সূচীপত্র
জমির আনা হলো ভূমি পরিমাপের একটি পুরনো একক, যা সাধারণত খতিয়ানে জমির অংশ বা ভাগ প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। এক আনা বলতে ১৬ ভাগের ১ ভাগ বোঝায়। অন্যভাবে, ১ (ষোল আনা) বলতে খতিয়ানের সম্পূর্ণ জমিকে বোঝায়– জমির আনা, গন্ডা, কড়া ব্যবহার ২০২৫
আনা, গন্ডা, কড়া, ক্রান্তি ও তিল কি? বাংলাদেশ আমলের পূর্বের সময়ে প্রস্তুতকৃত খতিয়ানসমূহ যথা- সি,এস ও এস, এ খতিয়ানে একাধিক ভূমি মালিকের নাম থাকলে খতিয়ানে মোট জমিতে কোন মালিকের কতটুকু হিস্যা বা অংশ আছে তা আনা, গন্ডা, কড়া, ক্রান্তি ও তিল চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হতো। বাংলাদেশ সময়ে আনা, গন্ডা, কড়া, ক্রান্তি ও তিল এর পরিবর্তে খতিয়ানের মোট জমিতে কার কত অংশ জমি আছে তা বুঝাতে সংখ্যা ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন- ১.০০, ১.০০০, ১.০০০০ ইত্যাদি। সি,এস খতিয়ানে “অত্র স্বত্বের বিবরণ ও দখলকার” ঘরে ব্যক্তির নাম এবং নামের ডানদিকে “অংশ” ঘরে ব্যক্তির মালিকানাধীন মোট জমির পরিমাণ আনা, গন্ডা, কড়া, ক্রান্তি ও তিল চিহ্ন দ্বারা লেখা থাকে। তাই খতিয়ানে কোন ব্যক্তি কতটুকু সম্পত্তির মালিক তা বের করতে এই চিহ্নসমূহ জানা প্রয়োজন।
খতিয়ানের মোট জমিকে কত আনা ধরা হয়? জি। ১৬ আনা ধরা হয়। আনার চিহ্ন নিম্নরূপ-
- ⁄ = ১ আনা
- ৵ = ২ আনা
- ৶ = ৩ আনা
- ৷ = ৪ আনা
- ৷⁄ = ৫ আনা
- ৷৵ = ৬ আনা
- ৷৶ = ৭ আনা
- ৷৷ = ৮ আনা
- ৷৷⁄ = ৯ আনা
- ৷৷৵ = ১০ আনা
- ৷৷৶ = ১১ আনা
- ৸ = ১২ আনা
- ৸ ⁄ = ১৩ আনা
- ৸৵ = ১৪ আনা
- ৸৶ = ১৫ আনা
- ১্= ১৬ আনা
গণ্ডাকে ১, ২, ৩, ৪…. এভাবে প্রকাশ করা যায় কি? হ্যাঁ।
- ১ = ১ গণ্ডা
- ২ = ২ গণ্ডা
- ৩ = ৩ গণ্ডা
- ৪ = ৪ গণ্ডা
- ৫ = ৫ গণ্ডা
- ৬ = ৬ গণ্ডা
- ৭ = ৭ গণ্ডা
- ৮ = ৮ গণ্ডা
- ৯ = ৯ গণ্ডা
- ১০ = ১০ গণ্ডা
- ১১ = ১১ গণ্ডা
- ১২ = ১২ গণ্ডা
- ১৩ = ১৩ গণ্ডা
- ১৪ = ১৪ গণ্ডা
- ১৫ = ১৫ গণ্ডা
- ১৬ = ১৬ গণ্ডা
- ১৭ = ১৭ গণ্ডা
- ১৮ = ১৮ গণ্ডা
- ১৯ = ১৯ গণ্ডা
- *২০ গন্ডায় ১ আনা।
জমির আনা, গন্ডা, কড়া ব্যবহার ২০২৫ । সাধারণত, খতিয়ানে ১ (ষোল আনা) বলতে খতিয়ানের মোট জমির পরিমাণ বোঝায়, যা সম্পূর্ণ জমির মালিকানা প্রকাশ করে
জমির আনা, গণ্ডা, কড়া, ক্রান্তি এবং তিল – এই শব্দগুলো ভূমি পরিমাপের বিভিন্ন একক, যা খতিয়ানে জমির অংশ বা মালিকানা প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়. ১ আনা = ২০ গণ্ডা, ১ গণ্ডা = ৪ কড়া, ১ কড়া = ৩ ক্রান্তি, ১ ক্রান্তি = ২০ তিল।
Caption: The Best looking man in Bangladesh / Most Handsome Man in Bangladesh
জমির ক্ষেত্রে তিল এর ব্যবহার ২০২৫ । তিলের আলাদা কোন চিহ্ন নাই। তিলকে ১, ২, ৩, ৪…. এভাবে প্রকাশ করা হয়।
- ১ = ১ তিল
- ২ = ২ তিল
- ৩ = ৩ তিল
- ৪ = ৪ তিল
- ৫ = ৫ তিল
- ৬ = ৬ তিল
- ৭ = ৭ তিল
- ৮ = ৮ তিল
- ৯ = ৯ তিল
- ১০ = ১০ তিল
- ১১ = ১১ তিল
- ১২ = ১২ তিল
- ১৩ = ১৩ তিল
- ১৪ = ১৪ তিল
- ১৫ = ১৫ তিল
- ১৬ = ১৬ তিল
- ১৭ = ১৭ তিল
- ১৮ = ১৮ তিল
- ১৯ = ১৯ তিল
- *২০ তিলে ১ ক্রান্তি।
জমির ক্ষেত্রে কড়া কিভাবে প্রকাশ করা হয়?
জমির খতিয়ানে “কড়া” হল একটি পরিমাপের একক যা সাধারণত জমি পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। এক কড়া হল ৪ টি ক্রান্তির সমান, এবং এক গন্ডা হল ৪ কড়ার সমান। এটি জমি পরিমাপের একটি পুরনো পদ্ধতি, যেখানে “আনা”, “গন্ডা”, “কড়া”, “ক্রান্তি” এবং “তিল” এর মতো বিভিন্ন একক ব্যবহার করা হয়। জমির খতিয়ানে কড়া পরিমাপের একক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিচে কিছু সম্পর্ক তুলে ধরা হলো: ১ কড়া = ৩ ক্রান্তি, ১ গন্ডা = ৪ কড়া, ১ আনা = ২০ গন্ডা। কড়া পরিমাপের এককটি বিশেষত পুরনো খতিয়ান এবং দলিলগুলোতে দেখা যায়, যেখানে জমির মালিকানা এবং অংশ হিসাব করার জন্য ব্যবহৃত হত কড়ার চিহ্ন নিম্নরূপ: ৷ = ১ কড়া, ৷৷ = ২ কড়া, ৸ = ৩ কড়া, *৪ কড়ায় ১ গন্ডা। ক্রান্তির চিহ্ন নিম্নরূপ: ৴ = ১ ক্রান্তি, ৴৴ = ২ ক্রান্তি, *৩ ক্রান্তিতে ১ কড়া।
আনা-গন্ডা-কড়া-ক্রান্তি ও তিলের পারস্পরিক তুলনা দেখান। ⁄ (১ আনা) = ২০ গণ্ডা, ১ গণ্ডা = ৪ কড়া, ৷ (১ কড়া) = ৩ ক্রান্তি, ৴ (১ ক্রান্তি) = ২০ তিল।খতিয়ানে যতটুকু জমি থাক না কেন, ১ (ষোল আনা) বলতে খতিয়ানের সম্পূর্ণ জমিকে বুঝায়। ১ (ষোল আনা) = ৩২০ গন্ডা (যেহেতু ২০ গন্ডায় ⁄এক আনা)। ১ (ষোল আনা) = ১২৮০ কড়া (যেহেতু ৪ কড়ায় এক গন্ডা)। ১ (ষোল আনা) = ৩৮৪০ ক্রান্তি (তিন ক্রান্তিতে । এক কড়া)। ১ (ষোল আনা) = ৭৬৮০০ তিল (২০ তিলে ৴এক ক্রান্তি)। কোন কোন এলাকায় জমি পরিমাপের ক্ষেত্রে আনা-গন্ডা-কড়া-ক্রান্তি-তিল ব্যবহার করা হয়।
⁄ (এক আনা) = ১৭,২৮০ বর্গফুট | ১ গণ্ডা = ৮৬৪ বর্গফুট | ১ কড়া = ২১৬ বর্গফুট |
৴ (১ ক্রান্তি) = ৭২ বর্গফুট | ৷ (১ তিল) =৩.৬ বর্গফুট | |