পাসপোর্ট তথ্য

বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড । এখন আমি প্রবাসী অ্যাপ থেকে QR কোডযুক্ত BMET কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন

আমি প্রবাসী অ্যাপের সরাসরি এজেন্সি ও বিদেশী কোম্পানীতে আবেদনের ক্ষেত্রে বিএমইটি কার্ড লাগবেই-এটি সংগ্রহে অনেকেই বেগ পেতে হয় – বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড

বিএমইটি কার্ড কি? – বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী BMET অর্থাৎ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মাধ্যমে বিদেশগামী প্রবাসী কর্মীদের বিএমইটি কার্ড প্রদান করে। যা স্মার্ট কার্ড নামেও পরিচিত। অনেকে প্রবাসী এই BMET স্মার্ট কার্ডকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে কিন্তু এই কার্ড ছাড়গা আমি প্রবাসী অ্যাপ হতে বিদেশে চাকরির জন্য আবেদনই করা যাবে না।

One Stop Service এর মাধ্যমে বহির্গমনের ক্ষেত্রে আবেদনকারী কর্তৃক জমাদানকৃত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি যা লাগবে- ক) আবেদনকারীর পূরণকৃত One Stop এর আবেদন ফরম (অফিস হতে সংগ্রহ করবে)। খ) কর্মীর Put-up-List (অফিস হতে সংগ্রহ করবে)। গ) কর্মীর Data Sheet (অফিস হতে সংগ্রহ করবে)।  আবেদনকারীর ছবি (পাসপোর্ট সাইজ) ।  আবেদনকারীর পাসপোর্টের ফটোকপি–২কপি | মূল পাসপোর্ট অবশ্যই সংঘে রাখতে হবে। আবেদনকারীর ভিসার ফটোকপি—২ রুপি। ভিসা সত্যায়নের E-mail (সত্যায়নের ক্ষেত্রে) প্রযোজ্য। Contact Paper—১ কপি।

CANADA এর ক্ষেত্রে Application Copy + cor. Letter) + Application Approval Cop (1295e) )।  সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার Certificate (সত্যায়িত) — ১কপি ।পেশাগত দক্ষতারভিত্তিক সার্টিফিকেট (যদি থাকে)–১ কপি। NID এর ফটোকপি (সত্যায়িত)—১ কপি। ১০। স্মার্টকার্ড এবং বীমা ও কল্যাণ ফি বাবদ ২৫০/- এবং ৩৯৯০/- টাকার পে-অর্ডার (প্রবাসী কল্য ব্যাংক) — ২ কপি (মূল কপি)। ১১। আবেদনকারীর কর্তৃক ৩০০/- টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা (নোটারীকৃত । ১২। আবেদনকারীর অবিভাবক কর্তৃক ৩০০/- টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে অনাপত্তিপত্র (মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)। ১৩ Finger Print এর Success কপি | DEMO Office, Dhaka] অথবা [নিজ জেলা)।অন্যান্য কাগজপত্রাদি (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে)। আয়কর চালান) ৪০০/- (চার শত) টাকা ২ কপি (মূলকপিসহ)। চালান নম্বর সহ সূত্র দেখুন

এখন কি তাহলে ঘরে বসেই বিএমইটি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে? হ্যাঁ। আপনি প্রথমে মোবাইল নম্বর দিয়ে অ্যাপটিতে নিবন্ধন করুন। ব্যক্তিগত তথ্য, পাসপোর্ট, অভিজ্ঞতা ও ভাষা দক্ষতা ইত্যাদি তথ্য ইনপুট দিন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করুন। কর্তৃপক্ষ তথ্যাদি ভেরিফিকেশন করে ৭২ ঘন্টার মধ্যে যাচাই তথ্য দিবে এবং অনুমোদন করবে। তখন আপনি বিএমইটি কার্ডটি ডাউনলোড করতে পারবেন।

সরাসরি অফিসে গিয়ে বা ঘরে বসেই আপনি বিএমইটি আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারে / আপনি অনলাইনে আবেদন করে অনলাইন হতেই বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন

কিউ আর কোড যুক্ত থাকায় এটি প্রিন্ট করে ব্যবহার করা যাবে এবং যে কোন স্মার্টফোন দিয়ে এটির বৈধ্যতা চেক করা যাবে।

বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড । এখন আমি প্রবাসী অ্যাপ থেকে QR কোডযুক্ত BMET কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন

Caption: Ami Probashi – Apps on Google Play

বিএমইটি কার্ড পেতে কি কি কাগজ লাগবে? । প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অবশ্যই সঙ্গে রাখুন

  1. OWP এর পাসপোর্ট এবং ভিসা – ২ কপি
  2.  জাতীয় পরিচয়পত্র – সত্যায়িত এক কপি
  3. শেষ শিক্ষা সনদ – সত্যায়িত এক কপি
  4. কাজের এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট ( অবশ্যিক না)
  5. নিকাহ নামা – ২ কপি
  6. OWP correspondence letter – এক কপি
  7. IMM 1295 – এক কপি
  8. কর্মীর অংগীকারনামা ১ কপি। এবং নারী কর্মীদের জন্য গার্ডিয়ান এর পক্ষ থেকে এক কপি অংগিকার নামা।
  9. SP এর পাসপোর্ট এবং ভিসা – ২ কপি

BMET অফিস হতে কার্ড পেতে বেগ পেতে হয় কি?

