আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে অনেকেরই নানাবিধ ভুল ত্রুটি রয়েছে। পরবর্তীতে সমস্যা এড়াতে এখনই এ ধরনের ভুল ত্রুটি সংশোধন করে নিতে পারেন।

নিম্নে জাতীয় পরিচয়পত্রের ৮ ধরনের সংশোধন নিয়ে আলোচনা করছি।

১. নিজ পিতা/ স্বামী/ মাতার নাম সংশোধন করতে হলে:

আবেদন পত্রের সাথে নিম্নোক্ত দলিলাদি (এক বা একাধিক) দাখিল করতে হবে:

> এস.এস.সি বা সমমান সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি

> নাগরিকত্ব সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি

> জন্ম সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি

> চাকুরীর প্রমাণপত্র (যদি থাকে)

> পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি

> নিকাহনামা (যদি থাকে) এর সত্যায়িত ফটোকপি

> পিতা/ স্বামী/ মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি

আবেদন করার পর আপনাকে একটি প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে দেয়া হবে। সাধারণত প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ বা প্রদান করা হয়।

২। নিজের নাম পরিবর্তন

ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদন পত্রের সাথে নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে

> এস.এস.সি/ সমমান সনদের সত্যায়িত ফটোকপি

> স্ত্রী/ স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি (বিবাহিতদের ক্ষেত্রে)

> এফিডেভিট (ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত)

> জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের কপি।

উক্ত কাগজপত্র সহ আবেদন করা হলে আপনাকে শুনানীর জন্য ডাকা হবে এবং কাগজপত্রের মূলকপি সহ ব্যক্তিগত শুনানীর জন্য উপস্থিত হতে হবে।

৩। বিবাহ/ বিবাহবিচ্ছেদের কারণে সংশোধণ-

> নতুন বিবাহ হয়ে থাকলে এবং বিবাহের কারণে জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চাইলে- কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।

> বিবাহ-বিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে- তালাকনামার সত্যায়িত কপি দাখিল করতে হবে।

আবেদন করার পর আপনাকে একটি প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে দেয়া হবে। সাধারণত প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে উলে­খিত তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ বা প্রদান করা হয়।

৪। পিতা/ মাতার নাম পরিবর্তন-

পিতা/মাতার নাম আমূল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আবেদনের সাথে নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমাদিতে হবে

> এস.এস.সি/এইচ.এস.সি/সমমান পরীক্ষার সনদপত্র/ রেজিস্ট্রেশন কার্ড

> পিতা/মাতার পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি

> পিতামাতামৃত হলে অন্যান্য ভাইবোনের পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি

> অন্য কোন গ্রহণযোগ্য কাগজের সত্যায়িত কপি

এক্ষেত্রে প্রকল্প কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক সাক্ষাতকার গ্রহণ করার প্রয়োজন হতে পারে।

৫। জন্মতারিখ সংশোধন-

যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/ সমমান তাদের ক্ষেত্রে

> তাদের জন্মতারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষার সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে

> বয়সের পার্থক্য অস্বাভাবিক না হলে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উলে­খিত তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।

> অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সনদের মূল কপি প্রদর্শনকিংবা ব্যক্তিগত শুনানীতে অংশ নেয়া প্রয়োজন হতে পারে।

যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনূর্ধ এসএসসি/সমমান তাদের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু তারিখের আগের তারিখের

> সার্ভিস বুক/ এমপিও’র কপি

> ড্রাইভিং লাইসেন্স

> জন্ম সনদ

> নিকাহনামা

> পাসপোর্টর কপি প্রভৃতি দাখিল করতে হবে

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/ প্রকল্প পরিচালক কর্তৃক সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়, প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।

৬। বিবিধ সংশোধন-

জাতীয় পরিচয়পত্রে কোন নামের পূর্বে পদবী, উপাধি, খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না।

> পিতা/স্বামী/মাতাকে “মৃত” উলে­খ করতে চাইলে মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে

> জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে “মৃত” হিসেবে উলে­খ করার কারণে

পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।

৭। রক্তের গ্রুপ সংশোধন-

রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৮। ঠিকানা সংশোধন-

ঠিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে ফরম-১৩/ ফরম-১৪ এ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।

> প্রকল্প অফিসে ভোটার এলাকা পরবর্তন ছাডা শুধু ঠিকানায় নম্বর বা বানান ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হয়।

> এজন্য পরিবারের কোন সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি

> গ্যাস/বিদ্যুৎ/টলিফোন বিলেরকপি,করআদায়েরকপি

> চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনারের প্রত্যয়নপত্র ইত্যাদি দাখিল করতে হবে।

 

আরও বিস্তারিত এখানে দেখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *