সূচীপত্র
অনলাইনে নাম মোবাইল নম্বর বা ইমেইল এড্রেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে লগিন করতে হয়- লগিন করে তথ্য এন্ট্রি করলেই ধাপে ধাপে কাজ সম্পন্ন করে নিজের দলিল নিজেই রেডি করতে পারবেন – অটো দলিল লেখার নিয়ম ২০২৪
জমির দলিল রেডি করতে কি কি তথ্য লাগে? – একটি হস্তান্তর দলিল তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদির মধ্যে বিক্রেতার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, ধর্ম, পেশা, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ঠিকানা লাগে। ক্রেতার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, ধর্ম, পেশা, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ঠিকানা লাগে। জমি বা সম্পদ হস্তান্তরাধীন সম্পত্তির নূন্যপক্ষে ২৫ বছরের মালিকানার ধারাবাহিক বিবরণ লাগে। জমি বা সম্পদ হস্তান্তরাধীন সম্পত্তির বিস্তারিত তফসিল (মৌজা, খতিয়ান, দাগ নম্বর, শ্রেনি, দাগে জমির পরিমাণ, প্রাপ্য জমির পরিমাণ, হস্তান্তরিত জমির পরিমাণ ও মূল্য) তথ্য লাগে। হস্তান্তরাধীন সম্পত্তির চৌহদ্দি বিবরণ ও মালিকানার হারাহারি বিবরণ দিতে হয়। কমপক্ষে ২ জন স্বাক্ষী ও ১ জন সনাক্তকারীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ও ঠিকানা প্রয়োজন পড়ে।
সাফ কবলা দলিল বা স্বত্বত্যাগ করে বিক্রয় দলিল কিভাবে করে? যেখানে দাঁতা সম্পূর্ণরূপে স্বত্বত্যাগ করে ঘোষণা করে যে, আমি/আমরা দলিলে হস্তান্তরাধীন জমির নিরঙ্কুশ মালিক। অন্য পক্ষের সহিত বায়না চুক্তি স্বাক্ষর করি নাই বা অন্য কোথাও বিক্রয় করি নাই বা অন্য কোন পক্ষের নিকট বন্ধক রাখা হয় নাই। এই সম্পত্তি সরকারি খাস/অর্পিত বা পরিত্যক্ত সম্পত্তি নয় বা অন্য কোনভাবে সরকারের উপর বর্তায় নাই। দলিলে বর্ণিত কোন তথ্য ভুলভাবে লিপিবদ্ধ হইয়া থাকিলে তজ্জন্য আমি/আমরা দায়ী হইব এবং আমি/আমাদের বিরূদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করা যাইবে। হস্তান্তরিত জমি সম্পর্কে কোন ভুল, অসত্য বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করিয়া থাকিলে প্রয়োজনে নিজ খরচায় ভুল শুদ্ধ করিয়া ক্ষতিপূরণসহ নতুন দলিল প্রস্তুত ও রেজিস্ট্রি করিয়া দিতে বাধ্য থাকিব। সাফ-কবলা নমুনা Word File । PDF File
জমির দলিল কি সংশোধন করা যায়? জমি রেজিষ্ট্রির পর দলিলে দাগ, খতিয়ান, মৌজা, চৌহদ্দি বা নামের বানানে কোনো প্রকার ভুল ধরা পড়লে সহজেই সংশোধন করা যায়। শুধু জমির দলিলে নয়। যেকোনো কারণে নাম পরিবর্তন বা নামের সংশোধন করার প্রয়োজন হতে পারে। কিংবা আপনি চাইছেন আপনি যে নামে কাগজে-কলমে এত দিন পরিচিত হয়ে আসছেন, ওই নামে আর পরিচিত হবেন না। নামটি পরিবর্তন করবেন। এ জন্য আপনার সব সনদপত্র, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম পরিবর্তন করতে চান। আর এই কাজে সবচেয়ে জরুরি ও বাধ্যতামূলক হচ্ছে হলফনামা সম্পাদন করা।
অনলাইনে দলিল প্রস্তুত করার নিয়ম / তথ্য ইনপুট দিলে অটো দলিল রেডি হবে?
দলিল লিখন এখন কোন ব্যাপারই না। দলিলের ধারাবাহিক বিবরণ ও বিষয় নির্ধারিত থাকে। বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ২২ক (৩) এর অধীন দলিল ফরম বা দলিল লেখার নমুনা তৈরি করেছে। নমুনা ফরমের কোন অংশ অপূর্ণ রাখা যাবে না বা কোন অংশ বাদ দেয়া বা নতুন কোন বিষয় সংযোজন করা যাবে না।
অফিসের তথ্য> গ্রহীতা> দাতা>প্রতিনিধি> অতিরিক্ত তথ্য> মালিকানার তথ্য> সম্পত্তির তফসিল> চৌহদ্দি> হারাহারি বিবরণ> প্রদত্ত অর্থ> সাক্ষী ও সনাক্তকারী> মুসাবিদাকারী> ফিসাদি
Caption: New Dolil Click Here
জমি হস্তান্তর দলিল রেজিস্ট্রেশনের ধাপ সমূহ । কিভাবে কি করতে হয়?
- ধাপ ১: হস্তান্তরিত জমি/ফ্ল্যাটের মালিকানার কাগজপত্র সংগ্রহ করবেন।
- ধাপ ২: Dolil.com ওয়েবসাইটে ১২টি ধাপে ফর্ম পূরণ করবেন।
- ধাপ ৩: Dolil.com ওয়েবসাইট থেকে PDF ডাউনলোড করে স্ট্যাম্পে প্রিন্ট করা যাবে।
- ধাপ ৪: পে-অর্ডারের মাধ্যমে ব্যাংকে ফিস প্রদান করতে হবে।
- ধাপ ৫: সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল উপস্থাপনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রশন সম্পন্ন করতে হয়।
- ধাপ ৬: রশিদ প্রদর্শনপূর্বক মূল দলিল সংগ্রহ করবেন।
দলিলে কয়টি অংশ থাকে?
দলিল হচ্ছে জমি জমার প্রাণ। তাই যিনি জমি কিনছেন দলিলটি তার নিকট বোধগম্য হতে হবে। দলিলে কোন ভুল থেকে গেলে তার দায় বহন করতে হয় জমি ক্রেতাকে। তাই যার হাতের লেখা সুন্দর তাকে দিয়ে বা কম্পিউটারে টাইপ করে দলিল লেখা উচিত। জমির ক্রেতা ও নবীন দলিল লেখকদের দলিল লেখার সুবিধার্থে অনলাইন ফর্ম তৈরি করা হয়েছে। মডেল দলিলে দলিলের কোন অংশ যাতে বাদ না পড়ে সেজন্য দলিলকে ৯টি অংশে ভাগ করে ৯টি শিরোনাম দিয়ে লেখা হয়। বাস্তবে দলিল লেখার সময় এ শিরোনামগুলো ব্যবহার করা যেতেও পারে, ব্যবহার না করলেও চলবে। অনলাইন হওয়াতে এটি বাধ্যতামূল। তবে ৯টি অংশের কোনটিও যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
https://reportbd.net/dolil-form-2022-%E0%A5%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE/