আজকের খবর ২০২৫

TIN বাতিল করার নিয়ম ২০২৫ । বাবার মৃত্যুর পর তার TIN বাতিল করার প্রয়োজন আছে কী?

কোন ব্যক্তির ব্যবসা-বানিজ্য থাকলে এবং তার করযোগ্য আয় থাকলে তিনি নিয়মিত আয়কর প্রদান করে থাকেন বা থাকতেন। কিন্তু তার কোন কারনে মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারীগন চিন্তায় পড়ে যান, কারন তখন উক্ত মৃত্যু ব্যক্তির TIN বাতিল করার প্রয়োজন আছে কী না? আসুন এর উত্তর জেনে নিই-TIN বাতিল করার নিয়ম ২০২৫

বাবার মৃত্যুর পর টিআইএন বাতিল করার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তা নির্ভর করে তার উত্তরাধিকারীদের উপর।

যদি এমন কোন ব্যবসা বাবার নামে থাকে যা টিআইএন বাতিল করিলে ব্যবসা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র বাতিল করে নতুন করে করতে হয় কিংবা বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হয় সে ক্ষেত্রে টিআইএন বাতিল না করে উত্তরাধিকারীরা প্রতিবছর বাৎসরিক রিটার্ন জমা দিয়ে Assessment করাতে পারবেন।

TIN বাতিল করার নিয়ম । বাবার মৃত্যুর পর তার TIN বাতিল করার প্রয়োজন আছে কী?

অন্যদিকে যদি TIN এর কোন প্রয়োজনীয়তা না থাকে তাহলে উত্তরাধিকারীরা সংশ্লিষ্ট আয়কর সার্কেলের উপকর কমিশনার বরাবর টিআইএন বাতিলের জন্য আবেদন করিতে পারেন। উপকর কমিশনার Inspection বা Hearing এর মাধ্যমে অথবা আবেদনের উপর ভিত্তি করে উক্ত ব্যক্তির টিআইএন এর কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারেন।

টিন সার্টিফিকেট বাতিল কখন করতে হয়? নতুন কর আইন ২০২৩  অনুসারে টিন সার্টিফিকেট থাকলেই আয়কর রিটার্ণ নূন্যতম ২০০০ টাকা জমা দিতে হবে। না দিলে জরিমানা ও শাস্তির আওতায় আনা হবে তবে পরবর্তীতে এটি বাতিল করা হয়। ৫টি শর্তে টিন বাতিল করতে পারবেন, যেমন – ১. করদাতা মারা গেলে ২. যদি কর যোগ্য আয় না থাকে ৩. নন রেসিডেন্ট বিদেশী নাগরিক যার বাংলাদেশে কোন স্থায়ী ভিত্তি নেই। ৪. বিশেষ কোন কারণে টিন সার্টিফিকেট গ্রহণ করে থাকলে ও বর্তমানে করযোগ্য কোন আয় না থাকলে ও বাতিল করা যাবে । ৫. ৬৫ বছরের উর্ধ্বে মহিলা ও পুরুষগণ যদি তার করযোগ্য আয় না থাকে (পূর্বে করযোগ্য আয় ছিল বর্তমানে নেই) চাইলেই তারা টিন বাতিল করতে পারবেন ।

টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য আবেদন পত্রের নমুনা

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম কি? বাংলাদেশে টিন (TIN) সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। নিচে এই প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো: ✅ টিন সার্টিফিকেট বাতিলের যোগ্যতা- নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে আপনি টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য আবেদন করতে পারেন:

  • আপনার বার্ষিক আয় করযোগ্য সীমার নিচে থাকলে এবং পরপর তিন বছর শূন্য রিটার্ন দাখিল করলে।
  • আপনি যদি স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করে থাকেন এবং দেশে আর কোনো আয় না থাকে।
  • টিন সার্টিফিকেটটি ভুলবশত বা ডুপ্লিকেট হিসেবে ইস্যু হয়ে থাকলে।
  • আপনার ব্যবসা বা চাকরি বন্ধ হয়ে গেলে এবং আয় না থাকলে।
  • করদাতার মৃত্যু, অবসায়ন বা আইনি মর্যাদা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে।
    বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস

আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫ । টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

আবেদনপত্র প্রস্তুত করুন: আপনার কর অঞ্চল অফিসের উপকর কমিশনার বরাবর একটি আবেদনপত্র লিখুন। আবেদনে টিন নম্বর, বাতিলের কারণ এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য উল্লেখ করুন।
বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করুন:

  • শেষ তিন বছরের আয়কর রিটার্নের কপি (যদি শূন্য রিটার্ন হয়ে থাকে)।
  • টিন সার্টিফিকেটের কপি।
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।
  • যদি প্রয়োগযোগ্য হয়, ব্যবসা বন্ধের প্রমাণপত্র বা মৃত্যু সনদ।

কর অফিসে জমা দিন: উক্ত আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র আপনার সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চল অফিসে জমা দিন। আপনি নিজে বা আপনার প্রতিনিধির মাধ্যমে এটি করতে পারেন। পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত: কর কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় হলে শুনানির জন্য আপনাকে ডাকতে পারে। সবকিছু সঠিক থাকলে, আপনার টিন সার্টিফিকেট বাতিল করা হবে।

ফি ও খরচ: টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য বর্তমানে কোনো সরকারি ফি নেই। তবে, যদি কোনো বকেয়া কর বা জরিমানা থাকে, সেগুলো পরিশোধ করতে হতে পারে।

⚠️ গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ: টিন সার্টিফিকেট বাতিলের আগে নিশ্চিত হন যে আপনার কোনো বকেয়া কর নেই। যদি আপনি ভবিষ্যতে কোনো সরকারি সেবা নিতে চান, যেখানে টিন প্রয়োজন হতে পারে, তবে বাতিলের আগে ভালোভাবে চিন্তা করুন। টিন সার্টিফিকেট বাতিলের পর, আপনি আর কোনো আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না, যতক্ষণ না নতুন করে টিন নিবন্ধন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *