়মিত অনুশীলন অপরিহার্য। বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। অনলাইনে বা বইয়ের বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তরের সংকলন ব্যবহার করতে পারেন। জটিল সমস্যাগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে সমাধান করার চেষ্টা করুন। প্রতিটি ধাপ সাবধানে সমাধান করুন। ধৈর্য ধরুন এবং হতাশ হবেন না। বাজারে বিভিন্ন ধরণের গণিতের বই, ভিডিও, এবং অনলাইন রিসোর্স পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করে কঠিন গণিত শেখা অনেক সহজ হতে পারে। Khan Academy, Math is Fun এর মত ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
যদি নিজে নিজে সমাধান করতে না পারেন, টিউশন নিতে পারেন অথবা গ্রুপ স্টাডিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এতে করে আপনার ধারণাগুলো স্পষ্ট হবে এবং সমস্যা সমাধানে সহায়তা পাবেন। গণিতের সমস্যা সমাধানের সময় মনোযোগী থাকুন। সমস্যা পড়ার পর ভালোভাবে বুঝে সমাধান করার চেষ্টা করুন। সমাধান করার পর আবারো পড়ে দেখুন কোন ভুল হয়েছে কিনা। গণিতের ভুল থেকে শিক্ষা নিন। কঠিন গণিত আয়ত্ত করার জন্য ধৈর্য, নিয়মিত অনুশীলন এবং সঠিক পন্থা অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, গণিত কঠিন নয়, শুধুমাত্র অনুশীলন এবং ধৈর্যের প্রয়োজন।