বিভিন্ন কারনে আমরা বর্তমানে আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে থাকি। সরকারী বা জাতীয় প্রয়োজনের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আমরা একে অন্যের জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে থাকি।
যেমন: বাড়ি ভাড়া প্রদান, বাসা বাড়িতে কাজের লোক নিয়োগ, ড্রাইভার নিয়োগ, ব্যক্তিগত লেনদেন, জমিজমা ক্রয় ইত্যাদি কারনে একজন আরেকজনের নিকট হতে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে থাকি বা ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু, দেশ ডিজিটাল হওয়ার সাথে সাথে একদিকে যেমন ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি ডিজিটাল প্রতারণা করে বেড়াচ্ছে। যেহেতু স্মার্ট কার্ডে ইলেকট্রনিক চিপ বসানো থাকে তাই তা নকল করা একটু কঠিন। তবে দুর্বৃত্তরা তো আর বসে নেই। তারা প্রতিনিয়তই জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড নকল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। অন্যদিকে যাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র নেই অর্থাৎ সনাতন পদ্ধতির ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে এগুলো খুব সহজেই ফটোশপের মাধ্যমে এডিট বা নকল করা যায়।
ব্যাংক, বীমা, মোবাইল কোম্পানি সহ অনেক সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়েছে ফলে তারা সহজেই অফিসে বসে স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র আসল না নকল তা যাচাই বা ভেরিফাই করতে পারে। তা না হলে ব্যাংক যখন কোন ঋণ দেয়, তখন তা আর আদায়ের সম্ভাবনা থাকতো না, অথবা মোবাইল কোম্পানি সিম বিক্রি করার সময় অন্য কারো সীম কার্ড আরেক জনের নিকট দিয়ে দিতো। এগুলো তো গেলো প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের কথা।
কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ের ক্ষেত্রে কিভাবে আমরা ঘরে বসে সহজেই স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র আসল না নকল তা যাচাই বা ভেরিফাই করবো এটাই বিষয়।
কিভাবে যাচাই করব জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড আসল না নকল?
বর্তমানে আমাদের দেশে ৩ ধরণের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রচলিত আছে। এর ১ টি হলো স্মার্ট কার্ড ও আরেকটি হলো সনাতন পদ্ধতির জাতীয় পরিচয়পত্র । এ ছাড়াও আরেক ধরণের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, এট মূলত অনলাইন সফট কপি যেটার প্রিন্ট কপি গ্রাহক হয়তো এখনও পায় নি (প্রিন্ট কপি না পেলেও তা অন্যান্য কার্ডের মত সকল সেবা পেতে ব্যবহার করা যায়)। এই অনলাইন কপি আরো সহজে নকল করা যায়।
এনআইডি জন্ম ও জন্ম তারিখ ইনপুট দিয়ে সাবমিট দিলে তথ্য দেখাবে । ফেইক এনআইডি হতে কোন তথ্য দেখাবে না
জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড আসল না নকল তা যাচাই করার জন্য প্রথমেই https://services.nidw.gov.bd লিংকে প্রবেশ করে চলে আসুন নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে।
এখানে দুইটি পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাই বা যাচাই করা যাবে। যারা এখনও মূল জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড পায় নি তাদের রয়েছে অনলাইন কপি। যদি সেটি যাচাই করতে চান তাহলে ভোটার হবার সময় যে একটি স্লিপ ধরিয়ে দেয় তাতে ৮ সংখ্যার একটি স্লিপ নাম্বার আছে সেটি বসিয়ে দিন।
আর যাদের সরাসরি জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড এর নাম্বার আছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড এর ১৭ সংখ্যার নাম্বার দিতে হবে (যদি আপনার নম্বর ১৩ সংখ্যার হয় তাহলে প্রথম বক্সে ১৩ সংখ্যার নাম্বার বসানোর পূর্বে চার সংখ্যার জন্মতারিখ বসিয়ে দেবেন)। আরও দেখুন: জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান ২০২৪
এর পর জন্ম তারিখ বসিয়ে দিন। তারপর ক্যাপচার ঘরের পাশে যে লিখাগুলি রয়েছে সেগুলি হুবহু ক্যাপচার ঘরে বসিয়ে দিয়ে “ভোটার তথ্য দেখুন” বাটনে চাপ দিন। প্রাপ্ত তথ্যগুলি যাচাই করলেই বুঝতে পারবেন যার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড চেক করছেন সেটি আসল নাকি নকল।