ই নামজারি ও ভূমি কর

সম্পত্তি সর্বনিম্ন বাজার মূল্য সাভার ২০২৪ । ঢাকার কাছেই সাভারে জমির দাম কেমন?

রাজধানী ঢাকার পরেই সাভার নিকটতম স্থান হিসেবে এখানে জমি বা ফ্ল্যাটের দাম খুব একটা কম নয় বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে-সরকারি মূল্যও বাজার ভিত্তিক করা হচ্ছে–সম্পত্তি সর্বনিম্ন বাজার মূল্য সাভার ২০২৪

সাভার এলাকায় জমির দাম কেমন?– সাভারে জমির দাম নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর করেন। জমির অবস্থান, চাহিদা ধরনের উপর  ঢাকার কেন্দ্রের কাছে অবস্থিত জমির দাম বেশি হবে, যেখানে যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো এবং সুযোগ-সুবিধা বেশি। যদি কোন এলাকায় বাজারের চাহিদা বেশি থাকে, সেখানে জমির দামও বেশি হবে। উদাহরণস্বরূপ, শিল্প এলাকা বা আবাসিক এলাকার জমির দাম সাধারণত কৃষি জমির চেয়ে বেশি হয়। আবাসিক, বাণিজ্যিক, বা শিল্প zoning-এর জমির দাম কৃষি জমির চেয়ে অনেক বেশি। যদি জমি ভালো রাস্তার পাশে, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বাজার ইত্যাদির কাছে অবস্থিত হয়, সেখানে জমির দাম বেশি হবে। মোটামুটি ধারণা দেওয়ার জন্য, সাভারে জমির দাম প্রতি শতকায় ৳৩,০০,০০০ থেকে শুরু করে ৳৫০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

ঢাকার কাছেই সাভার এলাকায় সরকারি মূল্য কেমন? সাভার কলমা তে আপনি বাড়ীর হলে ৫-৬ লক্ষ, চালা হলে ৬-৭ লক্ষ টাকা, নাল হলে ২.৫-৩ লক্ষ টাকা পুকুর হলে ৬ লক্ষ টাকা ধরে সরকারি কর ও অন্যান্য চার্জ পরিশোধ করতে হবে। বিস্তারিত মূল্য তালিকা সম্বলিত লিংক দেওয়া আছে চাইলে আপনি সেখান থেকে মৌজা ভিত্তিক দাম বা মূল্য দেখে নিতে পারেন।

সাভার এলাকা বসবাসের জন্য কেমন? সাভার বসবাসের জন্য একটি জনপ্রিয় এলাকা, কারণ এটি ঢাকার কেন্দ্রের কাছে অবস্থিত এবং শহরের সুযোগ-সুবিধাগুলির সহজ অ্যাক্সেস প্রদান করে। সাভার ঢাকার কেন্দ্রের কাছে অবস্থিত, যা এটিকে যাতায়াতের জন্য একটি সুবিধাজনক স্থান করে তোলে। এলাকায় বেশ কয়েকটি মূল সড়ক এবং হাইওয়ে রয়েছে যা শহরের অন্যান্য অংশে সংযোগ স্থাপন করে। সুযোগ-সুবিধা: সাভারে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বাজার এবং শপিং মল। এলাকায় বেশ কয়েকটি পার্ক এবং রিক্রিয়েশন কেন্দ্রও রয়েছে। সাভারে বিভিন্ন ধরণের আবাসন বিকল্প রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অ্যাপার্টমেন্ট, কন্ডোমিনিয়াম এবং একক-পরিবারের বাড়ি। জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী মূল্যের। সাভার সাধারণত একটি নিরাপদ এলাকা হিসাবে বিবেচিত হয়। অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম।

সাভার এলাকার মৌজা ভিত্তিক সরকারি মূল্য তালিকা ২০২৪ । আপনি সাভার এলাকায় জমির কিনতে চাইলে সরকারি মূল্য তালিকা অবশ্যই দেখে নিবেন।

সাভার একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, যার ফলে যানজট এবং দূষণ হতে পারে। সাভারে পরিবেশগত কিছু উদ্বেগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বায়ু এবং জল দূষণ। সাভারে কিছু প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে, যেমন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা পরিষেবা এবং সাংস্কৃতিক আকর্ষণ। সামগ্রিকভাবে, সাভার বসবাসের জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে যারা ঢাকার কেন্দ্রের কাছে একটি সাশ্রয়ী মূল্যের এলাকা খুঁজছেন। আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি সাবধানে বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

সম্পত্তি সর্বনিম্ন বাজার মূল্য সাভার ২০২৪ । ঢাকার কাছেই সাভারে জমির দাম কেমন?

Caption: Savar Govt. Land Rate 2024 pdf Download

সম্পত্তি বা ভূমি ক্রয়ে জ্ঞাতব্য বিষয় ২০২৪ ।  জমি কেনার সময় কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হয়?

  • জমির মালিকানা: নিশ্চিত করুন যে আপনি যে জমি কিনছেন তার মালিকানা স্পষ্ট এবং বিতর্কমুক্ত।
  • দলিলপত্র: সমস্ত প্রয়োজনীয় দলিলপত্র, যেমন খতিয়ান, দলিল, মালিকানা সনদ ইত্যাদি যাচাই করুন।
  • জমি সংক্রান্ত আইন: জমি সংক্রান্ত প্রযোজ্য আইন সম্পর্কে জ্ঞান রাখুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনি যে জমি কিনছেন তা সেই আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
  • ভৌগোলিক অবস্থান: শহরের কেন্দ্র থেকে দূরত্ব, যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থা, আশেপাশের এলাকা ইত্যাদি বিবেচনা করুন।
  • বাজার মূল্য: এলাকার বাজার মূল্য সম্পর্কে ধারণা রাখুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনি ন্যায্য মূল্যে জমি পাচ্ছেন।
  • ভবিষ্যতের সম্ভাবনা: এলাকার ভবিষ্যতের সম্ভাবনা, যেমন বাণিজ্যিকীকরণের সম্ভাবনা, উন্নয়ন পরিকল্পনা ইত্যাদি বিবেচনা করুন।
  • জমির ধরণ: আবাসিক, বাণিজ্যিক, কৃষি ইত্যাদি জমির ধরণ নির্ধারণ করুন।
  • জমির আকার: আপনার চাহিদা অনুযায়ী জমির আকার নির্ধারণ করুন।
  • জমির বৈশিষ্ট্য: মৃত্তিকার গুণমান, ভূমি উচ্চতা, পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করুন।
  • পরিবেশ: এলাকার পরিবেশগত পরিস্থিতি, যেমন বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, জল দূষণ ইত্যাদি বিবেচনা করুন।
  • নিরাপত্তা: এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জেনে নিন।
  • সুযোগ-সুবিধা: স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বাজার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাগুলির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করুন।

জমি কিনতে কেন আইনজীবির পরামর্শ নিতে হয়?

জমি কেনার আগে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী এবং রিয়েল এস্টেট এজেন্টের সাথে পরামর্শ করার পরামর্শ নিতে হয়। আপনার কষ্টে অর্জিত অর্থ যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য আপনার বাজেট নির্ধারণ করুন এবং তার মধ্যে থাকুন। জমি কেনার জন্য তাড়াহুড়ো করবেন না। বিভিন্ন জমি দেখুন এবং তুলনা করুন। মৌখিক চুক্তির উপর নির্ভর করবেন না। সবকিছু লিখিত আকারে করবেন।

https://reportbd.net/%e0%a6%ae%e0%a7%8c%e0%a6%9c%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%9f-%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a8%e0%a7%a9-%e0%a5%a4-%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0/  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *