সূচীপত্র
খতিয়ান বা পর্চা সংগ্রহের জন্য আপনাকে আর হাজার টাকা গুনতে হবে না মাত্র ৫০ টাকা ফি দিয়ে আপনি অনলাইনে খতিয়ানের জন্য আবেদন করতে পারেন – e khatian । খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম ২০২৪
খতিয়ান অনুসন্ধান – খতিয়ান অনুসন্ধান বলতে বুঝায় জমি সংক্রান্ত তথ্য এবং দলিল বা দস্তাবেজ এর সন্ধান করা। এটি বাস্তবে একটি আন্তর্জাতিক পদ্ধতি যা অনেক দেশে ব্যবহৃত হয়। একটি খতিয়ান অনুসন্ধানে মূলত সংগ্রহশালা ও রেকর্ড রাখার উদ্দেশ্য থাকে। খতিয়ান দলিলগুলি জমি দাতাদের নাম, পিতার নাম, জমির আয়তন, মৌজা, ক্ষেত্রফল, এবং সীমানার বর্ণনা ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করে। সাধারণত খতিয়ান দলিলগুলি কৃষি জমি সম্পর্কিত থাকে কিন্তু পরিবেশ, আবাসিক এলাকা, প্রতিষ্ঠান স্থাপন ইত্যাদি জমি সংক্রান্ত যেকোন প্রকার দস্তাবেজ থাকতে পারে। খতিয়ান অনুসন্ধান সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। সরকার খতিয়ান দলিলগুলি জমি সংক্রান্ত সকল তথ্য উন্নয়ন করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। অনলাইন খতিয়ান/ পর্চা প্রাপ্তির আবেদনের অবস্থা ২০২২। যেভাবে ভূমি অফিসের আবেদনের অবস্থা দেখবেন
অনলাইন হতেই নাকি খতিয়ান বের করা যায়? জি হ্যাঁ। অনলাইন খতিয়ানের কপি ফ্রিতে পাওয়া যায়। যদিও সেটি আপনি কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে আপনি অনলাইনে মাত্র ৫০ টাকা খরচ করে খতিয়ান বা পর্চা সংগ্রহের জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনি আরও ৪০ টাকা ডাক ফি দিলে ভূমি অফিস ডাকের মাধ্যমে আপনার বাড়ি বা বাসায় পর্চা বা খতিয়ান পৌছে দিবে। আজ আমরা দেখবো কিভাবে অনলাইনে খতিয়ান বা পর্চার জন্য আবেদন করতে হয়।
ডাকে খতিয়ান পেতে কত দিন সময় লাগে? আবেদন সম্পূর্ণ করার ৭-১৫ দিনের মধ্যে আপনার খতিয়ান নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌছে যাবে। যদি আপনি অনলাইনে আবেদন করে ভূমি অফিস থেকে সংগ্রহ করতে চান সেটিও করতে পারেন এক্ষেত্রে ১-৩ কর্ম দিবসের মধ্যে রশিদ নিয়ে ভূমি অফিসের কাউন্টারে যোগাযোগ করলেই পেয়ে যাবেন। তাই জরুরি ভিত্তিতে অনলাইনে আবেদন করতে হলে আপনি মোবাইল বা নিজ কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। জমির মালিকানা কার? দলিল, খতিয়ান ও দখল দিয়ে জমির মালিকানা নির্ণয় করার নিয়ম
অনলাইনে খতিয়ান প্রাপ্তির জন্য খুব সহজেই আবেদন করতে পারবেন / সার্টিফাইড কপি’র জন্য আপনি অনলাইনেই আবেদন করতে পারবেন।
খতিয়ানের জন্য আপনি প্রথমে eporcha.gov.bd এই লিংকে আপনার এনআইডি ব্যবহার করে আবেদন করতে পারবেন। যে কেউ যে কারও পর্চা অনলাইন হতে সংগ্রহ করতে পারবেন। বিকাশ বা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যায়। Akpay Select করে পেমেন্ট করুন।
Caption: Check your Khotian by online
অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধান বা ই খতিয়ান প্রাপ্তির আবেদন পদ্ধতি ২০২৪ । যেভাবে আপনি খতিয়ান প্রাপ্তির জন্য আবেদন করবেন
- প্রথমে এই eporcha.gov.bd লিংকে প্রবেশ করুন।
- অতপর বিভাগ, জেলা সিলেক্ট করুন।
- খতিয়ান টাইপ সিলেক্ট করে খতিয়ান খুজতে হবে।
- সিএস, এসএ, আর এস, বিএস বা বিআরএস ইত্যাদি’র যে কোন একটি সিলেক্ট করুন।
- উপজেলা এবং মৌজা সিলেক্ট করুন।
- খতিয়ান, দাগ নং, মালিকের নাম এবং পিতা বা স্বামীর নাম অনুসারে বা যে কোন একটি দিয়ে খতিয়ান অনুসন্ধান করা যায়। যে কোন একটি সিলেক্ট করুন এবং তথ্য ইনপুট দিন।
- ক্যাপচা কোড লিখে অনুসন্ধন করুন এ ক্লিক করুন।
খতিয়ান নাকি দলিল কোনটি গুরুত্বপূর্ণ?
অনেকেই মনে করেন খতিয়ান কোন বিষয় নয়, দলিলই বড় বিষয় দলিল না থাকলে সম্পত্তি বা জমির মালিক দাবী করা যায় না। না এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। পৈত্রিক সম্পত্তির তো কোন দলিল থাকে না, এক্ষেত্রে একক উত্তরাধিকারী থাকলে শুধুমাত্র পর্চা বা খতিয়ানের বলেই জমি বিক্রি করতে পারবেন। অন্যদিকে একাধিক উত্তরাধিকার থাকলে বন্টন নামা দলিল করে নিতে হবে। তাই এখানে দলিল এবং খতিয়ান দুটোই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। অন্যদিকে ভুল বশত বা ভুল সার্ভের কারণে খতিয়ানে কোন জমি বা দাগ নম্বর চলে আসলেই জমি বা ভূমিটি তার হয়ে যাবে না। অর্থাৎ অন্যের জমি আপনার খতিয়ানে আসলেই আপনি মালিক নন, যদি ভূমি প্রকৃত মালিক দলিল বা প্রমানক প্রদর্শন করতে পারেন তবে খতিয়ান সংশোধন করা যাবে। তাই এখানে দলিল বা পূর্ববর্তী পর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ভুলবশত পর্চার কোন মূল নেই। এসব পর্চা সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে। ক্ষেত্রে বিশেষে দলিল এবং পর্চা দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই জমির দলিল বা খতিয়ান কোনটির গুরুত্ব কোনটির থেকে কম নয়।
আমি আর,এস খসড়া পর্চ্চা পেতে চাই।
অনলাইনে আবেদন করুন।