সূচীপত্র
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত কলেজ কর্তৃক শিক্ষকগণকে বাড়ী ভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা প্রভৃতি সুবিধাদি কলেজের তহবিল হইতে প্রদান করিতে হইবে – জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চাকুরী রেগুলেশন ২০২২
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বিধিমালা প্রকাশিত ২০২৩ –১৫/১২/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৯৬তম সভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯/১২/2022 তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৩৭তম সভায় অনুমোদিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত আইন কলেজসমূহের শিক্ষক/কর্মকর্তা- কর্মচারীদের নিয়োগের নীতিমালা সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত আইন কলেজ শিক্ষক/কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরীর শর্তাবলী রেগুলেশন ২০২২ (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ এর ৪৭ ধারা এবং আইনের তফসিলের ২নং সংবিধি অনুযায়ী প্রণীত রেগুলেশন) ভূমিকা (Preamble)
যেহেতু আইন শিক্ষার বিষয়টির বিশেষ চাহিদা রয়েছে; এবং যেহেতু উক্ত কলেজসমূহ বা তাহার সহিত জড়িত শিক্ষক/কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সরকারী কোন বেতন/ভাতা ভোগী নন; এবং যেহেতু বিদ্যমান বেসরকারী কলেজ শিক্ষকদের চাকুরির শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধিত) ২০১৯-এ পৃথকভাবে আইন কলেজের শিক্ষকদের চাকুরির শর্তাবলী বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন নির্দেশনা নাই;
এবং যেহেতু উপরোক্ত বিষয়ে একটি পৃথক ও সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণীত হইলে তাহা আইন শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সহায়ক হইবে।
সহযোগী অধ্যাপক ও অন্যান্য পদে পদোন্নতির নিয়ম কি? আইনে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী এবং আইনজীবী বা বিচার বিভাগীয় বা আইন সংশ্লিষ্ট পদে ০৭ বছরের পেশাগত ও আইন কলেজে ০৭ বছরের পাঠদানের অভিজ্ঞতা। উচ্চতর ডিগ্রীধারীদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার থাকিবে। সহকারী অধ্যাপক পদ হইতে সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য ০৭ (সাত) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকিতে হইবে। আইনে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী এবং আইনজীবী বা বিচার বিভাগীয় বা আইন সংশ্লিষ্ট পদে ০৫ বছরের পেশাগত ও আইন কলেজে ০৫ বছরের পাঠদানের অভিজ্ঞতা। উচ্চতর ডিগ্রীধারীদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার থাকিবে।
প্রভাষক পদ হইতে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য ০৫ (পাঁচ) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকিতে হইবে। আইনে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী এবং আইনজীবী বা বিচার বিভাগীয় বা আইন সংশ্লিষ্ট পদে ০৩ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা। যে কোন বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারীসহ গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা। কর্মকর্তা নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী গভর্নিং বডি কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ‘আইন কলেজ শিক্ষক/কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরীর শর্তাবলী রেগুলেশন ২০২২’ নামে অভিহিত হইবে।
কোন শিক্ষক স্বাস্থ্যগত কারণে শিক্ষকতার কার্যে অপারগ হইলে অথবা আর্থিক কারণে গভর্নিং বডি কোন শিক্ষককে কার্যে নিয়োজিত রাখিতে অসমর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া যাইবে। পেশাগত অসদাচরণ অথবা নৈতিকস্খলনের জন্য গভর্নিং বডি একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে তাহাকে চাকুরী হতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন।
Caption: Full PDF Download
শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য কি দেখুন
- কলেজের শিক্ষকগণ সকল সময়ে সততা ও কর্তব্যপরায়ণতার সহিত দায়িত্ব পালন করিবেন এবং পদ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে কঠোর ন্যায়পরায়ণ ও নিরপেক্ষ হইবেন;
- কলেজের স্বার্থের পরিপন্থী কোন কার্যকলাপের সহিত কোন কলেজ শিক্ষক নিজেকে জড়িত করিবেন না;
- রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী/রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজে কোন শিক্ষক নিজেকে জড়িত করিবেন না :
- একজন শিক্ষক নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব পালন করিবেনঃ শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী অনুযায়ী ক্লাস গ্রহণ ও মূল্যায়ন; আলোচনা, সেমিনার ও মুট কোর্ট ট্রায়াল ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষাদান; শিক্ষার্থীদেরকে নির্দেশনা ও পরামর্শ দান; পাঠ্যক্রম সম্পর্কিত কর্মকান্ডে কলেজ কর্তৃপক্ষকে সহায়তা দান; শিক্ষার্থী এবং কলেজের স্বার্থে অধ্যক্ষ অথবা গভর্নিং বডি কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন; সাধারণভাবে জনসাধারণ ভোগ করিয়া থাকে এমন সব নাগরিক অধিকার চর্চার এবং সরকারি বা নির্বাচিত পদের জন্য যোগ্য বিবেচিত হইবার স্বাধীনতা শিক্ষকদের থাকিবে। সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অবসর গ্রহণ ও চাকুরীর মেয়াদ কত বছর?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোন আইন কলেজের কোন শিক্ষকের বয়স যেদিন ৬৫(পয়ষট্টি) বৎসর পূর্ণ হইবে সেই দিন তিনি শিক্ষকতা হইতে অবসর গ্রহণ করিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, একজন শিক্ষকের বয়স ৬৫(পঁয়ষট্টি) বৎসর অতিক্রম করিলেও গভর্নিং বডি কলেজের পাঠদানের স্বার্থে তাঁহাকে নিম্নবর্ণিত শর্তাধীনে তাঁহার কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে পারিবেন।
এইরূপ শিক্ষক রেজিস্টার্ড চিকিৎসক এর নিকট হইতে তাহার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে সন্তোষজনক প্রত্যয়ন পত্র গভর্নিং বডির নিকট দাখিল করিবেন। গভর্নিং বডি চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়া অনুমোদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করিবেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত হইলে মেয়াদ বৃদ্ধি পত্র জারি করা যাইবে। এক সঙ্গে ২ (দুই) বৎসরের বেশি সময়ের জন্য চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাইবে না । এইরূপ শিক্ষক রেজিস্টার্ড চিকিৎসক-এর নিকট হইতে তাঁহার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে সন্তোষজনক প্রত্যয়নপত্র দাখিল করিবেন। অধ্যক্ষদের ক্ষেত্রে অবসর গ্রহণের বয়স হইবে ৬৭ বছর।