সূচীপত্র
সরকার জনগনের নিকট হতে ভূমি অধিগ্রহণ বা ক্রয় করলে জনগণ বা ব্যক্তি মালিক এলটি নোটিশ ফর্মের মাধ্যমে সম্পত্তি বা জমি হস্তান্তর করতে হয় – LT Notice – এলটি নোটিশ Form
কখন মালিকানা হস্তান্তরের প্রয়োজন পড়ে?– ভূমি ব্যবস্থাপনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, আদিযুগ থেকে মানুষ বন-জঙ্গল পরিষ্কার করে জুম চাষ শুরু করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে মানুষ আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি প্রর্বতন করেন। আদিকালে যিনি জঙ্গল পরিষ্কার করতেন তিনিই মূলত ভূমির মালিক ছিলেন। পরবর্তীকালে হিন্দু আমলে একই নিয়ম চালু ছিল। যে ব্যক্তি বা পরিবার জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি চাষাবাদ করত তারাই জমির প্রকৃত মালিক ছিল। রাজ্যের রাজা রাজস্বের মালিক হিসাবে মোট ফসলের একটি অংশ কর হিসাবে গ্রহণ করত। এই অংশ এক-তৃতীয়াংশ থেকে এক-ষষ্ঠাংশ পর্যন্ত চালু ছিল মর্মে জানা যায়। রাজা রাজস্বের বিনিময়ে শাসন কার্য পরিচালনাসহ সমাজের শান্তি-শৃংখলা রক্ষা করলেও কৃষকের/মালিকের সম্পত্তি কখনও দাবি করতেন না।
কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি তাহার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন কোন স্থাবর স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বা মালিকানা, উক্ত ব্যবসায় পরিচালনায় এই আইনের অধীন প্রদেয় সকল মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক, বা অন্যবিধ পাওনা] সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ না করা পর্যন্ত, হস্তান্তর করিতে পারিবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বা মালিকানা ক্রয়কারী ব্যক্তি প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বা অন্যবিধ পাওনা] পরিশোধ করা বিষয়ে কোন তফসিলী ব্যাংকের নিঃশর্ত ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিল করিলে যথোপযুক্ত বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কমিশনার তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে উহা হস্তান্তরের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
মুসলিম আমলের প্রথমদিকে হিন্দুযুগের রীতিনীতি অনুসরণ করে ভূমি ব্যবস্থাপনা চলতে থাকে। ১৫৪০ সাল হতে ১৫৪৫ সাল পর্যন্ত আফগান শুরু বংশীয় নৃপতি সঠিক ন্যায়সংগত ভূমি রাজস্ব নির্ধারণের লক্ষ্যে ভূমি জরিপ প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে সম্রাট আকবরের উজির টোডরমল ভূমি ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। ব্রিটিশ আমলের সূচনায় ভূমি রাজস্ব আদায়ই ব্রিটিশদের মূল কার্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। আদিকাল থেকে ব্রিটিশ আমলের প্রথম পর্যায় পর্যন্ত ভূমি রাজস্ব নির্ধারণ ও ভূমি রাজস্ব আদায়ের অনেক করুণ ইতিহাস থাকলেও যথাসময়ে ভূমি কর পরিশোধ করলে ভূমি মালিকগণ তার জমি ভোগ করতে পারতেন। ব্রিটিশ আমলে ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিশ কর্তৃক “ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত” প্রথা চালু হয়। বাংলার কৃষক জমির মালিকানা হারায়। জমিদার ও মধ্যস্বত্বভোগীগণ জমির মালিক হয়।
ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য/ ভূমি হস্তান্তর আইন ও মালিকানা হস্তান্তর দলিলের নমুনা দেখুন
রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন, ১৯৫০ এর ধারা ৮৯(১)(ক) অধীন এলটি নোটিশ নমুনা ফরম প্রণীত হয়েছে। আপনার প্রয়োজনীয় ফর্মটি ডাউনলোড করে নিজে নিজেই এলটি নোটিশ প্রস্তুত করে নিতে পারবেন। ফরম্যাটটি মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে নিকোশ ফন্ট এবং বিজয় (SutonnyMJ) ফন্ট ব্যবহার করা লেখা হয়েছে। স্ট্যাম্পে প্রিন্ট করার পূর্বে পেজ সেটিংস থেকে টপ মার্জিন ৬.৪ ইঞ্চি নির্ধারণ করে নিতে হবে।
Caption: LT Notice Form বা এলটি নোটিশ (পূরণকৃত নমুনা) PDF Download । Word File Download
সম্পদ বা ভূমি অর্জনের উপায় 2024 । একজন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান নিম্নোক্তভাবে সম্পত্তি অর্জন করা যায়?
- উল্টরাধিকার সূত্রে (ব্যক্তিগত ধর্মীয় আইন দ্বারা পরিচালিত)
- ক্রয়-বিক্রয় সূত্রে ( সম্পত্তি হস্তান্তর আইন-১৮৮২ ও ভূমি রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর বিধান অনুসারে)।
- আদালতের রায়ের মাধ্যমে।
- অন্যান্যভাবে হস্তান্তরিত (ব্যক্তিগত ধর্মীয় আইন ও সম্পাত্ত হস্তান্তর আইন-১৮৮২ এর বিধান অনুসারে) যেমন-
- লীজ/ইজারা
- উইল (Will)
- বিনিময় (Of Exchanges)
- দান (Gift)
- হেবা-বিল এওয়াজ (Heba-Bill-Ewaz)
- ওয়াকফ (Wakf)
- দেবোত্তর সম্পত্তি।
দেশের কৃষক গণ ঠিক কখন জমির মালিকানা ফিরে পায়?
১৭৯৩ সাল হতে ভারত বিভাগের সময় ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ১৯০ বছর দেশের কৃষকরা জমির মালিকানা হারিয়ে জমিদারগণের অনুগ্রহভোগী অসহায় মানবে পরিণত হয়। দেশ বিভাগের পর ১৯৫০ সালে জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন প্রবর্তনের ফলে এদেশের কৃষকরা পুনরায় জমির মালিকানা ফিরে পায়। ১৭৯৩ সালের পরবর্তী সময়ে দেশে বিভিন্ন স্বদেশী আন্দোলন ও কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে বিভিন্ন আইন করা হলেও ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন আরা কৃষকদের ভূমির সীমিত অধিকার প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে প্রথা উচ্ছেদ হয় এবং কৃষকেরা পুনরায় জমির মালিকানা ফিরে পায়।
ভূমি আইন ২০২২ সারাংশ: ডাউনলোড