ভূমি আইন ২০২৫

BDS রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার নিয়ম ২০২৪ । খাজনা দেওয়া না থাকলে জমি খাস হয়ে যাবে?

দেশে বিএস জরীপ সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বশেষ জরীপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে বিডিএস জরীপ যার মাধ্যমে চূড়ান্ত ভূমি জরীপ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে – BDS রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার নিয়ম ২০২৪

বিডিএস জরিপ কি?– ডিজিটাল পদ্ধতি বা ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ভূমির জরিপ পরিচালনাকে ডিজিটাল সার্ভে বলা হয় ডিজিটাল জরিপের মাধ্যমে খুব সহজেই জমি পরিমাপ করা যাবে এবং একই সাথে জমির মালিকানা ও মাপের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। বিডিএস জরিপ শেষ হওয়ার পর আর কোন জরীপ পরিচালিত হবে না।

জরিপ কী? ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগে বিভিন্ন বস্তুর প্রকৃত অবস্থান আপেক্ষিক উচ্চতা দিক, রৈখিক ও কৌনিক দূরত্ব পরিমাপের মাধ্যমে একটি স্কেল অনুসরণ করে সমতল কাগজে উপস্থাপন করার পদ্ধতিকে জরিপ বলে। জরিপের মাধ্যমে মূলত জমির বা ভূমি প্রকৃত মালিক চিহ্নিত করা হয়।

সাভার ডিজিটাল জরিপ- ২০০৯-১০ অর্থ বছরে আধুনিক জরিপ যন্ত্রপাতি (জিপিএস, ইটিএস, ডাটা রেকর্ডার, কম্পিউটার, ম্যাপ প্রসেসিং সফটওয়্যার, প্লটার, প্রিন্টার ইত্যাদি)-এর সাহায্যে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ৫টি মৌজার (জিঞ্জিরা, আকরান, খাগান, কলমা ও আউকপাড়া) ডিজিটাল পদ্ধতিতে নক্সা ও খতিয়ান প্রণয়নের জন্য একটি পাইলট কর্মসূচী শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে উক্ত ৫টি মৌজার ডিজিটাল ডাটা সংগ্রহ শেষে সংগৃহীত ডাটা কম্পিউটার ও ম্যাপ প্রসেসিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে প্লটারের সাহায্যে ৫টি মৌজার ডিজিটাল ম্যাপ মুদ্রণের কাজ শেষ হয়েছে।

তিন বছর খাজনা না দিলে জমি হবে খাস । কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়

খতিয়ান সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে? যে জমির রেকর্ড সংশোধন করতে চান সেই জমির মালিকানার সকল দলিলপত্র (যেমন মূল দলিলের সার্টিফাইড কপি, বায়া দলিল, পূর্বের খতিয়ানের কপি ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে।) চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত ভূল রেকর্ডের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে হবে।জাতীয় পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ডের ফটোকপি।

Caption: land.gov.bd

বিডিএস জরিপে জমির মালিকের করণীয় ২০২৪ । জরীপ কালে যে ডকুমেন্টগুলো সাথে রাখতে হবে

  1. দলিল ও রেকর্ডীয় খতিয়ান সংগ্রহে রাখুন।
  2. নামজারী না থাকলে অতিদ্রুত জমির নামজারী সম্পূর্ণ করুন। ৩) খাজনা হালনাগাদ রাখুন।
  3. পর্চা ও নকশা অনুযায়ী জমি মেপে রাখুন। ৫) জমির সীমানা আইল নিধারন করে রাখুন। ৬) জমি দখলে রাখুন ।
  4. ইজমালি ও পৈত্রিক সম্পত্তি হলে ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ করে রাখুন, প্রয়োজনে বন্টন নামা দলিল করুন, প্রয়োজনে এওয়াজ বদল করুন এবং নামজারী করে রাখুন।
  5. আগত জরিপে উক্ত জমির খাজনা দেওয়া না থাকলে জমি খাস হয়ে যাবে।
  6. যাদের জমির দলিল/কাগজ পত্র ও খাজনার দাখিলা নেই তারা জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য মন-মানসিকতা প্রস্তুত করুন ।

বিডিএস সার্ভের পর কি আবারও সার্ভে হবে?

না। বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপের মূল উদ্দেশ্য অল্প সময়ে পুরো বাংলাদেশে ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে তথা ভূসম্পদ জরিপ শেষ করা। এর পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে মাঠে গিয়ে জরিপের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে নিয়ে আসা। এ ছাড়া কোনো এলাকায় প্রাকৃতিক কারণে বড় ধরনের ভূমির বিচ্যুতি না ঘটলে রিভিশনাল সার্ভের প্রয়োজনীয়তাও থাকবে না ডিজিটাল ম্যাপ পার্টিশনের সুবিধার জন্য। ডিজিটাল জরিপ একটি চূড়ান্ত জরিপ হিসেবে পরিগণিত হবে।

জমির রেকর্ড সংশোধনে কি কি কাগজপত্র লাগে?

জমির রেকর্ড সংশোধনে কয়েকটি কাগজপত্র লাগতে পারে তাদের মধ্যে কিছু হলো- ১। জমির দলিল। ২। মালিকানার হুকুমনামা এবং সনদপত্র। ৩। সরকারি নকশা এবং প্লট প্রতিলিপি যদি প্রযোজ্য হয়। ৪। আবেদনপত্র সংশোধনের জন্য প্রযোজ্য সমস্ত প্রমাণপত্র যেমন বাংলাদেশ কর কমিশনের ট্যাক্স পে রসিদ, উপজেলা পরিষদের ট্যাক্স পে রসিদ, মামলার কপি ইত্যাদি। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় জমি তথ্য কেন্দ্র ইত্যাদি থেকে আরও কিছু প্রমাণপত্র লাগতে পারে। জমি রেকর্ড সংশোধনের জন্য কাগজপত্রের তালিকা পূর্ণতঃ পরিবর্তিত হতে পারে এবং এটি প্রতিষ্ঠান এবং এলাকার ধরণে ভিন্ন হতে পারে।

https://reportbd.net/%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7-%e0%a6%ad%e0%a7%82%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%9c%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%aa-%e0%a5%a4-%e0%a6%ad%e0%a7%82%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%9c/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *