সূচীপত্র
বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মাসিক ভাতা ছাড়াও চিকিৎসা ও বাসস্থানের ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা প্রদান করে থাকে– মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সুবিধা ২০২৩
মুক্তিযোদ্ধারা কি ফ্রি চিকিৎসা সুবিধা পান? হ্যাঁ। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে দেশের সরকারি হাট-বাজারসমূহের ইজারালদ্ধ আয়ের ৪% অর্থ দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবার লক্ষ্যে এ মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত পরিপত্র, নীতিমালা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুসারে শর্ত সাপেক্ষে নির্দেশক্রমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর অনুকূলে ৩০,০০,০০০/-(ত্রিশ লক্ষ) টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এই ব্যয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে দেশের সরকারি হাট বাজার ইজারালদ্ধ আয়ের ৪% অর্থের তহবিল হতে নির্বাহ করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রধান বা তাঁর ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি আয়ন ব্যয়ন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রদত্ত বরাদ্দ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তগণ এ মন্ত্রণালয় হতে জারীকৃত পরিপত্র, নীতিমালা-২০২২ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুসারে ব্যয় করবেন। বরাদ্দকৃত অর্থ দ্বারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে প্রমাণক হিসেবে এ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সমন্বিত তালিকায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকলে তিনি এ চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সকল আর্থিক বিধি-বিধান ও নিয়মানুচার যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। অব্যয়িত অর্থ (যদি থাকে) ৩০ জুন ২০২৪ তারিখের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ব্যাংক একাউন্ট (সঞ্চয়ী হিসাব নং 0200001211052, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, জাতীয় প্রেস ক্লাব শাখা/সঞ্চয়ী হিসাব নং 034191554 সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, রমনা করপোরেট শাখা ঢাকা) ফেরত প্রদান পূর্বক এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ সংবাদ 2023 । মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২০২৩-২০২৪ । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন
মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম পর্যালোচনা বা পরীক্ষা এবং বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার যাচাই করার লক্ষ্যে বিধি মোতাবেক নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সংযুক্ত ‘ছক’ মোতাবেক বরাদ্দকৃত অর্থের প্রাপ্তিস্বীকার এ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে। বর্ণিত চিকিৎসাসেবা হাসপাতালে ভর্তিকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদান করাতে হবে। উক্ত ব্যয় বিবরণী সংযুক্ত ‘ছক’ মোতাবেক এ মন্ত্রণালয়ে
প্রেরণ করতে হবে।
Caption: Full Circular pdf download
মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সুবিধা ২০২৩ । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করে?
- অব্যয়িত অর্থ পরবর্তী অর্থবছরেও ব্যয় করা যাবে তবে সেক্ষেত্রে অব্যয়িত অর্থের পরিমান উল্লেখপূর্বক প্রতিবেদন এ মন্ত্রণালয়ের প্রেরণ নিশ্চিত করতে হবে।
- মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে দেশের সরকারি হাট-বাজারসমূহের ইজারালদ্ধ আয়ের ৪% অর্থ দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে।
- বরাদ্দকৃত অর্থ বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রধান বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত তহবিল’ নামক একাউন্ট খুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন;
- বরাদ্দকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট খাত ব্যতীত অন্য কোন খাতে ব্যয় করা যাবে না। অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন;
- নীতিমালার আওতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক এতৎউদ্দেশ্যে নির্ধারিত সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসা সুবিধার অতিরিক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধার বিপরীতে বাৎসরিক সর্বোচ্চ ৭৫,০০০/- (পঁচাত্তর হাজার) টাকা’র চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা যাবে।
- নীতিমালায় যা কিছুই উল্লেখ থাক না কেন, মুক্তিযোদ্ধাকে তাঁর নিজস্ব ব্যয়ে প্রয়োজনে এক বা একাধিকবার চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে;
একজনের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ কত টাকা ব্যয় করা যাবে?
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জটিল রোগের চিকিৎসা এবং মুমূর্ষ রোগীর জরুরি অপারেশন ও চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে বাৎসরিক সর্বোচ্চ ২,০০(দুই) লক্ষ টাকার চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা যাবে। জটিল রোগের চিকিৎসায় উল্লিখিত পরিমানের অধিক টাকার প্রয়োজন হইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ২.০০ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করা যাবে। মুমূর্ষু রোগীর জরুরী অপারেশন ও চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে উল্লিখিত পরিমানের অধিক টাকার প্রয়োজন হইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিবেচনা অনুযায়ী ২.০০ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করা, তবে এ ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভূতাপেক্ষ অনুমোদন গ্রহণ আবশ্যক। হাসপাতালে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহসহ সর্বোত্তমভাবে সকল চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সকল ধরণের চিকিৎসা পরামর্শ, শল্য চিকিৎসা, হাসপাতাল কর্তৃক সরবরাহযোগ্য ঔষধ, বেড সরবরাহ, পথ্য এবং নার্সিং ইত্যাদি চিকিৎসা সেবার অন্তভুক্ত হবে।