সূচীপত্র
বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার অনেক প্যারা রয়েছে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ অফিস এই পাসপোর্ট অফিস-সাধারণত দালাল দিয়েই পাসপোর্ট করা হয়-এখন অবশ্য আপনি নিজে তথ্য জেনে শুনে চেষ্টা করলেও দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করা যাচ্ছে– Passport Papers 2025
ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্যকি কি কাগজপত্র সাথে আনতে হবে? জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে। পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি । মেয়র/কমিশনার/চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিকত্ব সনদ/জাতীয়তা সনদ । প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন : ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে ।প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
জমির পর্চার কপি লাগে? খতিয়ান ও বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জিডি কপিসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে। আবেদনের সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের (ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ড) ছবি দাখিল করতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কত দিনের মধ্যে মিলে? ফি অনুযায়ী বিতরণের ১৫ কর্মদিবস সময় পর্যন্ত হতে পারে। আবেদনপত্রের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল দাখিল করা ও সকল করা ও সকল তথ্যাদি তথ্যাদি সঠিক থাকা সঠিক থাকা সাপেক্ষে এটি হয়ে থাকে। ২ কর্মদিবস (আবেদনপত্রের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা ও সকল তথ্যাদি সঠিক থাকা সাপেক্ষে) মধ্যেও এটি সম্পন্ন হতে পারে।
ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম কি? অনলাইনে আবেদন: ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (e-Passport) গিয়ে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রে ব্যক্তিগত তথ্যাদি, বর্তমান ঠিকানা, এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য দিতে হবে। ছবি এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস আপলোড করার প্রয়োজন নেই। 2. ডেলিভারি স্লিপ সংগ্রহ: আবেদন সম্পন্ন হলে একটি ডেলিভারি স্লিপ ডাউনলোড করতে হবে। এই স্লিপে একটি OID (Online Registration ID) নম্বর থাকবে, যা পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় প্রয়োজন হবে। 3. পাসপোর্ট ফি প্রদান: অনলাইনে অথবা ব্যাংক থেকে ই-পাসপোর্টের ফি পরিশোধ করা যাবে। বিভিন্ন মেয়াদে এবং বিভিন্ন পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য ফি ভিন্ন হয়ে থাকে। 4. ডকুমেন্টস জমা দেওয়া এবং বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ: অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি, পেমেন্ট স্লিপ (যদি অনলাইনে পেমেন্ট করা হয়), জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ, এবং পূর্বে যদি কোন পাসপোর্ট থেকে থাকে তার ফটোকপি সহ পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে ১৭-ডিজিটের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ১৭-ডিজিটের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হবে। ২০ বছরের বেশি হলে জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। সেখানে আবেদনকারীর ছবি, স্বাক্ষর এবং আঙ্গুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক তথ্য) সংগ্রহ করা হবে। 5. পাসপোর্ট সংগ্রহ: সাধারণত আবেদন করার ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত হয়। পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ডেলিভারি স্লিপ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
ই-পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি প্রদান করতে হবে। এখানে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যেতে পারে।
ই পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি একই খরচ? হ্যাঁ, ই-পাসপোর্ট রিনিউ করার খরচ সাধারণত নতুন ই-পাসপোর্টের মতোই হয়ে থাকে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে সামান্য ভিন্নতা দেখা যেতে পারে, যা নির্ভর করে আপনি কত পৃষ্ঠার (৪৮ বা ৬৪) এবং কত বছরের (৫ বা ১০) জন্য পাসপোর্ট রিনিউ করছেন তার উপর।
Caption: Details about passport
বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার ফি কত? পাসপোর্টের পাতার সংখ্যা এবং জরুরি অবস্থার উপর ভিত্তি করে ফি নিচে দেওয়া হল
- ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট: নিয়মিত (Regular): ৪,০২৫ টাকা, জরুরি (Express): ৬,৩২৫ টাকা, অতীব জরুরি (Super Express): ৮,৬২৫ টাকা.
- ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট: নিয়মিত (Regular): ৬,৩২৫ টাকা, জরুরি (Express): ৮,৬২৫ টাকা, অতীব জরুরি (Super Express): ১০,৩৫০ টাকা.
- এছাড়াও, অনলাইনে পাসপোর্ট ফি পরিশোধের জন্য “একপে” (e-Payment) এর মাধ্যমে ভিসা, মাস্টার কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেট, ইত্যাদি ব্যবহার করে পরিশোধ করা যেতে পারে.
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করার জন্য আপনি ব্যাংক এবং অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারেন।
- পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, আপনি পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।
সর্বনিম্ন কত টাকায় পাসপোর্ট করা যায়?
বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার ফি নির্ভর করে আপনি কত পাতার পাসপোর্ট চান এবং কত দ্রুত পাসপোর্ট পেতে চান তার ওপর। ৪৮ পৃষ্ঠার একটি সাধারণ (নিয়মিত) ই-পাসপোর্টের জন্য ৪,০২৫ টাকা এবং জরুরি (২১ কর্মদিবস) অবস্থার জন্য ৬,৩২৫ টাকা এবং অতীব জরুরি (৭ কর্মদিবস) অবস্থার জন্য ৮,৬২৫ টাকা ফি দিতে হবে।
পাসপোর্টের মেয়াদ: আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বা মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে রিনিউ করা ভালো। | পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪৮ বা ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর জন্য ফি ভিন্ন হতে পারে। মেয়াদকাল: ৫ বছর বা ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্টের জন্য ফি আলাদা। জরুরি নাকি সাধারণ: জরুরি এবং অতীব জরুরি অবস্থার জন্য ফি বেশি হবে। | উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট রিনিউ করতে ৪,০২৫ টাকা এবং ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ৬,৩২৫ টাকা লাগতে পারে। |
অন্যদিকে, ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট রিনিউ করতে ৫,৭৫০ টাকা এবং ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ৮,০৫০ টাকা লাগতে পারে। | আপনি যদি বাংলাদেশে পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান, তাহলে আপনি এই লিংকটি থেকে বিস্তারিত জানতে পারেন। | |