হ্যাঁ অবশ্যই চলুন একজনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যাক– খুব সহজ ভাবে ধাপে ধাপে আমার এবং আমার ওয়াইফের BMET কার্ড সংগ্রহের অবনর্নীয় কাহিনি তুলে ধরবো। কি কি যন্ত্রনা পেয়েছি তা বলে পোস্ট দীর্ঘ করবো না, তবে এটা বলতে পারি কেন বাংলাদেশ ছাড়তে চান এইটার উত্তর এর জন্য BMET অফিসে একদিন কাটানোই এনাফ। দুপুর ১ টায় ফিংগার প্রিন্ট এর কাগজ জমা দিয়ে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে ফাইনাল সাইনিং হয়েছিল।

কাকরাইল BMET অফিস- সকাল ৯.১৫ এর মাঝে প্রবাসি কল্যান ব্যাংকের তৃতীয় তলায় উঠে ডানদিকের অফিসে ঢুকে বলবেন One stop service এর ফর্ম দিতে। সেই ফর্মটি নিয়ে পাশের কাকরাইল মার্কেটে যেয়ে কপি করে কপিটি ফিলাপ করবেন আর অন্যটি ফেরত দিবেন। এই সময়ে অংগিকারনামা বানিয়ে নিবেন ওখান থেকেই ১২০০-১৩০০ টাকা নিবে।
ফর্মটি ফিলাপ করে রাস্তার অপরপাশে সোনালি ব্যাংকে ৪০০ টাকার চালান করবেন। চালান কপি পুরন করে ৪ কপি ফটোকপি করে নিবেন। ২ কপি ব্যাংক রেখে দিবে, আপনাকে অরিজিনাল কপি দিবে। আর পেইড চালাবের একটা/ দুইটা বাড়তি কপি রেখে দিবেন পরে কাজে লাগবে। সোনালী ব্যাংক থেকে ফিরে ওয়ানস্টপ ফর্মে এককপি ছবি আঠা দিয়ে লাগাবেন এবং ছবিতে বর্নিত কাগজ এবং উপরের লিস্টের ডকুমেন্টস সহ তিনতলায় প্রবীর দত্ত, সহকারি পরিচালক এর কাছে OWP সহ যাবেন সেখানে OWP এপ্লিকেন্ট এর সাথে কথা বলে উনি সিগ্নেচার করে দিবেন। সেই সিগ্নেচার সহ পাশের রুমে প্রবাসি ব্যাংকের ৩৯৯০+২৫০+কমিশন সহ ৪৩১০ টাকা লাগবে।

ইস্কাটন অফিস- কাকরাইল থেকে চালান করে সোজা চলে যাবেন ইস্কাটনে, যাবার আগে One Stop service এর সাইন্ড কপির একটা ফটোকপি করে নিবেন। এবং ইস্কাটন অফিসের ৩ তলার প্রবাসী কল্যান ব্যাংকের ২২০ টাকার চালান কেটে নিচে চলে যাবেন। একদম ডানে গলি দিয়ে ফিংগারপ্রিন্ট নেবার অফিস, গেটে বললেই হবে ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিবেন। ভিতরে ঢুকেই ফর্ম নিয়ে ফিলাপ করে গেটের সোজা টেবিলে বসা এক ভদ্রমহিলা বসেন উনাকে দিবেন, ফর্মের সাথে দিবেন One Stop service এর প্রথম পেইজের কপি, চালান কপি। সেখান থেকে উনি আপনাকে পাঠাবে ডানদিকের কাউন্টারে ছবি এবং ফিংগারপ্রিন্টের জন্য। এখান থেকে আপনাকে একটা রিসিট দিবে সেটা নিয়ে আবার আসবেন কাকরাইন প্রবাসী কল্যান ব্যাংকে।

কাকরাইল অফিস- সোজা তিনতলায় এসে যে মহিলার কাছ থেকে ফর্ম নিয়েছিলেন তার কাছে সব কিছু জমা দিবেন। এবার শুরু আসল খেলা। আমরা দুপুর ১ টায় কাগজ জমা দিয়ে বসে ছিলাম, উনারা এজেন্সির কাজে এতো বিজি আমাদের কাগজ ধরার টাইম উনাদের হয় না। আমার ওয়াইফ সারাটা ক্ষন দাঁড়িয়ে কাউন্টারের ভদ্রমিহলার কাছে বার বার অনুনয় করেও লাভ হচ্ছিল না। সন্ধ্যা ৬.৩০ এ অনেক হম্বিতম্বির পরে আমাদের কার্ডের কাজ শেষ হয়েছে।

সূত্র দেখুন

দালাল ছাড়া প্রবাসে যাওয়ার নিয়ম ২০২৩ । সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করা যায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *