ব্যাংকিং কার্যক্রম

সোনালী ব্যাংক মিলিয়নিয়ার স্কিম ২০২৪ । SBMS স্কিমে ১৯৬০ টাকা ২৪০ কিস্তি চাঁদা দিতে হবে?

মিলিওনিয়ার হতে চাই আপনাকে একটু একটু করে টাকা জমাতে হবে-টাকা জমানো শুরু না করলে আপনি কখনোই টাকা জমাতে পারবেন না–সোনালী ব্যাংক মিলিয়নিয়ার স্কিম ২০২৪

সোনালী ব্যাংক মিলিওনিয়ার স্কিম কি? সোনালী ব্যাংক মিলিওনিয়ার স্কিম বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি বিনিয়োগ স্কিম। এই স্কিমটি দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের একটি সুযোগ করে দেয়। এই স্কিমে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করেন। এই জমা হওয়া অর্থের উপর ব্যাংক চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ দেয়। নির্ধারিত সময় শেষে আপনি মূলধনসহ সুদসহ অর্থটি ফেরত পান।

কেন সোনালী ব্যাংক মিলিওনিয়ার স্কিম জনপ্রিয়? সরকারি ব্যাংক হিসেবে সোনালী ব্যাংকের স্কিমে বিনিয়োগ নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এই স্কিমে নিয়মিত সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে। এই স্কিম আপনাকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। চক্রবৃদ্ধি সুদের ফলে আপনার সঞ্চয় দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

সঞ্চয় করতে করণীয় কি? খুবই ভালো প্রশ্ন করেছেন! সঞ্চয় একটি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মাসিক আয় এবং খরচের একটি বিস্তারিত তালিকা তৈরি করুন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোথায় আপনার অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে এবং কোন খাতে আপনি সঞ্চয় করতে পারেন। আপনি কেন সঞ্চয় করতে চান, সেটি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করুন। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে সঞ্চয় করা সহজ হবে। আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয়ের জন্য আলাদা অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার ব্যবস্থা করুন। এতে আপনাকে প্রতি মাসে সঞ্চয় করার কথা মনে রাখতে হবে না।

বিনোদন, খাবার, কাপড় ইত্যাদির ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমান। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করুন।

নগদ অর্থ ব্যবহার করলে অতিরিক্ত খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র কেনার সময় সস্তা বিকল্প খুঁজুন। যদি সম্ভব হয়, কোনো পার্ট টাইম কাজ করুন বা আপনার দক্ষতা ব্যবহার করে অতিরিক্ত আয় করুন। সঞ্চিত অর্থকে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাড়ানোর চেষ্টা করুন। তবে বিনিয়োগ করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Caption: SBMS

সোনালী ব্যাংক মিলিওনিয়ার স্কিম ২০২৪ । কত টাকা জমা দিলে মেয়াদ শেষে কত টাকা পাওয়া যাবে?

  1. ১৮৪৫৫ টাকায় ১০ লাখ পাওয়া যাবে ৪ বছর শেষে।
  2. ১৪৩২৫ টাকায় ১০ লাখ পাওয়া যাবে ৫ বছর শেষে।
  3. ১১৫৭৫ টাকায় ১০ লাখ পাওয়া যাবে ৬ বছর শেষে।
  4. ৮১৬০ টাকায় ১০ লাখ পাওয়া যাবে ৮ বছর শেষে।
  5. ৬৮৬৫ টাকায় ১০ লাখ পাওয়া যাবে ৯ বছর শেষে।
  6. ৫৯৭০ টাকায় ১০ লাখ পাওয়া যাবে ১০ বছর শেষে।
  7. ৪৫০০ টাকায় ১০ লাখ পাওয়া যাবে ১২ বছর শেষে।
  8. ৩৭০০ টাকায় ১০ লাখ পাওয়া যাবে ১৪ বছর শেষে।
  9. ৩২০০ টাকায় ১০ লাখ পাওয়া যাবে ১৫ বছর শেষে।
  10. ১৯৬০ টাকায় ১০ লাখ পাওয়া যাবে ২০ বছর শেষে।

মেয়াদ শেষে ১০ লাখ টাকাই কি হাতে পাওয়া যাবে?

না। যে পরিমাণ প্রফিট দিবে ব্যাংক সেই প্রফিট বা সুদের উপর ১৫% হারে কর কর্তন করা হবে এবং ৩০০০ টাকা এক্সসাইজ ডিউটি কাটা হবে। যদি রিটার্ন দাখিলের রশিদ থাকে তবে উৎসে কর ১০% কর্তন করা হবে। মোট কথা আপনি মেয়াদ শেষে দশ লক্ষ টাকাই হাতে পাবেন না। প্রয়োজনীয় ট্যাক্স এবং এক্সসাইজ ডিউটি কর্তন শেষে অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করা হবে এবং সেটিই আপনি হাতে পারে। 

ধৈর্য ধরুন: সঞ্চয় একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। তাড়াহুড়ো করে বড় কোনো লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করবেন না।

নিয়মিত সঞ্চয় করুন: প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

সঞ্চিত অর্থকে সুরক্ষিত রাখুন: সঞ্চিত অর্থকে নিরাপদ জায়গায় রাখুন।
     
     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *