পাসপোর্ট করতে ৪০০০ টাকা থেকে ১৩০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে-ডেলিভারীর ধরণ ভেদে ব্যয় বৃদ্ধি পায় – পাসপোর্ট অথোরাইজেশন লেটার

অথোরাইজেশন লেটার কি? – অথরাইজড মানে হচ্ছে কাউকে অনুমতি দেওয়া। আপনার পক্ষ হয়ে কেউ চেক বই তুলতে পারে বা পাসপোর্টও উত্তোলন বা তুলে দিতে পারে। অথরাইজেশন লেটার [Authorization letter] এর বাংলা অর্থ হল অনুমতিপত্র অর্থাৎ আপনার হয়ে কেউ কোন কাজ করে দিবে তার ক্ষমতা প্রদানকরণ। Passport authorization letter এর অর্থ অনেক টা এমন “একজনের পাসপোর্ট অন্যজন কে উত্তোলন বা সংগ্রহের অনুমতি দেওয়াই হল অর্থরাইজড “।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে? পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ৪,০২৫ টাকা থেকে ১৩,৮০০ টাকা পর্যন্ত তবে তা নির্ধারিত হয়েছে পাসপোর্ট এর মেয়াদ, পৃষ্ঠা এবং পাসপোর্ট এর ধরন ( সাধারণ পাসপোর্ট, জরুরী পাসপোর্ট, অতীব জরুরী পাসপোর্ট) এর ভিত্তিতে। আপনি চাইলে পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়েও চেক করে দেখতে পারেন। প্রমানক দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগে? জাতীয় পরিচয়পত্র / অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ। আবেদন সামারী (Application Summery)। ই পাসপোর্ট আবেদন কপি। ইউটিলিটি বিলের কপি (গ্যাস/বিদ্যুৎ) । পিতা-মাতার NID কার্ডের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)। নাগরিক সনদ / চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট । পেশাজীবী প্রমাণপত্র ব্যাস এগুলো এখন আপনি নিজে বা কোন কম্পিউটারের দোকানে ১০০-২০০ টাকা দিলেই আবেদন করে দিবে।

পাসপোর্ট তোলার ক্ষেত্রে ডেলিভারী স্লিপ হলেই হল কিন্তু নিজে যেতে না পারলে বেশ কিছু অতিরিক্ত ডকুমেন্ট লাগে তার মধ্যে প্রধান হলো অথরাইজেশন লেটার বা ক্ষমতা অর্পণপত্র 

পাসপোর্ট অথোরাইজেশন লেটার এর সাথে যা যা সাথে নিবেন তা হল পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ, পূর্বের পাসপোর্ট ( যদি থাকে), পাসপোর্ট উত্তোলনকারীর NID ( মূল কপি এবং ১ টি ফটোকপি) ।

Caption: Application to Deputy Director of Passport office pdf download

ই পাসপোর্ট করবেন যেভাবে । পাসপোর্ট করার নিয়ম কি?

  • প্রথমত ই-পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
  • অনলাইনে পাসপোর্ট এপ্লিকেশন ফরম পূরণ করতে হবে (নিজে অথবা কম্পিউটারের দোকান থেকে)।
  • ই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে (মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংকে গিয়ে)।
  • আবেদন ফরম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়া ও বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে (নিজের যেতে হবে মূল কপি সহ)।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে (পুলিশ বাড়িতে আসবে কিছু সম্মানী দিয়ে দিতে হবে)।
  • অনলাইনে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করতে হবে।
  • পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে (ডেলিভারীর কাগজ নিয়ে নিজে অথবা অথরাইজেশন লেটার দিয়ে অন্য কাউকে)।

পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা কিভাবে দেখবো?

দু’ভাবে পাসপোর্ট রেডি বা ডেলিভারীর জন্য প্রস্তুত কিনা তা চেক করা যায়। এক হচ্ছে SMS এর মাধ্যমে ই পাসপোর্ট চেক করার জন্য মোবাইলের মেসেজ লিখার অপশনে চলে যান এবং EPP <space> Application-ID টাইপ করে পাঠিয়ে দিন 16445 নাম্বারে। ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার পাসপোর্ট আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা, আবেদনে কোন সমস্যা আছে কিনা এবং পাসপোর্ট কবে হাতে পাবেন। এছাড়া আপনি অনলাইনেও চেক করতে পারেন এক্ষেত্রে epassport.gov.bd/authorization/application-status এই লিংকে গিয়ে Application ID, Email and Date of Birth input দিয়ে ক্যাপচা এন্ট্রি সম্পন্ন করে Check ক্লিক করলেই পাসপোর্টের অবস্থা দেখাবে।

পাসপোর্ট সংশোধন ফরম ২০২৩ । পাসপোর্ট সংশোধণ করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *