সর্বজনীন পেনশন স্কিম

অনলাইনে সর্বজনীন পেনশনের মৃতদাবী ২০২৪ । সমতা স্কিমে ৪২ কোটির অর্ধেক সরকার অনুদান দিয়েছে?

সর্বজনীন পেনশনে এখন ১৩২ কোটি টাকা জমা হয়েছে যা ট্রেজারি বন্ডে সরকার বিনিয়োগ করেছে- ইতোমধ্যে মৃতদাবী অনলাইনে পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে–সর্বজনীন পেনশনের মৃতদাবী অনলাইন ২০২৪

মৃত দাবী অনলাইনে ক্লেইম করা যাবে? হ্যাঁ। –জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জমাদানকৃত অর্থ ফেরত প্রাপ্তির একটি অনলাইন মডিউল চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির নমিনী স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনলাইনে মৃত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা মুনাফাসহ (সর্বশেষ অর্থ বৎসরে প্রদত্ত মুনাফা) ফেরত পাবেন। এছাড়া, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধিত কোন ব্যক্তি সরকারি চাকুরি প্রাপ্ত হলে তিনিও এই ওয়েব মডিউলের মাধ্যমে তার ইতঃপূর্বে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ (সর্বশেষ অর্থ বৎসরে প্রদত্ত মুনাফা) ফেরত নিতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বর্তমানে চালুকৃত ৪টি স্কিমে নিবন্ধনের কোন সুযোগ নেই ।

অনলাইনে কি সর্বজনীন পেনশনের মুনাফা দেখা যায়? হ্যাঁ। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৫৭টি পদ সৃজনের মঞ্জুরির আদেশ সরকার কর্তৃক জারি করা হয়েছে। চাকরি প্রবিধানমালা প্রণয়নের পর জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এই পদসমূহে জনবল নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চাঁদা প্রদানকারীদের কর্পাস হিসাবে ৩০শে জুন ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত জমাকৃত অর্থের উপর মুনাফা প্রদান করা হয়েছে।সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কোনও সাবস্ক্রাইবার তার একাউন্টে প্রবেশ করলে এখন মুনাফার পরিমান দেখতে পাবেন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে (www.npa.gov.bd) আপলোড করা হয়েছে।

সর্বজনীন পেনশনের টাকা সরকার কি করছে? সর্বজনীন পেনশন তহবিলের জমাকৃত টাকা থেকে সর্বশেষ ২৭ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. তারিখ ৭০ লক্ষ টাকা সরকারি ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করা হয়েছে। সরকারি ট্রেজারি বন্ডে এযাবৎ সর্বমোট বিনিয়োগের পরিমান ১৩৭ কোটি টাকা । বাংলাদেশ ও ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের মধ্যে ০৬, ০৯ ও ১২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ০৩টি টি-২০ ম্যাচের ধারাবিবরণী অনুষ্ঠানে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ বিষয়ক ৪০ সেকেন্ড স্থিতির ১টি জিঙ্গেল ১২ বার এবং ১৫ সেকেন্ড স্থিতির ১টি পিএসএ ৬০ বার প্রচার করা হয়।

ইউপেনশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ২০২৪ / সর্বজনীন পেনশনের অর্ন্তভূক্ত হয়ে কেউ মারা গেলে অনলাইনেই মৃত দাবীর আবেদন করা যায় এবং অনলাইনে পরিশোধ হবে

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর পর থেকে বিগত ১৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত মোট ৩,৭২,৩৮৯ জন সমতা, প্রগতি, সুরক্ষা ও প্রবাস এই ৪টি স্কিমে নিবন্ধন করেছেন। সর্বজনীন পেনশনে ৪টি স্কিমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধিত সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা সমতা স্কিমে।

Caption: Detail more pdf here

সর্বজনীন পেনশন ২০২৪ । নারী নাকি পুরুষ বেশি নিবন্ধিত হয়েছে?

  • মহিলা ও পুরুষ ভিত্তিক নিবন্ধনে পুরুষ নিবন্ধনের সংখ্যা ২,১২,২৪৮ এবং মহিলা নিবন্ধনের সংখ্যা ১,৬০,১৩৫।
  • এছাড়া তৃতীয় জেন্ডার নিবন্ধিত হয়েছেন ১ জন।
  • বয়স ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায় সর্বোচ্চ নিবন্ধন করেছেন যাদের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে।
  • এ বয়সের নিবন্ধিত সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা ১,২৬,৪৩৩।
  • দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিবন্ধনকারীর বয়সক্রম ৪১-৫০ বছরের মধ্যে যার সংখ্যা ১,২৪,১৪২।
  • অন্যান্য স্কিমের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নিবন্ধিত হয়েছেন সমতা স্কিমে, এ স্কিমে ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ৯৬,৪৩৭ জন এবং ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৯১,০৬৬ জন নিবন্ধিত হয়েছে।
  • সমতা স্কিমে সর্বোচ্চ পুরুষ নিবন্ধন ১৪৯,৮৮৫ জন ও নারী নিবন্ধন ১৩৫,৯৯৬ জন।

সমতা স্কীমের ৫০% সরকার ভর্তুকি দিয়েছে?

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর পর থেকে বিগত ১৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত মোট ৩,৭২,৩৮৯ জন সমতা, প্রগতি, সুরক্ষা ও প্রবাস এই ৪টি স্কিমে নিবন্ধন করেছেন। সর্বজনীন পেনশনে ৪টি স্কিমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধিত সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা সমতা স্কিমে। এই স্কিমে মোট নিবন্ধিত হয়েছেন ২,৮৫,৮৮২ যা মোট নিবন্ধনের ৭৭ শতাংশ। এই স্কিমটি মূলত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য যাদের বার্ষিক আয় ৬০,০০০ টাকার কম, নিবন্ধনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুরক্ষা স্কিম। এই স্কিমে মোট নিবন্ধিত হয়েছে ৬৩,১৮৪ যা মোট নিবন্ধনের ১৭ শতাংশ। সবচেয়ে কম নিবন্ধন হয়েছে প্রবাস স্কিমে যা মোট নিবন্ধনের মাত্র ০.২৫ শতাংশ। জমাকৃত অর্থের পরিসংখ্যানে দেখা যায় প্রবাস স্কিমে ৯১৩ জন নিবন্ধিত হলেও এই স্কিমে মোট জমার পরিমান ৪,৯১,৪২,০০০ টাকা। সর্বোচ্চ জমা হয়েছে প্রগতি স্কিমে ৪৮,১৩,৩২,৫০০ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সুরক্ষা স্কিম যেখানে জমা হয়েছে ৩৭,৬৪,৯২,০০০ টাকা। সমতা স্কিমে মোট জমা হয়েছে ৪১,৯০,০১০০০ টাকা যার মধ্যে সরকার অনুদান দিয়েছে ৫০ শতাংশ।

বিভাগ ভিত্তিক নিবন্ধনে সর্বোচ্চ নিবন্ধন হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে ২,০৬,৮০১ এবং সর্বনিম্ন হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে 8,8181 অন্যান্য বিভাগসমূহের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রংপুর বিভাগ যেখানে নিবন্ধনের সংখ্যা ৪৫,২১২
এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ নিবন্ধন রাজশাহী বিভাগে ৩১,৮৪৫। ঢাকা বিভাগে সব বিভাগের চেয়ে জনসংখ্যা বেশি হলেও ঢাকা বিভাগে নিবন্ধন হয়েছে ২৮,৬৭৭।  
     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *