সূচীপত্র
জন্ম ও মৃত্যু সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথেই নিবন্ধন করা উচিৎ অন্যথায় ডকুমেন্ট হারিয়ে নিবন্ধন ব্যাহত হতে পারে – জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ফিসের হার ২০২৪
জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন ফি প্রদর্শন করতে হবে? – দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, সিটি কর্পোরেশন এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসমূহের মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ফি সম্পর্কে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮-তে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু, কোন কোন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্য স্থানে প্রদর্শিত না থাকায় অনেক আবেদনকারীকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
ইহার প্রতিকার দরকার। প্রতিটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক কার্যালয়ের সামনে দৃশ্যমান স্থানে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ফি সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রদর্শনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধনের অতিরিক্ত অর্থ আদায় কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, কোন কোন ক্ষেত্রে নাগরিকদের হয়রানির পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে তা প্রতিরোধের এমন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি লাগে? ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে দাখিলকৃত আবেদনপত্রের সাথে যে এক বা একাধিক প্রত্যয়ন বা কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করতে হবে- (ক) সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বা চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যু সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্র; অথবা (খ) সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যয়ন পত্র; অথবা (গ) মৃত ব্যক্তির ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যায়িত অনুলিপি;
অথবা (ঘ) সংশ্লিষ্ট সমাধি বা সৎকারস্থলের কেয়ারটেকার কর্তৃক প্রদত্ত দাফন বা সৎকার রসিদের অনুলিপি; অথবা (ঙ) সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বা পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ক্ষেত্রে ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যু সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্র; অথবা (চ) মৃত ব্যক্তির জানাযা সম্পন্নকারী ইমাম এবং অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রে পুরোহিত বা সৎকার (অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া) সম্পন্নকারী কর্তৃক মৃত্যু সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্ৰ ; (ছ) (ক) হতে (চ) তে বর্ণিত প্রত্যয়ন পত্র পাওয়া সম্ভব না হলে, সেক্ষেত্রে নিবন্ধক যেরূপ প্রয়োজন মনে করেন মৃত্যু সংক্রান্ত সেরূপ অন্য কোন কাগজপত্রাদির অনুলিপি; (জ) মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ; এবং (ঝ) মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।
জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধনের নির্ধারিত ফি’র অধিক ফি পরিশোধ করবেন না / জন্ম নিবন্ধন না করলে জরিমানার বিধান রয়েছে
ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর দাখিলকৃত আবেদনপত্রের সাথে উপর্যুক্ত প্রত্যয়ন বা কাগজপত্রাদি ছাড়াও বিলম্বের কারণ সম্বলিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে হবে।
Caption: Source of Information
Documents Required for Birth or Death Registration 2024 । জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- (ক) ব্যক্তির জন্মের ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে দাখিলকৃত আবেদনপত্রের সাথে যে প্রমাণাদি সংযুক্ত করতে হবে- (অ) জন্মস্থান ও জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসাবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বা উক্ত প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি অথবা বার্থ এটেন্ডেন্ট এর প্রত্যয়ন বা অন্য কোন প্রমাণপত্র এবং (আ) ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে পিতা বা মাতা বা পিতামহ বা পিতামহীর জন্ম নিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা অন্য কোন প্রমাণপত্র অথবা নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির নিজের বা পিতা বা মাতা বা পিতামহ বা পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসাবে ঘোষিত আবাসস্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমাণপত্র এবং নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র।
- (খ) ব্যক্তির জন্মের ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পরে দাখিলকৃত আবেদনপত্রের সাথে উপযুক্ত দলিলাদি ছাড়াও যে প্রমাণাদি সংযুক্ত করতে হবে- (অ) জন্মের ৫ (পাঁচ) বৎসরের মধ্যে আবেদন করলে যথাযথভাবে পূরণকৃত আবেদনপত্রে ইপিআই কর্মীর প্রত্যয়ন অথবা ইপিআই কার্ডের অনুলিপি। (আ) জন্মের ৫ (পাঁচ) বৎসর পর আবেদন করলে বয়স প্রমাণের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র; অথবা (ই) সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা অনুরূপ পরীক্ষার শিক্ষাগত সনদপত্র।
জন্ম সনদে বয়স কমানো কি জায়েজ?
অবশ্যই না। –আপনিা যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই তা থেকে দূরে থাকবেন। এই কাজটি যদি কেউ করে থাকেন, তাহলে এটি প্রতারণা করা হবে। এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এটি নাজায়েজ কাজ। এখানে বয়স কমানোর কোনো সুযোগ নেই। আল্লাহর নবী করিম (সা.) স্পষ্ট করে বলেছেন, যে প্রতারণায় শামিল হলো সে আমাদের দলভুক্ত হতে পারবে না।