আজকাল শহরের ক্রমবর্ধমান ট্র্যাফিক এবং জ্বালানির দামের সাথে বাইকের মাইলেজ বজায় রাখা কঠিন হয়ে উঠেছে। অনেক বাইকার দাবি করেছেন যে তারা সনামধন্য বাইক কোম্পানির মালিক হয়েও তারা ভাল মাইলেজ পাচ্ছেন না এবং তাদের খরচ দিনদিন বেড়েই যাচ্ছে। আপনি যদি বাইকের ভাল মাইলেজ পেতে চান তবে নিচের দশটি প্রমাণিত টিপস আপনার জন্যই।
সূচীপত্র
১। আপনার বাইকের নিয়মিত সার্ভিস করান
আপনার বাইক নিয়মিত সার্ভিস করান। কতদিন পর পর সার্ভিস করাতে হবে তা বাইক ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। এজন্য আপনি আপনার বাইকের ম্যানুয়াল দেখে নিতে পারেন। নিয়মিত বিরতির সার্ভিসিং আপনার বাইকের মাইলেজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সার্ভিসিং কেবল ইঞ্জিনের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে না তবে আপনার গাড়ির আয়ুও বাড়িয়ে তোলে। ফলস্বরূপ, ইঞ্জিনের সুস্বাস্থ্যে বজায় থাকে এবং মাইলেজ সর্বদা বেশি থাকবে।
কোন কারেনে সার্ভিস করাতে দেরি হলে ইঞ্জিন তেল সর্বদা পরীক্ষা করে দেখুন তা যথাযথ আছে কিনা। Bajaj bike part price bd । ডিসকভার সহ বাজাজ বাইকের পার্টসের দাম ২০২৩
২। কার্বুরেটর সেটিং
নিয়মিত সার্ভিস করার পরেও যদি আপনি দেখেন যে মাইলেজের উন্নতি হচ্ছে না,তবে আপনার বাইকের কার্বুরেটর সেটিংস পরীক্ষা করা দরকার। আধুনিক পদ্ধতিতে এবং ম্যানুয়ালি কার্বুরেটরের পুনরায় টিউন করা যায় যা নাটকীয়ভাবে ইঞ্জিনের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। ফলস্বরূপ,বাইকের মাইলেজটিও বৃদ্ধি পায়।
৩। সঠিক টায়ার প্রেশার বজায় রাখুন
টায়ার প্রেশার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চাকার সঠিক হাওয়ার প্রেশার ভাল মাইলেজ পেতে পারেন।
টায়ার প্রেশার কম হলে রাস্তার সাথে চাকার ঘর্ষণ বেশি হয় তাই মাইলেজ কম পাবেন। বাইক ভেদে টায়ার প্রেশার ভিন্ন হয়ে থাকে। বিকমেন্ডেড টায়ার প্রেশার জানার জন্য আপনার বাইেকর ইউজার ম্যানুয়্যাল দেখুন।
৪। ভাল মানের জ্বালানী ব্যবহার করুন
দুষিত জ্বালানী আপনার বাইকের মাইলেজ কে কমিয়ে দেয়। ভাল মাইলেজ সর্বোপরি ইঞ্জিন ভাল রাখার জন্য ভাল মানের জ্বালানী তেল ব্যবহার করুন। একই সাথে বাইকের ম্যানুফেকচার এর বিকমেন্ডমন অনুযায়ী পেট্রোল/ অকটেন ব্যবহার করুন। কখনোই পেট্রোল/ অকটেন এর মিশ্রণ করে ব্যবহার করবেন না।
৫। দ্রুত গতি উঠাবেন না
দ্রুত এক্সিলারেট এবং দ্রুত গতি কমানো দুটোই অতিরিক্ত জ্বালানী খরচ হওয়ার অন্যতম কারণ। থ্রোটল এ সব সময় আপনার সফট হ্যান্ড রাখুন, দ্রুত পিকআপ দিবেন না এবং কম গিয়ারে বেশি আরপিএম এ বাইক রাইড করবেন না। সঠিক গিয়ার পরিবর্তন এবং কম আরপিএম ভাল মাইলেজ পেতে সাহায্য করবে।
৬। রাইড ইন ইকোনমি মুড
বেশিরভাগ মোটরবাইক কোম্পানি ৫০-৬০ কিলোমিটার গতিতে বাইক রাইড করা রিকমেন্ড করে। এবং আপনি এভাবে চালালেই সর্বোচ্চ মাইলেজ পাবেন সেই সাথে আপনার নিজের নিরাপত্তা ও বজায় থাকবে। ইদানিং অনেক বাইকে ইকো মুডে রাইড করছেন কিনা তা বুঝার জন্য লাইট/ সিগনাল সংযুক্ত থাকে।
৭। ইঞ্জিন কিল সুইচ ব্যবহার করুন
সব ট্রাফিক সিগনালই ১/২ মিনিট এর বেশি হয়ে থাকে। তাই যখন আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বাইক অন্তত ৩০ সেকেন্ড এর বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইঞ্জিন কিল সুইচ ব্যবহার করুন। এটা আপনার ফুয়েল সেভ করার পাশাপাশি আপনার বাইকের সুস্থ্যতা নিশ্চিত করবে।
৮। রোদে আপনার বাইক পার্ক করবেন না
সূর্যের আলো জ্বালানীর বাষ্পীভবন ঘটায় এবং মাইলেজ হ্রাস করে। যদি দীর্ঘক্ষনের জন্য আপনার বাইক কে পার্ক করে রাখতে হয় তবে তা কোন ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখুন।
৯। বাইক সেই সাথে চেইনের যত্ন নিন, পরিস্কার রাখুন এবং লুব করুন
সাধারণত উচ্চ সিসির বাইকে চেইন কভার থাকেনা। বাংলাদেশে দেখা যায় ১৫০ বা ১৬৫ সিসির বাইকে চেইন কভার নেই। চেইন কভার না থাকার কারনে যে সকল সুবিধা পাওয়া যায় তা হল চেইন ছিঁড়ে গেলে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং প্রয়োজন মত চেইন লুব করা যায় যা বাইকের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করে। আর চেইন কভার না থাকার অসুবিধা হল চেইন দ্রুত ময়লা হয়ে যায়। ভাল মাইলেজ পেতে আপনার চেইন এর যত্ন নিন।
কিভাবে চেইন এর যত্ন নিবেন তা এখানে দেখে নিতে পারেন
১০। জেনুইন পার্টস ব্যবহার করুন
বাইকের আসল উপাদানগুলিতে পরিবর্তন আনার ফলে কম মাইলেজ পাওয়া যায়। যেমন অতিরিক্ত-প্রশস্ত টায়ার আপনার মাইলেজ কমিয়ে দিবে।
Bajaj Discover 125 Service manual Bangla pdf । ডিসকভার সার্ভিস ম্যানুয়াল বুক ২০২৩
Pingback: নতুন বাইক রেজিস্ট্রেশনে নিয়ম ২০২৪ । ক্রেতার ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কি? - Technic