সূচীপত্র
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রতিদিনই প্রকাশ করে মূল্য তালিকা – বিগত ৩০ দিনের খুচরা বাজার দর দেখে নিন– আজকের বাজার দর ২০২৫
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বিভিন্ন বাণিজ্য ও ব্যবসায়ের মোকাবিলায় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের একটি শাখা। র্তমানে টিসিবির চেয়ারম্যান হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান, পিএসসি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের খাদ্য ও সংস্থার ঘাটতি মেটাতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের ট্রেডিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৬ সালে ট্রেডিং কর্পোরেশনের কাঠামোর সংস্কার করে এবং এর কর্মীদের সংখ্যা হ্রাস করে। এটি বাংলাদেশে জরুরি অবস্থার সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করে এবং কিছু আইটেম রফতানিও করে।
টিসিবি পণ্যের মূল্য তালিকা ২০২৫ – মোটা চাল ৫৫-৫৮ টাকা। ফাইন রাইস ৬৩ থেকে ৮০ টাকা। আটা ৪০-৬৫ টাকা, রিফাইন সয়াবিন তেল ১৬৭-১৭০ টাকা, পাম অয়ের ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, চিনি-১২৫-১৩০ টাকা, আলু ৭০-৭৫ টাকা, পেয়াজ ৬০-৮০ টাকা, রসুন ২৩০-২৮০ টাকা, হলুদ ৩২০ -৪০০ টাকা, শুকনা মরিচ ২৫০-৩৫০ টাকা, আদা ৪৫০-৫০০ টাকা এবং লবঙ্গ ১৩০০-১৬০০ টাকা কেজি।
টিসিবি’র পন্য মূল কেমন হয়? চলুন উদাহরণ হিসেবে ০৭নং লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের টিসিবি পন্য বিক্রির তারিখ ও দর দেখা যাক। টিসিবির সকল কার্ডধারী আগ্রহী লক্ষীপুর ইউনিয়নসহ আমাদের ০৯ ওয়ার্ডের সকল সদস্যদের বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সর্বমোট টাকা= ৪১০/- (তৈল =২লিটার, মুসর ডাল =২ কেজি, চিনি =১কেজি)।
বিগত ৩০ দিনের খুচরা বাজার দর থেকে আজকের বাজার দর নিচের তালিকায় সর্বশেষ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

Caption: Todays Market Price bd । ঢাকা মহানগরীর পাইকারী ও খুচরা বাজারদর
আজকের বাজার দর ২০২৫ । নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কেজি প্রতি মূল্য তালিকা
পেঁয়াজ ও রসুনের বাজারদর
- পেঁয়াজ (দেশি): খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম গত মাসের (১২.১০.২০২৫ খ্রি.) তুলনায় ৩৭.৫০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এর সর্বনিম্ন খুচরা মূল্য ১০৫.০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১১৫.০০ টাকা প্রতি কেজি। তবে, গত বছরের এই সময়ের (১২.১১.২০২৪ খ্রি.) তুলনায় দাম ২৪.১৪% কম রয়েছে। পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম রয়েছে প্রতি কেজি ৯০.০০ থেকে ১০৪.০০ টাকা।
- রসুন (দেশি): গত মাসের তুলনায় দেশি রসুনের দাম খুচরা বাজারে ৯.৫২% কমেছে। এর খুচরা মূল্য এখন প্রতি কেজি ৮০.০০ থেকে ৯০.০০ টাকা। উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় এর দাম ৬২.০০% কমেছে, যা বাজারদরে একটি বড় পতন। দেশি রসুনের পাইকারি বাজারদর প্রতি কেজি ৪৫.০০ থেকে ৭০.০০ টাকা।
- আদা (আমদানীকৃত): আমদানীকৃত আদার খুচরা মূল্য গত মাসের তুলনায় অপরিবর্তিত থাকলেও, গত বছরের তুলনায় ২২.৭৩% কমেছে।
চাল ও ডালের দামের গতিবিধি
- মসুর ডাল (মোটা): মোটা মসুর ডালের খুচরা মূল্য গত মাসের তুলনায় ৭.১৪% এবং গত বছরের তুলনায় ১০.৫৫% হ্রাস পেয়েছে। এর খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ৯৫.০০ থেকে ১০০.০০ টাকা। পাইকারি বাজারে এই ডালের দাম প্রতি কেজি ৭৮.০০ থেকে ৮৩.০০ টাকা।
- মুগ ডাল: মোটা মুগ ডালের খুচরা মূল্য গত বছরের তুলনায় ২০.৬৯% কমেছে।
- চাল: আমন হাইব্রিড চালের (গুটি স্বর্না) খুচরা মূল্য গত মাসের তুলনায় ৫.২৬% হ্রাস পেলেও, আমন হাইব্রিড চালের (সুগন্ধী – ব্রি ধান৩৪ ইত্যাদি) দাম গত মাসের তুলনায় ৪.৫৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেল ও অন্যান্য পণ্যের চিত্র
- খোলা সয়াবিন তেল: খোলা সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য গত মাস ও গত বছরের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারি বাজারে এর মূল্য প্রতি লিটার ১৬৬.০০ থেকে ১৬৭.০০ টাকা।
- ক্যান সয়াবিন তেল (৫ লিটার): ৫ লিটারের ক্যানজাত সয়াবিন তেলের দাম গত মাসের তুলনায় ০.৫৫% এবং গত বছরের তুলনায় ১৩.১০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
- চিনি: আমদানীকৃত (সাদা-খোলা) চিনির খুচরা মূল্য গত মাস থেকে অপরিবর্তিত থাকলেও, গত বছরের তুলনায় দাম ২০.৫৪% কমেছে।
সবজি ও অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম
- আলু (পুরাতন): পুরাতন আলুর খুচরা মূল্য গত বছরের তুলনায় ৬৭.৩৯% এর বড় পতন দেখিয়েছে।
- বেগুন: বেগুনের খুচরা মূল্য গত মাসের তুলনায় ২০.০০% হ্রাস পেলেও, গত বছরের তুলনায় এটি ৩৩.৩৩% বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
- ডিম (ফার্ম সাদা/লাল): ফার্মের সাদা/লাল ডিমের খুচরা মূল্য গত মাসের তুলনায় ৭.৪২% এবং গত বছরের তুলনায় ১৫.৩৩% হ্রাস পেয়েছে।
- মাংস: গরুর মাংসের খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ৭০০.০০ থেকে ৭৫০.০০ টাকা এবং ছাগলের মাংসের মূল্য প্রতি কেজি ৯৮০.০০ থেকে ১১৫০.০০ টাকা।
বাজারদরের উৎস
এই বাজারদর কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও বাজার, রহমতগঞ্জ ও মৌলভী বাজার, কাপ্তান বাজার, বাড্ডা মাছ বাজার, বাদামতলী বাজার, শ্যাম বাজার ও বাবুবাজার (পাইকারি) এবং কারওয়ান বাজার, মিরপুর -০১ নং বাজার, নিউ মার্কেট, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, মহাখালী বাজার ও মালিবাগ বাজার (খুচরা) থেকে সংগৃহীত।
অনলাইনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বিক্রয় কেন্দ্র?
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বাংলাদেশী অনলাইন মুদি এবং খাদ্য পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। ব্যবহারকারীগণ প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ফল এবং সবজি, মাংস এবং দুগ্ধ, মুদিপণ্য, এবং ব্যক্তিগত যত্ন ও গৃহস্থালি সামগ্রী ক্রয় করতে পারেন। বর্তমানে এটি পুরান ঢাকা এর কিছু অংশ ব্যতীত ঢাকা শহরের সকল এলাকায় সেবা প্রদান করছে। বিপণন ব্যবস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সকল পর্যায়ে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। বিপণন বিবেচনা শুরু হয় উৎপাদন সিদ্ধান্ত এবং উৎপাদন প্রযুক্তি নির্ধারণের আগেই। সুতরাং, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং বর্ধিত উৎপাদন বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিপণনের ভুমিকা অনস্বীকার্য। ১৯৩৪ সালে কৃষি বিপণন উপদেষ্টা বিপণন বিভাগ তৈরি করার জন্য তৎকালীন সরকারের কাছে একটি পরিকল্পনা জমা দেন। সরকার প্রকল্পটি গ্রহণ করে এবং ১৯৩৫ সালে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক বিপণন কর্মী নিয়োগ করে। বিপণনের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা বুঝতে পেরে অবিভক্ত বাংলার সরকার ১৯৪৩ সালে স্থায়ী ভিত্তিতে কৃষি ও শিল্প অধিদপ্তরের অধীনে কৃষি বিপণন বিভাগ গঠন করে। স্বাধীনতার পর ১৯৫৪ সালে, পূর্ব পাকিস্তান সরকার কৃষি, সমবায় এবং ত্রাণ অধিদপ্তরের অধীনে কৃষি বিপণন পরিদপ্তরের অনুমোদন দেয়। ১৯৬০ সালে, প্রাদেশিক পুর্ণগঠন কমিটি কৃষি বিপণন পরিদপ্তরের বিভাগ, জেলা এবং মহুকমা পর্যায়ে লোকবল নিয়োগের অনুমোদন দেয়। ১৯৮২ সালে, বাংলাদেশ সরকার ব্রিগেডিয়ার এনামুল হক খানের নেতৃত্বে গঠিত সাংগঠনিক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে/বিভাগ পুনর্গঠন করে। তখন, কৃষি বিপণন পরিদপ্তরের গুরুত্ব, অবস্থা, এবং কর্মপরিধি বিবেচনা করে এর নাম মর্যাদা উন্নত করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর করা হয়।

মাছের দাম দেওয়া হয় নি,,, কেন,,,?
Now check