সূচীপত্র
দেশের প্রতিটি জেলা হতে ১টি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে বাছাই করে বীমার আওতায় আনতে হবে – বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা ২০২৩
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা কি চালু হয়েছে? – বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা হল একটি বীমা পদ্ধতি যা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্ভাবিত হয়েছে। এই বীমা পদ্ধতি দ্বারা শিক্ষার্থীদের পরিবার উপস্থিতির অভাবে উন্নয়নশীল এবং সুস্থ শিক্ষামূলক জীবন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে একটি সুবিধা প্রদান করা হয়। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা বাংলাদেশে মোট ৮টি শিক্ষামূলক স্কুলে প্রদত্ত হয়। এই স্কুলগুলির মধ্যে অধিকাংশই সরকারী স্কুল এবং কয়েকটি বেসরকারি স্কুল রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পদ্ধতিতে অর্থ দানকারী কোম্পানি এই স্কুলগুলির মাঝে বীমা পরিচালনা করে এবং বিদ্যার্থীদের পরিবার উপস্থিতির অভাব কভার করে।
শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতা আইনগত অভিভাবকদের অকাল মৃত্যুতে শিক্ষাজীবন যাতে ব্যহত না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রেখে সরকার গত ০২ মার্চ ২০২১, জাতীয় বীমা দিবসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পরিকল্পের উদ্বোধন করেন। ইতোমধ্যে ২০২১-২২ অর্থ বছরে পাইলটিং ভিত্তিতে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে এ পরিকল্পের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও জীবন বীমা কর্পোরেশনের সাথে সম্পাদিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে নতুন করে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’র আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী নতুন ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’র আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রতিটি জেলা হতে ১টি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (দাখিল পর্যন্ত) বাছাই করে বাছাইকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর তথ্যাদি প্রয়োজন।
২০২২-২৩ অর্থবছরের নতুন করে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পরিকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলা হতে ১টি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দাখিল পর্যায়ের মাদ্রাসা (প্রথম থেকে দশম শ্রেণীর মাদ্রাসা অগ্রাধিকারযোগ্য) বাছাই করে বাছাইকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (ছেলে এবং মেয়ে কো-এডুকেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) মোট শিক্ষার্থীর তথ্য (সংযুক্ত ছক মোতাবেক) হার্ডকপি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বরাবর এবং সফট কপি ই-মেইলে (ds. [email protected]) প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা ২০২৩ / দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী ক্রমান্বয়ে বীমার আওতায় আসবে
প্রতি জেলা হতে সরকারি বিদ্যালয়গুলো নিয়ে এই পাইলট প্রকল্পকে বিস্তর করা হবে।
শিক্ষা বীমা পরিকল্প এর সুবিধা সমূহ ২০২৩ । কত টাকা করে মাসিক শিক্ষা বীমা পাওয়া যাবে?
- মৃত্যু (Death) জনিত সুবিধা: মৃত্যু হলে মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করবে।
- দূর্ঘটনা জনিত সম্পূর্ণ এবং স্থায়ী ক্ষতি জণিত সুবিধা:
- উভয় চক্ষুর দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হলে-মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করবে।
- কব্জির উপর থেকে উভয় হাত কাটা /খোয়া গেলে (Loss) হলে মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করবে।
- গোড়ালির উপর থেকে উভয় পা কাটা/খোয়া গেলে (Loss) হলে মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করবে।
- কব্জির উপর এক হাত এবং গোড়ালির উপর থেকে এক পা কাটা/খোয়া গেলে (Loss) হলে মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করবে।
- এক চক্ষু এবং কব্জির উপর থেকে এক হাত নষ্ট /কাটা/খোয়া গেলে (Loss) হলে মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করবে।
- এক চক্ষু এবং গোড়ালীর উপর থেকে এক পা নষ্ট /কাটা /খোয়া গেলে (Loss) হলে মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করবে।
শিক্ষা বীমা আসলে কি?
শিক্ষা বীমা হল একটি বীমা পদ্ধতি যা শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নয়নশীল এবং সুস্থ শিক্ষামূলক জীবন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে একটি সুবিধা প্রদান করে। এটি একটি বীমা পদ্ধতি যা শিক্ষার্থীদের পরিবার উপস্থিতির অভাব কভার করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরিবার সদস্যরা যদি অসুস্থ হন বা অকারণে মৃত হন, তবে শিক্ষার্থীদের পরিবারের কোন কোন খরচ যেমন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা খরচ, খাবার খরচ, পোশাক খরচ ইত্যাদি বীমা কোম্পানি দায়বদ্ধ হয়। এই পদ্ধতি মূলত উন্নয়নশীল দেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়। কারণ অনেক উন্নয়নশীল দেশে শিক্ষার্থীদের পরিবার সদস্যরা একটি অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসার খরচ উত্তোলিত হয়ে পরিবারের অন্যান্য খরচে অসমর্থ হতে পারেন। শিক্ষাবীমা মূলত শিক্ষার্থীর শিক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করে।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা ২০২৩ । অভিভাবক আহত বা মৃত্যুতে মাসিক ৫০০ টাকা শিক্ষা বৃত্তি সুবিধা থাকছে