সূচীপত্র
২৭ আগস্ট ২০২৫ — সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অন্তঃউপজেলা/থানা অনলাইন বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি শিক্ষকদের জন্য একটি সুসংবাদ, কারণ এখন থেকে তারা তাদের নিজ উপজেলার মধ্যেই অনলাইনে বদলির আবেদন করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়াটি শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর লক্ষ্য হল বদলি ব্যবস্থাকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করা হচ্ছে– সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনলাইন বদলি ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বদলির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন হবে এবং কোনো হার্ডকপি আবেদন গ্রহণ করা হবে না। পূর্বে জমা দেওয়া কোনো ম্যানুয়াল আবেদনও এই প্রক্রিয়ায় বিবেচনা করা হবে না। শিক্ষা অধিদপ্তর আশা করছে, এই নতুন অনলাইন পদ্ধতি বদলি ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও ত্রুটিমুক্ত করবে।
প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকদের বদলি আবেদন বছরে কখন শুরু হয়? বাংলাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি সাধারণত প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে শুরু হয়। তবে, এই সময়সূচি বিভিন্ন কারণে পরিবর্তন হতে পারে এবং মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে বছরের অন্য সময়েও বদলি কার্যক্রম পরিচালিত হতে পারে। বদলি প্রক্রিয়াটি এখন অনলাইনে সম্পন্ন হয়। শিক্ষকদের বদলির আবেদনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ ন্যূনতম ২ বছর পূর্ণ হতে হবে। তারা তাদের পছন্দের সর্বোচ্চ তিনটি স্কুল বেছে নিতে পারেন। আবেদন করার পর বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হয় না। বদলি প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয় এবং প্রতিটি ধাপের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। যেমন: শিক্ষকরা অনলাইন আবেদন জমা দেন। প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার আবেদন যাচাই ও অনুমোদন করেন। এরপর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং বিভাগীয় উপ-পরিচালক চূড়ান্ত যাচাই ও অনুমোদন দেন। এই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং কোনো ধরনের অনিয়ম দূর করতে সাহায্য করে।
শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ ন্যূনতম ২ বছর পূর্ণ হতে হবে। তারা তাদের পছন্দের সর্বোচ্চ তিনটি স্কুল বেছে নিতে পারেন।
যোগদানের ১ বছর পর কি বদলি হওয়ার যায়? সাধারণত, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যোগদানের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর বদলির জন্য আবেদন করার সুযোগ থাকে। তবে, একই উপজেলার মধ্যে পদ শূন্য থাকলে এই দুই বছরের আগেও বদলি সম্ভব হতে পারে। এছাড়া, কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন: যদি স্বামী বা স্ত্রী সরকারি বা আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এবং তাদের কর্মস্থলে বদলির প্রয়োজন হয়। যদি শিক্ষক বা তার পরিবারের কোনো সদস্য গুরুতর অসুস্থ হন। অথবা যদি প্রশাসনিক কারণে বদলির প্রয়োজন হয়। এই ধরনের ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে, দুই বছরের আগে বদলির আবেদন বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে, বদলির জন্য আবেদন করার পর আদেশ জারি হলে তা আর বাতিল করা যায় না। বদলি প্রক্রিয়াটি এখন সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন হয়। আগ্রহী শিক্ষকদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (DPE) গিয়ে আবেদন করতে হয়। আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর বদলির আদেশ জারি করা হয়।
Caption: Primary School Teacher Transfer
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনলাইন বদলি ২০২৫ । বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই বদলি প্রক্রিয়াটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হবে। নিচে গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলো উল্লেখ করা হলো
- ২৫-২৭ আগস্ট ২০২৫: সহকারী শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
- ২৮-৩০ আগস্ট ২০২৫: সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ আবেদনগুলো যাচাই ও অনুমোদন করবেন।
- ৩১ আগস্ট ২০২৫: উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার আবেদনগুলো যাচাই ও অনুমোদন করবেন।
- ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫: উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার চূড়ান্ত যাচাই ও অনুমোদন করবেন।
- ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫: জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বদলির আবেদনগুলো চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করবেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অন্তঃউপজেলা/থানা অনলাইন বদলির প্রক্রিয়া কি?
বর্তমানে আপনার কাছে যে নথিটি রয়েছে, তাতে অনলাইন বদলি প্রক্রিয়ার ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অন্তঃউপজেলা/থানা অনলাইন বদলি প্রক্রিয়ার ধাপগুলো হলো আবেদন প্রক্রিয়া (২৫-২৭ আগস্ট ২০২৫): সহকারী শিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইনে বদলির জন্য আবেদন করবেন। প্রধান শিক্ষকের যাচাই (২৮-৩০ আগস্ট ২০২৫): আবেদন করার পর, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদনকারীর তথ্য এবং আবেদনটি অনলাইনে যাচাই করবেন। উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের যাচাই (৩১ আগস্ট ২০২৫): প্রধান শিক্ষকের অনুমোদনের পর, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার আবেদনটি যাচাই ও অনুমোদন করবেন। উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের চূড়ান্ত যাচাই (১ সেপ্টেম্বর ২০২৫): এরপর, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক আবেদনটি চূড়ান্তভাবে যাচাই ও অনুমোদন করা হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অনুমোদন (২ সেপ্টেম্বর ২০২৫): সবশেষে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সকল যাচাই-বাছাইকৃত আবেদনগুলো অনুমোদন করবেন। এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে অনলাইনে সম্পন্ন হবে এবং কোনো আবেদনকারীকে ম্যানুয়াল বা হার্ডকপি আবেদন জমা দিতে হবে না। পূর্বের কোনো ম্যানুয়াল আবেদন এই প্রক্রিয়ায় বিবেচ্য হবে না।