সরকারি ছুটি ঈদের জন্য বরাবরই ৩ দিন বরাদ্দ থাকে, যদি এর সাথে সাপ্তাহিক ছুটি ও সাধারণ ছুটি যোগ করা হয় তবে তা বাড়ে – ঈদুল আযহার ছুটি ২০২৩

সাধারণ ছুটি ঈদে? হ্যাঁ। সরকার সড়কে যানজট এড়াতে আগামী ২৭ জুন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ফলে শহর হতে গ্রামে আসা অনেকটা সহজ হবে। এজন্য ধাপ ধাপে ছুটি কার্যকর হবে। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ আজ ২৬ জুন বাড়ি চলে আসবে, আগামী কাল অর্থাৎ সাধারণ ছুটির দিন প্রাইভেট কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বাড়ি ফিরবে। ফলে রাস্তায় যানজট বা ভীড় কিছুটা হলেও এড়ানো যাবে।

চলতি বছর ঈদুল আজহার ছুটি কয় দিন?  ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি ৫ দিন নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ছুটি থাকবে ২৭ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ১ জুলাই ২০২৩ তারিখ (শনিবার) পর্যন্ত এবং রবিবার হতে সরকারি অফিস যথারীতি খোলা থাকবে।

ঈদে সাধারণ ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে? হ্যাঁ। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটি একদিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০ জুন ২০২৩ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সরকার আগামী ২৭ জুন ২০২৩ (মঙ্গলবার) পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলো। তবে জরুরি পরিষেবাসমূহ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ব্যাংক, বিমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ছুটি স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। মোট ছুটি হবে ২৭ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ১ জুলাই ২০২৩ তারিখ (শনিবার) পর্যন্ত (৫ দিন)।

সৌদি আরবে ঈদুল আজহা কবে হবে জানেন কি? ১৮ জুন সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ায় সে দেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও বিভিন্ন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা ২৮ জুন ২০২৩ তারিখ। সাধারণ সৌদি আরবে যে তারিখে ঈদ পালন করা হয়। তবে বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখেও ঈদ উদযাপন এবং কোরবানি করা হয়।

সরকারি ছুটি কি মূলত তিন দিন থাকে? হ্যাঁ। প্রতি ঈদের সরকারি ছুটি ০৩ দিন থাকে

প্রাইভেট কোম্পানি অধিক ছুটি থাকে তবে সরকারি ছুটির সাথে যদি কোন ঈদে সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হয় তবে ছুটির সংখ্যা বেড়ে যায়। চলতি ঈদ শনিবারে ফলে ৫ দিন ছুটি কার্যকর হয়েছে।

ঈদুল আযহার ছুটি ২০২৩ । সরকারি অফিস ঈদের পর কবে খুলবে?

Caption: Calendar of Leave 2023

ভাগে কোরবানির নিয়ম । একটি গরু কত জনের নামে কোরবানি দেওয়া যায়?

  1. নিজের অর্থে কেনা পশুটি আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে জবাই করার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুসলমান মূলত নিজেকে আল্লাহর কাছে সমপর্ণের শিক্ষা নেয়। কোরবানির পশুতে প্রত্যেক অংশীদারের অংশ সমান হতে হবে। কারো অংশ অন্যের অংশ থেকে কম হতে পারবে না। যেমন কারো আধা ভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরিকের কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৭) • উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগেকোরবানি করা জায়েয। (মুসলিম, হাদিস: ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৭)

     

  2. কোনো অংশীদারের নিয়ত গলদ হলে- অংশীদারদের কেউ যদি আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কোরবানি না করে, শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কোরবানি করে; তাহলে তার কোরবানি শুদ্ধ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে অংশীদারদেরও কোরবানি হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অংশীদার নির্বাচন করা জরুরি। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৮, কাজিখান: ৩/৩৪৯)

     

  3. কোরবানির পশুতে আকিকার অংশ- কোরবানির গরু, মহিষ ও উটে আকিকার নিয়তে অংশীদার হতে পারবে। এতে কোরবানি ও আকিকা দুটোই শুদ্ধ হবে। ছেলের জন্য দুই অংশ আর মেয়ের জন্য এক অংশ দিতে হবে। শৈশবে আকিকা করা না হলে বড় হওয়ার পরও আকিকা করা যাবে। যার আকিকা সে নিজে এবং তার মা-বাবাও আকীকারগোশত খেতে পারবে। (ইলাউস সুনান: ১৭/১২৬)। ফাতাওয়া শামীসহ ফিকহ-ফাতাওয়ার কিতাবাদিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কোরবানির সাথে আকীকা সহীহ। (রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬; হাশিয়াতুত তহতাভি আলাদ্দুর: ৪/১১৬)

     

  4. হারাম টাকার কোরবানি শুদ্ধ নয়- কোরবানি করতে হবে সম্পূর্ণ হালাল সম্পদ থেকে। হারাম টাকা দ্বারা কোরবানি করা শুদ্ধ নয় এবং এক্ষেত্রে অন্য অংশীদারদের কোরবানিও শুদ্ধ হবে না। কেউ যদি গরু, মহিষ বা উট একা কোরবানি দেওয়ার নিয়তে কিনে আর সে ধনী হয়, তাহলে তার জন্য এপশুতে অন্যকে অংশীদার করা জায়েয। তবে এতে কাউকে শরিক না করে একা কোরবানি করাই শ্রেয়। শরিক করলে সে টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম।
  5. আর যদি ওই ব্যক্তি এমন গরীব হয়, যার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব নয়, তাহলে যেহেতু কোরবানির নিয়তে পশুটি ক্রয় করার মাধ্যমে লোকটি তার পুরোটাই আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে নিয়েছে, তাই তার জন্য এপশুতে অন্যকে শরিক করা জায়েজ নয়। যদি শরিক করে তবে ওই টাকা সদকা করে দেওয়া জরুরি হবে। কোরবানির পশুতে কাউকে শরিক করতে চাইলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়ত করে নিতে হবে। (কাজিখান: ৩/৩৫০-৩৫১, বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২১০)

ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের পশু কোরবানী করার কারণ কি?

কোরবানি ঈদ ত্যাগের মহিমায় সারা বিশ্বের মুসলমানের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।নবী ইবরাহীম (আ.), তার স্ত্রী হাজেরা ও ছেলে ইসমাঈলের ত্যাগের স্মৃতিবিজড়িত উৎসব ঈদুল আজহা। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মানুষ পশু কোরবানি দেয়। কোরআনে আল্লাহ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল মালের কিছু অংশ এবং আমি যা তোমাদের জন্য জমিন হতে যা বের করেছি তার অংশ ব্যয় করো’ (বাকারাহ ২৬৭)। এ কোরবানি শুধু পশু কোরবানি নয়, নিজের পশুত্ব, নিজের ক্ষুদ্রতা, স্বার্থপরতা, হীনতা, অহংকারকেও কোরবানি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *