জাতীয় সংসদে প্রতি মিনিটের ব্যয় – জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ৩০ মিনিট কোরাম সংকটের কারণে অপচয় হয়েছে। এর প্রতি মিনিটে গড় অর্থমূল্য ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৬ টাকা। এই হিসাবে গত বছর কোরাম সংকটের সময়ের অর্থমূল্য ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৮ টাকা। আর দৈনিক কার্যদিবস হিসেবে কোরাম সংকটে ব্যয়িত ৪৯ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ টাকা।

২৭ শ্রাবণ ১৪২৯/১১ আগস্ট ২০২২ নম্বর ১১.০০.০০০০.৮৬২.০৯.০০৪.২২.১৮১ -গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নিম্নলিখিত আদেশটি সাধারণ অবগতির জন্য প্রকাশ করা হইল :  “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আমি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, মােঃ আবদুল হামিদ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ১৩ ভাদ্র মােতাবেক ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ আগস্ট রােজ রবিবার বিকাল ৫:০০ ঘটিকায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের উনিশতম (২০২২ খ্রিস্টাব্দের ৪র্থ) অধিবেশন আহ্বান করিতেছি।

অধিবেশন চলা অবস্থায় অনেক সময়ই দেখা যায় কয়েকজন সংসদ সদস্য একত্রে আলাপ করছেন। জরুরি আলাপ নিশ্চয়ই; না হলে সংসদ চলা অবস্থায় আলাপ চলার কথা নয়। কেউ কেউ আলাপের প্রয়োজনে নিজ আসন ছেড়ে অন্য আসনেও গিয়ে বসেন। সংসদে অনেকের বক্তব্যই পূর্ণ থাকে নানা স্তব, স্তুতি আর স্মৃতিচারণে। অথচ সংসদের প্রতি মিনিটের মূল্য ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৬ টাকা।

এক অর্থ বছরে কতটি সংসদ অধিবেশন হয়? / একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯ তম অধিবেশন ২০২২

সংসদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর। কিন্তু দেশের সংকটকালে সংবিধান সমুন্নত রাখতে আইন পাসের মাধ্যমে এ মেয়াদের হেরফের হতে পারে।

জাতীয় সংসদ অধিবেশন

জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ সদস্যদের আসন সংখ্যা ৩৫৪, অতিথি আসন সংখ্যা ৫৬, কর্মকর্তা আসন সংখ্যা ৪১, সাংবাদিক আসন সংখ্যা ৮০ এবং দর্শক আসন সংখ্যা ৪৩০।

জাতীয় সংসদের মেয়াদকাল কত দিন?

জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা। এককক্ষ বিশিষ্ট এ আইনসভার সদস্য সংখ্যা ৩৫০; যার মধ্যে ৩০০ জন সংসদ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং অবশিষ্ট ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ নির্বাচিত ৩০০ সংসদ সদস্যের ভোটে (পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে) নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর।

বাংলাদেশে কত একর জায়গার উপর জাতীয় সংসদ?

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন পৃথিবীর দৃষ্টিনন্দন আইনসভা ভবনের একটি। রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার আয়তন ২১৫ একর। যেখানে মূল ভবনের পাশাপাশি রয়েছে উন্মুক্ত সবুজ পরিসর, মনোরম জলাধার ও সংসদ সদস্যদের কার্যালয়। ১৯৬১ সালে ৯ তলা এ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতিহাসের নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি এ ভবনের উদ্বোধন করা হয়। দৃষ্টিনন্দন এ ভবনের নকশা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত স্থপতি লুই আই কান।[১] সংসদ ভবন এলাকাকে প্রধান ভবন, দক্ষিণ প্লাজা ও প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাজা এই তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। সংসদের পেছন দিকে ক্রিসেন্ট লেক নামে একটি নান্দনিক জলাধার রয়েছে।