আজকের খবর ২০২৪

কোয়েল পাখির ডিম VS মুরগির ডিম ২০২৪ । প্রোটিনের পরিমাণ মুরগির ডিম থেকে প্রায় ৭% ভাগ বেশী?

কোয়েল পাখির ডিম শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। অনেকের মতে, এটি অন্যান্য ডিমের তুলনায় অনেক বেশি উপকারী। আসুন জেনে নিই কেন কোয়েলের ডিম এত জনপ্রিয়-কোয়েল পাখির ডিম VS মুরগির ডিম ২০২৪ 

কোয়েলের ডিমের পুষ্টিগুণ কি? কোয়েলের ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা শরীর গঠন ও মেরামতের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে ভিটামিন A, B কমপ্লেক্স, D, E এবং খনিজ পদার্থ যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস প্রচুর পরিমাণে থাকে। কোয়েলের ডিমে বিভিন্ন ধরনের অ্যামিনো এসিড থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য ডিমের তুলনায় কোয়েলের ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক কম।

কোয়েলের ডিমের উপকারিতা কি? কোয়েলের ডিমে থাকা প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।কোয়েলের ডিম হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং পাকস্থলীর সমস্যা দূর করে। এতে থাকা ভিটামিন A চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কম কোলেস্টেরলের কারণে কোয়েলের ডিম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। কোয়েলের ডিম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এতে থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।

হাঁসের নাকি মুরগির ডিম ভাল? ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিম থেকে ১৮৫ কিলো ক্যালরি এনার্জি পাওয়া যায়। যেখানে ১০০ গ্রাম মুরগির ডিম থেকে পাওয়া যায় ১৪৯ কিলো ক্যালরি এনার্জি। কার্বহাইড্রেট ও মিনারেলের পরিমাণ সমান হলেও হাঁসের ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ সামান্য বেশি থাকে। উভয়ের ডিমেই সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, দস্তা, তামা, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন থাকে। তবে হাঁসের ডিমে সব কিছুরই পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকে। হাঁস, মুরগি উভয়ের ডিমেই থিয়ামিন, নিয়াসিন, রাইবোফ্লোভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ ও রেটিনল থাকলেও হাঁসের ডিমে সব ভাল পরিমানে থাকে।

মুরগীর ডিম থেকে কোয়েল পাখিল ডিমের উপকারিতা বেশি / না, সাইজ দেখে ভুল করবেন না

কোয়েলের ডিমে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। মুরগির ডিমের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় কোয়েল ডিমে কোলেস্টেরল ১.৪% আর মুরগির ডিমে ৪% এবং প্রোটিনের পরিমান মুরগির ডিম থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশী। এই ডিমের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং এমাইনো এসিড এমনভাবে বিন্যাসিত যে এই ডিম শরীরের সব ধরণের পুষ্টির অভাব পুরণ করে শরীরের কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে দেয়।

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা: একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ
কোয়েল পাখির ডিম শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। অনেকের মতে, এটি অন্যান্য ডিমের তুলনায় অনেক বেশি উপকারী। আসুন জেনে নিই কেন কোয়েলের ডিম এত জনপ্রিয় এবং এর উপকারিতা কী কী:

Caption: Koyel egg

কোয়েল পাখির ডিম বনাম মুরগীর ডিম ২০২৪ । কোয়েল পাখির ডিম এবং মুরগীর ডিম, উভয়ই আমাদের খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

  • মুরগির ডিম: সাধারণত বড় আকারের এবং ওজনেও ভারী হয়।
  • কোয়েলের ডিম: খুব ছোট আকারের এবং ওজনও কম হয়।
  • প্রোটিন: উভয় ডিমেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তবে, কোয়েলের ডিমে তার আকারের তুলনায় অনেক বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়।
  • ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ: কোয়েলের ডিমে ভিটামিন বি-১২, রিবোফ্লাভিন, আয়রন, ফসফরাস ইত্যাদি মুরগির ডিমের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে থাকে।
  • কোলেস্টেরল: মুরগির ডিমের তুলনায় কোয়েলের ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক কম।
  • কোনটি বেশি ভালো? উভয় ধরনের ডিমই নিজস্ব পুষ্টিগুণ ও উপকারিতার জন্য পরিচিত। কোনটি বেশি ভালো, তা ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবস্থা, বয়স এবং খাদ্যতালিকার উপর নির্ভর করে।
  • কোলেস্টেরল সমস্যা থাকলে: কোয়েলের ডিম বেশি উপকারী।
  • শিশুদের জন্য: কোয়েলের ডিমে থাকা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শিশুদের বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য উপকারী।
  • বয়স্কদের জন্য: কোয়েলের ডিম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।

বাচ্চাদের জন্য কোয়েল নাকি মুরগীর ডিম ভাল?

কোয়েলের ডিমে ভিটামিন বি-১ এর পরিমান মুরগীর ডিম থেকে ছয়গুণ বেশী, আয়রন ও ফসফরাস পাঁচ গুণ বেশী, ভিটামিন বি-২ পনেরো গুণ বেশী। বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে থাকে কোয়েলের ডিম। চীনারা কোয়েলের ডিমকে টিবি, অ্যাজমা, এবং ডায়াবেটিস রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। কিডনি ও লিভারের সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে কোয়েলের ডিম। চিকিৎসকদের মতে কোয়েলের ডিম বিভিন্ন রোগ যেমন, পুরুষত্বহীনতা, কিডনী সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, রক্তস্বল্পতা, ডায়াবেটিস প্রভৃতি রোগের জন্য উপকারি বলে বিবেচিত।

কোয়েলের ডিম কীভাবে খাওয়া যায়? কোয়েলের ডিমকে বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। যেমন:
ফ্রাই করে উধা করে স্ক্র্যাম্বল করে
ওমলেট বানিয়ে বিভিন্ন রকমের খাবারে মিশিয়ে  
     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *