সূচীপত্র
মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা এড়াতে নতুন আইন খুব শিঘ্রই আসছে-এতে মহাসড়কে ১০০, ১১০ এবং ১২৫ সিসি’র বাইক চলাচল করতে পারবে না – মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা ২০২৪
নতুন আইনে কি আছে? – প্রথমত মহাসড়কে ১২৬ সিসি’র নিম্নগতির গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। রাজধানীতে বাইকের গতি ৩০ কি: মি: এর উপরে হবে না। কিছু সড়ক বেধে গাড়ির গতি ৬০ অতিক্রম করবে না এবং মহাসড়কে বাইকের সর্বোচ্চ গতি ৮০ অতিক্রম করবে না। এখনও খসড়া আইনের অনুমোদন হয়নি। প্রথমত খসড়া প্রকাশ হবে এবং চূড়ান্ত আইনটি জারি হবে। ইঞ্জিন অয়েল/ মবিল এর দাম ২০২৩ । ডিসকভার বাইকের মবিল কোনটা ভাল হবে?
নতুন নীতিমালা উদ্দেশ্য কি? মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাবে। মোটরসাইকেলের নিরাপদ ব্যবহার ও অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ তৈরি করা হবে। মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো চেষ্টা করা হবে।
কে এই নীতিমালা তৈরি করল? মোটরসাইকেলের চলাচল নিয়ন্ত্রণে এসব বিষয় যুক্ত করে একটি নীতিমালার খসড়া করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ৯ সদস্যের একটি কমিটি। কমিটিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। মোটরসাইকেলের যত্ন নেয়ার নিয়ম ২০২৩ । বাইকে ভাল মাইলেজ পেতে হলে যা যা করতে হবে
আপনি জানেন কি কত লোক বাইক এক্সিডেন্টে মারা যায়? যাত্রী কল্যাণ সমিতি, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনসহ বেসরকারি সংস্থাগুলো সড়ক দুর্ঘটনা যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে, সে অনুযায়ী দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির প্রায় ৪০ শতাংশের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংশ্নিষ্টতা রয়েছে। সারাদেশে নিবন্ধিত ৫৬ লাখ ২৮ হাজার যানবাহনের মধ্যে ৪০ লাখ ৩৯ হাজার মোটরসাইকেল। গত ১১ বছরে সারাদেশে চারগুণ হয়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা। ২০২২ সালে নতুন ৫ লাখ ৬ হাজার ৯১২টি মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়েছে। তবে রাজধানীতে মোটরসাইকেল বাড়ার হার আরও বেশি। ঢাকায় ১১ বছরে পাঁচগুণ হয়েছে এই দ্বিচক্রযানের সংখ্যা। ঢাকায় নিবন্ধিত ১৯ লাখ ৬৬ হাজার যানবাহনের ১০ লাখ ২৩ হাজারই মোটরসাইকেল। বাংলাদেশের সেরা ১০ টি মোটরসাইকেল । বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো বাইক ২০২৩
বেশি সিসির বাইক হাইওয়ে রোডের বাস-ট্রাকের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারবে এতে করে দুর্ঘটনা কমবে / গণ পরিবহনের বিকল্প কখনো বাইক হতে পারে না
তাহলে কি ১২৫ গাড়ি কিনে ভুল করলাম? না। কোন ভুল করেন নি। সার্ভিস রোড বা শহরাঞ্চলে আপনি অবশ্যই গাড়িটি চলাতে পারবেন। মহাসড়কের পার্শ্বের লেনের চলানো যাবে। ছোট বা কম সিসির বাইক মহাসড়ক ছাড়া সব রোডে চালানো যাবে। এই আইনটি মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণের জন্য নয় বরং দুর্ঘটনা কমানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। হাইওয়েতে চলাচলের জন্য ১২৬ সিসি’র উর্ধ্ব সিসি’র বাইক ক্রয় করুন।
Caption: Source of information
বাইক চলাচল আইন ২০২৪ । খসড়া আইনে আর কি কি আছে?
- সড়কভেদে সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গতি নির্ধারণ করবে।
- স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষও গতি নির্ধারণ করতে পারে।
- মহাসড়কে সর্বোচ্চ নির্ধারিত গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার।
- রাজধানীর ক্ষেত্রে সড়কভেদে তা ৩০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।
- যেকোনো শহরের ভেতরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার।
- এছাড়া মহাসড়কে ১২৬ সিসির কম ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল।
- আরোহী নিয়ে চলাচল করা যাবে না।
- ঈদ ও উৎসবের সময় মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না মোটরসাইকেল।
- বাইকে বয়স্ক ও শিশু পিলিয়ন পরিবহন করা যাবে না।
বাইক চালানোর সময় কি কি খেয়াল রাখতে হবে?
মোটরসাইকেল চালনা করার সময় হেলমেট পরিধান করা অবশ্যই আবশ্যক। সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী উচ্চ মাত্রার হেলমেট না পরিধান করলে শাস্তি দেওয়া হতে পারে। মোটরসাইকেল চালনা করার সময় লাইট সিস্টেম এবং সাইড মিরর ব্যবহার করা উচিত এবং এর সম্পর্কে কোনো অভিযোগ থাকলে জরিমানা গুণতে হবে। মোটরসাইকেল চালনা করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল চালকের সুরক্ষা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রোড ট্যাক্স পরিশোধ করা আছে কিনা। লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশনকৃত বাইক চালাতে হবে। কোন ক্রমেই রেজিস্ট্রেশন বিহীন এবং বর্ডার ক্রস বাইক সড়কে চালনা করা যাবে না। ভালো মাইলেজ পাওয়ার উপায় ২০২৩ । বাইকের ভালো মাইলেজ পেতে ১০টি সেরা টিপস
সূত্র: প্রথমআলো ও অনলাইন পোর্টাল
জনাব, 126 সিসির কম অর্থ্যাৎ 55 সিসি হতে 125 সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলগুলি ক্রয়কারীগন দুটি কারণে মোটরসাইকেল কিনেছেন – 1.আর্থিক সমস্যার কারনে 2. কম তেলে অধিক মাইলেজ পাওয়া যায় বলে। এদেশে তেলের যে দাম তাতে কম সিসিরগাড়ী চালানেওয়ালারা সংখ্যায় অনেক। কম সিসির বাইক চালানেওয়ালারা বেশির ভাগই হয়ে থাকে চাকরীজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও কম আয়ের লোক ইত্যাদি। তারা তাদের খুব প্রয়োজনেই মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকেন এবং সাবধানে। কারণ তারা জানেন একটি দূর্ঘ টনা একটি পরিবারের জন্য কতখানি কস্টের হয়। মোটরসাইকেল দূর্ঘ টনার কারন দেখতে গেলে- দেখা যায়,1. যারা মোটরসাইকেল কিনেছেন শুধু সখে বা ইনজয় করতে বা মোটরসাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নয় এমন যুবক শ্রেণী বা কম বয়সী ছেলেরা, তাদের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো। 2. বাস, ট্রাক, অন্যান্য বড় গাড়ী যেগুলো মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলে এবং ছোট গাড়ী গুলোকে পাত্তা না দেওয়ার মনমানসিকতা থাকে ও আইন বহির্ভূত ওভারটেইকিং, আগে যাওয়ার জন্য পারাপারি ইত্যাদি। এ জন্য কম সিসির মোটরসাইকেল চালানেওয়ালাদের পক্ষ হতে উক্ত খসড়া মোটরসাইকেল নীতিমালা -2023 প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞ কমিটিগণদের সদয় বিবেচনার নিমিত্তে কম সিসির মোটরসাইকেল মহাসড়কে না চালানোর নীতিমালা প্রণয়ন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। এটা হলে অনেক মধ্যবিত্ত ভদ্রজন তাদের প্রতিদিন কার কর্মজীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠবে। এছাড়া করোনা সংক্রান্ত বিষয় ও আমাদের মাথায় রাখা উচিত। করোনার কারনেও অনেকে কম সিসির মোটরসাইকেল গুলো কিনেছেন এবং নির্বিঘ্নে অফিসে যাতায়াত করছেন।
আপনার আলোচনায় যথেষ্ট যুক্তি আছে। ধন্যবাদ
আমার মতে বাংলাদেশে বাইকের সিসির লিমিট কিছুটা বাড়ানো উচিত।
দেখা যাক সরকার কি করে।
যেখানে মহাসড়কে গতি সর্বোচ্চ ৮০ রাখবেন, সেখানে ১২৫ সিসির উপরের বাইক লাগবে কেনো। আসলে বন্ধ করে কোনো নীতিমালা তৈরি করলে তা কতটা উপকারী হবে তা প্রশ্নবিদ্ধ। যদি পারেন বাইকের জন্য আলাদা লেন তৈরি করেন। আমাদের জন্য ৩০০/৪০০ ফিটের রাস্তা তৈরি করা লাগবে না। তা না হলে ১০০ সিসির উপরের সকল বাইকের অনুমতি দিয়ে দেন। বাস মালিক সমিতির সাথে আর কতটা বেয়াই বেয়াই খেলবেন!!
আপনার কথায় অবশ্য বেশ কিছু যুক্তি আছে।
১২৫সিসি বাইক ৯০/১০৫ কিঃ মিঃ গতিতে চলতে সক্ষম,তবে কেনো ১২৫ সিসি বাইক হাইওয়েতে চলতে পারতেনা, এমন সিদ্বান্তকে নিন্দাজানাই।
সিদ্ধান্তে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।
মোটরসাইকেল মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্তদের অন্যতম যাতায়াতের মাধ্যম।কেউ ব্যবহার করে শখের বশে আবার কেউ ব্যবহার করে বাহন হিসেবে।বাহন হিসেবে ব্যবহার করা ব্যাক্তির সংখ্যাই বেশি।যারা কম উপার্জনকারী যেমন শিক্ষক,ব্যবসায়ী, বা নিম্ন বা মধ্যম শ্রেণির চাকুরিজীবী তারা চাইলেই ১২৫ সিসির উপরে বাইক কিনতে পারেন না।আর তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে এতে তারা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাইক কেনার কথা চিন্তাও করতে পারে না।তাই অনুরোধ জানাচ্ছি সর্বোনিম্ন ১১০ সিসির বাইক মহাসড়কে চলতে দেওয়া হোক।৮০ কিমি গতিতে এসব বাইক সহজেই চালানো সম্ভব।অন্যথায় অনেক মানুষের জন্য এই আইন দুঃশ্চিতার কারণ হতে পারে।
আইনটি এখনও কার্যকর হয়নি।
১২৫ সি সি বাইক কি তাহলে মহাসড়কে চালাতে পারবোনা??
আইন এখনও কার্যকর হয়নি। সমালোচনার মুখে স্থগিত আছে।
যে সকল বাইক এস্কিডেন্ট হয় তার বেশি ভাগই তো ১০০ বা ১২৫ সি সি এর উপরের। তাহলে কম সি সি এর বাইক গুলো কি দোষ করলো।
এগুলো আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত।