সূচীপত্র
প্রতিটি উপজেলায় সমাজসেবা অধিদপ্তর হতে সরকারি এ ঋণ নেয়া যায় – সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋন প্রদান করা হয় – পল্লী মাতৃকেন্দ্র সুদমুক্ত ঋণ ২০২৩
কত টাকা ঋণ নেয়া যায়? – বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলার ৪৯২ টি উপজেলায় এ কর্মসূচি চালু রয়েছে। পল্লী মাতৃকেন্দ্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামের দরিদ্র নারীদের ছোট পরিবার গঠনের উপকারিতা, বয়স্ক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, মা ও শিশুযত্ন সম্পর্কে অবহিত এবং উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান, সঞ্চয় সৃষ্টি ও অর্থকরী লাভজনক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা। এ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক সদস্যকে ১০০০০ টাকা থেকে ৩০০০০ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়। ১০% সার্ভিস চার্জসহ সমান ১০টি কিস্তিতে সর্বোচ্চ ১ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধযোগ্য। গর্ভবতী ভাতা ২০২৩ । মাতৃত্বকালীন ভাতার (২০২২-২০২৩) আবেদন করতে ইউপিতে খোঁজ নিন
সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক পরিচালিত পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম এর আওতায় ‘পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম আবর্তক ক্ষুদ্রঋণ’ (কোড নং ১২০০১৩৩০১) এর অনুকূলে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেটে বরাদ্দকৃত ২৫.০০ কোটি (পঁচিশ কোটি) টাকা হতে ১ম ও ২য় কিস্তি বাবদ কোড নং ৩৬৩১১৯৯- ‘অন্যান্য অনুদান’ খাতে ১১,৯৭,০০,০০০/- (এগার কোটি সাতানব্বই লক্ষ) টাকার চেক নং ২১ স ৬৭৮৪২১২ তারিখ ২৭/১২/২০২২ এবং কোড নং ৩২৫৫১০৫ ‘অন্যান্য মনিহারি’ খাতে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার চেক নং ২১ স ৬৭৮৪২১১ তারিখ ২৭/১২/২০২২ মোট ১১,৯৯,৫০,০০০/- (এগার কোটি নিরানব্বই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার চেক দুটি বিগত ২৮/১২/২০২২ তারিখ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, স্থানীয় কার্যালয়, মতিঝিল ঢাকায় ‘পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম আবর্তক ক্ষুদ্রঋণ’ শিরোনামে পরিচালিত চলতি হিসাব নম্বর সিডি-০০০২৬০২০০৫৩২৫ এ জমা করা হয়েছে। হিজড়া ভাতা ২০২৩ । দুঃস্থ ও অসচ্ছল হিজড়া ব্যক্তিকে মাসিক ৬০০ টাকা
সুদমুক্ত এ সরকারি ঋণ কেন দেয়া হয়? দরিদ্র নারীদের সংগঠিত করে উন্নয়নের মূল স্রো্তধারায় নিয়ে আসা। দারিদ্র বিমোচন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন সাধন করা। পরিকল্পিত পরিবার তৈরীতে সহায়তা প্রদান করা। জাতীয় জনসংখ্যা কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদান করা হয়। সচেতনতামূলক উদ্বুদ্ধকরণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এ ঋণ প্রদান করা হয়। লক্ষ্যভুক্ত নারীদের সংগঠনের নিজস্ব পুঁজি গঠন করার জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়।
পল্লী মাতৃকেন্দ্র / প্রতিটি উপজেলায় কি এমন ঋণ দেয়া হয়?
জি। প্রতিটি উপজেলায় সমাজসেবা অধিদফতরের আওতায় এমন ঋণ প্রদান করা হয়। এছাড়া দরিদ্রদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদান করা হয়। ১ম বার ঋণ প্রদান: গ্রাম/ মহল্লা নির্বাচনের পর ১ মাস। পুনঃবিনিয়োগ: আবেদনের পর ২০ দিন।
মাসিক কিস্তি যেভাবে নেয় হয় । ঋণ পরিশোধ পদ্ধতি কি?
- সুবিধাভোগী কর্তৃক ঋণ প্রাপ্তির ২ মাস পর হতে সমান ১০ কিস্তিতে অথবা স্কীম ভেদে ১, ২ বা ৩ কিস্তিতে ঋণের অর্থ শতকরা ১০ ভাগ সার্ভিসচার্জসহ ফেরত দিতে হয়।
- দলীয় সদস্য কর্তৃক নিয়মিত নির্ধারিত হারে সঞ্চয় করতে হয়।
- কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের যে সকল বিষয়ে সচেতন করা হয় তা মেনে চলতে হয়।
- কোন সুবিধাভোগী প্রাপ্ত ঋণের অর্থ নিয়মমত পরিশোধ না করলে তা আদায়ে কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে হয়।
- সঠিক গ্রাম/মহল্লা ও উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনে কর্তৃপক্ষকে তথ্য সরবরাহ ও সহযোগিতা করতে হয়।
- ঋণ প্রদানে কোন অসচ্ছতা পরিলক্ষিত হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত কর করতে হয়।
ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা কি?
প্রথমত বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক নির্বাচিত গ্রামের বাসিন্দা হতে হবে। পল্লী মাতৃকেন্দ্রের কর্মদলের দলীয় সদস্য হতে হবে। পারিবারিক গড় আয় ০ হতে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত, ‘ক’ শ্রেণি (দরিদ্রতম) হতে হবে। পারিবারিক গড় আয় ৫০০০১ টাকা হতে ৬০০০০ টাকা পর্যন্ত ‘খ’ শ্রেণি (দরিদ্র) হতে হবে। পারিবারিক গড় আয় ৬০০০১ টাকার ঊর্ধ্বে (ধনী/দারিদ্র্য সীমার উপরে ) ‘গ’ শ্রেণি হতে হবে। সমাজসেবা অধিদফতরের ঋণ নীতিমালা অনুসারে এ ঋণ প্রদান করা হয়। সুদমুক্ত হলেও পরিশোধের সময় ১০% সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করতে হয়।