সূচীপত্র
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কীম সমূহের জানুয়ারী-জুন ২০২৫ সময়কালের জন্য বিনিয়োগের শ্রেণিসীমার ভিত্তিতে দুই ধাপে (৭.৫০ লক্ষ টাকা ও এর নিম্নে এবং ৭.৫০ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে) মুনাফার হার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে- সঞ্চয়পত্রের সকল স্কিমের নতুন সুদের হার ২০২৫
সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গার ক্ষেত্রে মুনাফা কি হারে হবে? মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে উপরে উল্লিখিত ছকে বর্ণিত বছরভিত্তিক হারে মুনাফা প্রাপ্য হইবে। পূর্বের বিনিয়োগের পরিমাণসহ ক্রমপুঞ্জিভূত বিনিয়োগ (এক বা একাধিক স্কীমে মোট বিনিয়োগের সমষ্টি) বিবেচনাপূর্বক উভয় ধাপে (৭.৫০ লক্ষ টাকা ও এর নিম্নে এবং ৭.৫০ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে) বিনিয়োগসীমার ভিত্তিতে প্রযোজ্য হারে মুনাফা প্রাপ্য হইবে।
সঞ্চয়পত্র মুনাফার নতুন হার কবে থেকে কার্যকর? ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কীম’ এর আওতায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাব এ ৪টি স্কীমের মুনাফার হার পূর্বের ন্যায় অপরিবর্তিত থাকিবে। এ আদেশ ০১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ হইতে কার্যকর হইবে। ০১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখের পূর্বে ইস্যুকৃত সকল ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কীম’ এর ক্ষেত্রে ইস্যুকালীন মেয়াদে, ইস্যুকালীন সময়ের মুনাফার হার প্রযোজ্য হইবে। তবে, পুনঃবিনিয়োগের ক্ষেত্রে পুনঃবিনিয়োগের তারিখের মুনাফার হার প্রযোজ্য হইবে।
০৬ মাস পর অর্ডার বাতিল? হ্যাঁ। এ আদেশ জারি হওয়ার ০৬ (ছয়) মাস পর জাতীয় সঞ্চয় স্কীম- এ বিনিয়োগের মুনাফার হার পুনরায় নির্ধারণ করা হইবে। তবে বিনিয়োগকারী, ইস্যুকালীন সময়ে বিদ্যমান মুনাফার হার, বিনিয়োগকালের পূর্ণ মেয়াদের জন্য প্রাপ্য হইবেন; অর্থাৎ, যেই মেয়াদের জন্য তাহা ইস্যু করা হইয়াছিলো, সেই মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত একই হারে মুনাফা প্রাপ্য হইবেন।
পুরাতন বিনিয়োগকারীগনও এর আওতায় কার্যকর থাকবে না / নতুন রেট মাত্র ৬ মাসের জন্য কার্যকর
সঞ্চয়পত্র কি? সঞ্চয়পত্র কী? সঞ্চয়পত্র হলো সরকার বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জারি করা একটি ধরনের বিনিয়োগের সরঞ্জাম। এটি সাধারণ মানুষকে তাদের অর্থ সঞ্চয় করার একটি নিরাপদ ও সহজ উপায় প্রদান করে। সঞ্চয়পত্রের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখলে মেয়াদ শেষে মূলধনসহ নির্দিষ্ট হারে সুদ বা মুনাফা পাওয়া যায়।
Caption: Sanchayapatro New Profit Rate 2025
জাতীয় সঞ্চয়পত্র নতুন রেট ২০২৫ । সঞ্চয়পত্র কেন কিনবেন?
- নিরাপদ বিনিয়োগ: সঞ্চয়পত্র সাধারণত সরকার বা সরকারি নির্দেশিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জারি করা হয়, তাই এটি একটি নিরাপদ বিনিয়োগ বলে বিবেচিত হয়।
- নির্দিষ্ট মুনাফা: সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সাধারণত আগেই নির্ধারিত থাকে, ফলে আপনি কত টাকা পাবেন তা আগেই জানতে পারবেন।
- লক্ষ্য অর্জন: কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সঞ্চয়পত্র একটি ভালো উপায় হতে পারে। যেমন, বাড়ি কেনা, গাড়ি কেনা বা সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য।
- দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়: দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ের জন্য সঞ্চয়পত্র একটি ভালো বিকল্প। কারণ, দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সাধারণত বেশি হয়।
- কম ঝুঁকি: সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে অন্যান্য বিনিয়োগের তুলনায় ঝুঁকি অনেক কম।
কয় ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে?
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায়। যেমন: পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র: এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় সঞ্চয়পত্রের একটি। পরিবার সঞ্চয়পত্র: এই সঞ্চয়পত্রটি পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র: এই সঞ্চয়পত্রে তিন মাস অন্তর মুনাফা পাওয়া যায়। পেনশনার সঞ্চয়পত্র: এই সঞ্চয়পত্রটি অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য। সঞ্চয়পত্র কেনার আগে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানুন। সুদের হার এবং মেয়াদকাল বিবেচনা করুন। আপনার আর্থিক লক্ষ্য এবং ঝুঁকি সহনশীলতা বিবেচনা করুন। কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সঞ্চয়পত্র কিনবেন তা নির্ধারণ করুন।
৫-বছর মেয়ানী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ১২.৪০% | ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদী হিসাব ১২.৩০% | ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ১২.৩০% |
পেনশনার সঞ্চয়পত্র ১২.৫৫ | পরিবার সঞ্চয়পত্র ১২.৫০% | |