সূচীপত্র
হেলমেট ছাড়া বাইক চালালে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয়- তবে পিলিয়ন হেলমেট না পড়লে প্রথমে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হবে- হেলমেট না পরার জরিমানা ২০২৪
হেলমেট মামলার টাকা যদি পরিশোধ না করেন? –হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় আপনাকে যদি মামলা দেয় ৫০০০ টাকার ওই মামলার টাকা যদি আপনি পরিশোধ না করেন। আপনার নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু হবে এবং২/৩ জন পুলিশ / পুলিশের গাড়ি আপনার বাসায় হাজির হবে। আপনাকে গাড়িতে করে উঠিয়ে নিয়ে যাবে তাতে আপনার ইমেজের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই সময়মত মামলার টাকা পরিশোধ করুন।
কেন আপনি হেলমেট কিনবেন? হেলমেট না থাকলে হেলমেট ক্রয় বাবদ ২০০০ টাকা জরিমানা, পরদিন ট্রাফিক অফিস থেকে হেলমেট সংগ্রহ করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে লাইসেন্স বাবদ ৫০০০ টাকা জরিমানা, ১৫ দিনের মধ্যে বিআরটিএ অফিস থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে, লাইসেন্স সংগে না থাকলে ৫০০ টাকা জরিমানা। রেজিষ্ট্রেশন না করা থাকলে রেজিষ্ট্রেশন বাবদ জরিমানা ১৫/২০ হাজার টাকা, ১ মাসের মধ্যে যাবতীয় কাগজ বুঝিয়ে দিতে হবে।
ইস্যুরেন্স না করা থাকলে কি এখন জরিমানা হয়? না। ধারা-১৫৩: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, লাইসেন্স ব্যতিত কিংবা প্রবিধান লংঘণ পূর্বক গাড়িতে এজেন্ট বা ক্যানভাসার নিয়োজিত থাকিলে-জরিমানা হবে ১৫০/-টাকা মাত্র। ধারা-১৫৪: যানবাহনের ওজন, মালসহ ওজন, নির্ধারিত ওজনের চেয়ে অতিরিক্ত থাকিলে-জরিমানা হবে ৫০০/-টাকা মাত্র। ধারা-১৫৫: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট না থাকিলে, ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেটে মেয়াদ শেষ হইলে-জরিমানা হবে ৫০০/-টাকা মাত্র।
হেলমেট ছাড়া বাইক চালালে ১০ হাজার টাকা জরিমানা । কোন মামলা কত জরিমানা । মোটরসাইকেল নতুন আইন ২০১৮
হ্যাঁ হয়। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা-১৫০: যে সকল যানবাহন হইতে স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এমন ধোয়া বাহির হইলে-জরিমানা হবে ২০০/-টাকা মাত্র। ধারা-১৫১: অস্বচ্ছ, রঙ্গীন, কালো গ্লাস ব্যবহার করিলে, ট্রিনটেড পেপার ব্যবহার করিলে, ফিটনেস সার্টিফিকেটের সহিত গাড়ির রংয়ের মিল না থাকিলে, গাড়ির টায়ার পরিবর্তন করিলে, সরকার নির্ধারিত রং ব্যতিত অন্যকোন রং ব্যবহার করিলে, বিআরটিএর অনুমতি ছাড়া গাড়ির রং পরিবর্তন করিলে ও মালিকানা পরিবর্তন না করিলে-জরিমানা হবে ১,২৫০/-টাকা মাত্র।
সড়ক আইন ২০১৮ । জরিমানা ও শান্তির পরিমানা জেনে নিন
- কোনো জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী গাড়িকে রাস্তা ছাড়তে ব্যর্থ হলে জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আগে এই জরিমানার পরিমাণ ছিল ২ হাজার টাকা।
- যোগ্যতা হারানো কোনো চালক গাড়ি চালালেও ১০ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে।
- মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে ১০ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে।
- চলমান অবস্থায় কানে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় গাড়ি চালালে জরিমানার পরিমাণ ৫ হাজার টাকা। আগে এ ক্ষেত্রে জরিমানা করা হতো এক হাজার টাকা।
- ক্রসিংয়ে লাল সিগন্যাল না মেনে গাড়ি চালালে জরিমানা ৩ হাজার টাকা। আগে যা ছিল ৫০০ টাকা।
- গাড়ির গতির ঊর্ধ্বসীমা না মানলে জরিমানা ১-২ হাজার টাকা। আগে এই জরিমানা ছিল ৪০০ টাকা।
- কোনো নাবালক গাড়ি চালালে জরিমানার পরিমাণও বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকের জরিমানা ধার্য হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখে গাড়ি চালালে জরিমানা ৫ হাজার টাকা।
- বিমার কাগজের প্রত্যায়িত কপি গাড়িতে না রেখে রাস্তায় বের হলে জরিমানা ২ হাজার টাকা। বর্তমানে কোন জরিমানা আরোপ করা হয় না।
- সিট বেল্ট না বেঁধে গাড়ি চালালে জরিমানা এক হাজার টাকা।
- গাড়িতে ওভার লোডিং করলে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
- দু’চাকার গাড়ি (মোটর বাইক, স্কুটি) আরোহী হেলমেট না পরলে জরিমানা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার টাকা।
- কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করলে ন্যূনতম জরিমানা ২ হাজার টাকা।
- অন্য দিকে লাইসেন্স নীতি না মানলে সর্বোচ্চ জরিমানা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। একই সঙ্গে হতে পারে তিন বছরের কারাবাস।
রাস্তায় যা বাহন চালনায় কি কি কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে?
(১) চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, (২) মোটরযানের নিবন্ধন সনদ ( ব্লুবুক), (৩) হালনাগাদ ট্যাক্সটোকেন, (৪) হালনাগাদ ফিটনেস সনদ (মোটরসাইকেল ব্যতিত সকলের), (৫) হালনাগাদ রুট পারমিট (বাণিজ্যিক মোটরযানের ক্ষেত্রে)। তবে ড্রাইভার এবং পিলিয়ন হেলমেট পড়েছেন কিনা তা অবশ্যই নিশ্চিত হবেন।
https://youtu.be/VVhWqbnKj4Y